Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 89
Saheeh International
They wish you would disbelieve as they disbelieved so you would be alike. So do not take from among them allies until they emigrate for the cause of Allah . But if they turn away, then seize them and kill them wherever you find them and take not from among them any ally or helper.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৮-৯১ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
যায়েদ বিন ছাবেত (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হলেন। কিছু মানুষ যুদ্ধ না করে ফিরে আসে। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে যায়। একদল বলে আমরা তাদেরকে হত্যা করব, আরেক দল বলে না, হত্যা করব না কেননা তারা মু’মিন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنٰفِقِيْنَ فِئَتَيْنِ)
(সহীহ বুখারী হা: ১৮৮৪, সহীহ মুসলিম হা: ২৭৭৬)
کَسَبُوْا (কৃতকর্ম) বলতে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিরোধিতা এবং জিহাদ থেকে বিমুখতা অবলম্বন করা।
أركسهم সুদ্দী বলেন: أضلهم তাদেরকে পথ ভ্রষ্ট করবেন।
وَدُّوْا ‘তারা কামনা করে’ অর্থাৎ কাফিররা চায়- যদি তোমরা কুফরী করতে ফলে তাদের সমান হয়ে যেতে। এ সম্পর্কে সূরা বাকারায় আলোচনা করা হয়েছে।
(فَاِنْ تَوَلَّوْا) ‘যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়’ যদি জিহাদ ছেড়ে দেয়। ইবনু আব্বাস (রাঃ) ও সুদ্দী (রহঃ) বলেন: যদি তারা কুফরী প্রকাশ করে, তাহলে যেখানে পাবে সেখানেই হত্যা করবে। তবে যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে মিলিত হয়, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ তাদের বিধান তোমাদের বিধানের মত অথবা এমন লোক যারা তোমাদের কাছে এমন অবস্থায় আসে যে, তাদের হৃদয় নিজেদের জাতির সাথে মিলে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার বা তোমাদের সাথে মিলে নিজের জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ব্যাপারে বড় সংকীর্ণতা বোধ করে। অর্থাৎ না তোমাদের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করে, না তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
(فَمَا جَعَلَ اللّٰهُ لَكُمْ عَلَيْهِمْ سَبِيْلًا)
‘তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা দেননি।’তারা যদি পৃথক হয়ে যায়, তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের নিকট সন্ধি প্রার্থনা করে তাহলে তোমরা তাদেরকে হত্যা করতে পারবে না। যতদিন তারা এ অবস্থায় বিদ্যমান থাকবে। এদের দৃষ্টান্ত সেই গোষ্ঠিও বটে, যাদের সম্পর্ক ছিল বানী হাশেমের সাথে। এরা বদর যুদ্ধে মুশরিকদের সাথে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হলেও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাতে তাদের কোনই ইচ্ছা ছিল না। যেমন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আব্বাস প্রভৃতি।
(سَتَجِدُوْنَ اٰخَرِيْنَ)
‘অচিরেই তোমরা এমন কিছু লোক পাবে’ এরা হল মুনাফিকদের অন্যতম আরেকটি দল। এরা মুসলিমদের কাছে এসে ইসলাম প্রকাশ করত যাতে মুসলিমদের হাত থেকে নিরাপদে থাকতে পারে। আবার যখন স্বীয় জাতির নিকট যেত, তখন তাদের সাথে শির্ক ও মূর্তি পূজায় লিপ্ত হত যাতে এদেরকে নিজেদের দলভুক্ত মনে করে। এভাবেই এরা উভয় স্বার্থ হাসিল করত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَإِذَا خَلَوْا إِلٰي شَيَاطِينِهِمْ قَالُوْآ إِنَّا مَعَكُمْ)
“যখন তারা নিজেদের শয়তানদের (কাফির বন্ধুদের) সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি।“ (সূরা বাকারাহ ২:১৪)
الفتنة ‘ফেতনা’সুদ্দী (রহঃ) বলেন: এর দ্বারা উদ্দেশ্য শির্ক। আর যদি তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে তারা বিরত না থাকে এবং সন্ধিও না করে তাহলে তাদেরকে ধর আর হত্যা কর।
মোটকথা উপরে বর্ণিত তিন প্রকার মুনাফিক ব্যতীত যারা তোমাদের সাথে বাহ্যিক মিল রাখে কিন্তু সুযোগ পেলেই তোমাদের হত্যা করার সংকল্প রাখে তাদরেকে হত্যা করতে কোন বাধা নেই।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. মুনাফিকদের শ্রেণি বিন্যাস সম্পর্কে জানতে পারলাম।
২. মুনাফিকদের সাথে কিভাবে মুয়ামালাত করব তা জানতে পারলাম।
৩. মুনাফিকদেরকে কখন হত্যা করা যাবে তা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings