Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 83
Saheeh International
And when there comes to them information about [public] security or fear, they spread it around. But if they had referred it back to the Messenger or to those of authority among them, then the ones who [can] draw correct conclusions from it would have known about it. And if not for the favor of Allah upon you and His mercy, you would have followed Satan, except for a few.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮২-৮৩ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের একটি মুজিযাহ ও কুরআন দ্বারা একটি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তা হল কুরআনে কোন পরস্পর বৈপরিত্য ও মতভেদ নেই। বরং পরস্পর পরস্পরকে সত্যায়ণ করে।
এ জন্য কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার কথা বলছেন। কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করলে অজ্ঞতা দূর হয়ে জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে, কুরআনের মুজিযা দিবালোকের ন্যায় প্রকাশ পাবে, আল্লাহ তা‘আলার মহত্ব সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে হিদায়াতের পথ সুগম হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كِتٰبٌ أَنْزَلْنٰهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوْآ اٰيٰتِه۪ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُوا الْأَلْبَابِ)
“(এ কুরআন) একটি বরকতময় কিতাব, আমি তা তোমার প্রতি নাযিল করেছি যেন মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানবান লোকেরা উপদেশ গ্রহণ করে।”(সূরা সোয়াদ ৩৮:২৯)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَفَلَا يَتَدَبَّرُوْنَ الْقُرْاٰنَ أَمْ عَلٰي قُلُوْبٍ أَقْفَالُهَا)
“তবে কি তারা কুরআন সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরে তালা লেগে গেছে?” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:২৪)
আমর বিন শুয়াইব (রাঃ) তাঁর পিতা হতে এবং তাঁর পিতা তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, আমি এবং আমার ভাই এমন এক সমাবেশে বসেছিলাম যা আমার নিকট এত প্রিয় ছিল যে, আমি একটি লাল বর্ণের উট পেলেও এ মজলিসের তুলনায় নগণ্য মনে করতাম। আমরা এসে দেখি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরজার ওপর কয়েকজন মর্যাদাবান সাহাবী দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা তাদের মাঝে বসতে অপছন্দ করলাম না, বিধায় এক কোণায় বসে পড়লাম। এমন সময় সেখানে কুরআনের একটি আয়াত নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল এবং তাঁদের মধ্যে কিছু মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল এমনকি উঁচু আওয়াজে কথা বলতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাগান্বিত অবস্থায় বের হলেন, তাদের ওপর মাটি নিক্ষেপ করত: বললেন: তোমরা নীরব হও। তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতগণ নাবীদের ব্যাপারে মতানৈক্য ও আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের এক অংশকে অন্য অংশের সাথে বৈপরিত্য করার কারণে ধ্বংস হয়েছে।
জেনে রেখ! কুরআনের এক অংশ অপর অংশকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না বরং সত্যায়িত করে। যা তোমরা কুরআনে জানবে তার প্রতি আমল করবে আর যা জানবে না তা আলেমদের কাছে ফিরিয়ে দিও। (আহমাদ হা: ১৮১, সহীহ)
পরের আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাদের নিন্দা করেছেন যারা কোন সংবাদ সত্য মিথ্যা যাচাই-বাছাই না করে সমাজে ছড়িয়ে দেয়। ফলে সামজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
الأَمْنُ: শান্তির খবর বলতে মুসলিমদের সফলতা এবং শত্র“দের ধ্বংস ও পরাজয়ের খবরকে বুঝানো হয়েছে। আর الْخَوْفُ ভয়ের সংবাদ বলতে মুসলিমদের পরাজয়ের কথা বলা হচ্ছে। যাতে মুসলিমদের দুঃখ-বেদনা, আফসোস ছড়িয়ে পড়ে এবং মনোবল নষ্ট হয়ে যায়।
তাই তাদেরকে বলা হচ্ছে, যে কোন খবর, চাই ভাল হোক বা মন্দ হোক যাচাই-বাছাই না করে মুসলিমদের ভেতরে ছড়ানো যাবে না। বরং রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বা যারা জ্ঞানী তাদের নিকট ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এটাই হবে কল্যাণকর।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
كَفَي بِالْمَرْءِ كَذِباً أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ
একজন ব্যক্তির মিথ্যুক হবার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে তাই বলে বেড়াবে। (সহীহ মুসলিম হা: ৫, ভূমিকা, আবূ দাঊদ হা: ৪৯৯২, সহীহ)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুরআন নিয়ে গবেষণা করা উচিত।
২. আল্লাহ তা‘আলার কালাম কুরআন সর্বপ্রকার ত্র“টি, অসম্পূর্ণতা ও বৈপরিত্য থেকে মুক্ত।
৩. কোন সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে গ্রহণ করা ও সমাজে ছড়ানো সম্পূর্ণ অসঙ্গতিপূর্ণ এবং নিষেধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings