Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 79
Saheeh International
What comes to you of good is from Allah, but what comes to you of evil, [O man], is from yourself. And We have sent you, [O Muhammad], to the people as a messenger, and sufficient is Allah as Witness.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭৭-৭৯ নং আয়াতের তাফসীর:
মুসলিমরা মক্কায় থাকা অবস্থায় সালাত আদায়, দরিদ্র অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি ও মুশরিকদের উদ্ধত আচরণের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেখানে যাকাত, জিহাদ ও অন্যান্য শরীয়তের নির্দেশাবলী ফরয করা হয়নি।
এর কয়েকটি কারণ রয়েছে:
১. আল্লাহ তা‘আলা চান শরীয়তের বিধি-বিধান এমনভাবে ও পর্যায়ক্রমে দেবেন যাতে বান্দাদের পালন করতে কষ্ট না হয়। ২. মুসলিমদের সংখ্যা কম ও শত্র“দের সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও যদি তাদের ওপর জিহাদ ফরয করা হয় তাহলে আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ার শামিল হবে।
এ ছাড়াও অনেক বিষয়ের প্রতি খেয়াল করে মক্কায় মুসলিমদের ওপর জিহাদ ফরয করা হয়নি।
এতদসত্ত্বেও অনেক মুসলিমরা চাচ্ছিল যে, এ অবস্থাতেই জিহাদ করার অনুমতি প্রদান করা হোক। কিন্তু মদীনায় যখন উপযুক্ত পরিবেশে ও উপযুক্ত স্থানে জিহাদ ফরয করা হল তখন ঐ শ্রেণির মুসলিম জিহাদ থেকে পিছপা হল যারা মক্কায় জিহাদ করার কামনা করেছিল। সে জন্য আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَوْ أَنَّهُمْ فَعَلُوْا مَا يُوْعَظُوْنَ بِه۪ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمْ وَأَشَدَّ تَثْبِيْتًا)
“যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয়েছিল তারা যদি তা করত তাহলে তাদের ভাল হত এবং অধিকতর সুপ্রতিষ্ঠিত হত।” (সূরা নিসা ৪:৬৬)
আয়াতে তাদের মাক্কী জীবন স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে, এখন জিহাদের কথা শুনে এত ভয় করে কেন অথচ তারা তো ইতোপূর্বে জিহাদ কামনা করেছিল।
তারপর বলা হচ্ছে মৃত্যুর ভয়ে জিহাদে না গিয়ে যদি সীসাঢালা দুর্গে অবস্থান করে তবু মৃত্যু সঠিক সময়ে আসবেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ)
প্রতিটি আত্মা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবেই। (সূরা আলি-ইমারান ৩:১৮৫)
(وَإِنْ تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ)
‘যদি তাদের কোন কল্যাণ হয়’ এখানে মুনাফিকদের আলোচনা করা হচ্ছে। পূববর্তী উম্মাতের অস্বীকারকারীদের মত এরাও বলে যে, কল্যাণ আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে আসে এবং অকল্যাণ মুহাম্মাদের কারণে হয়। যেমন ফিরআউনের সম্প্রদায়ের ব্যাপারে বলছেন:
(فَإِذَا جَا۬ءَتْهُمُ الْحَسَنَةُ قَالُوْا لَنَا هٰذِه۪ وَإِنْ تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَّطَّيَّرُوْا بِمُوْسٰي وَمَنْ مَّعَه۫)
“যখন তাদের কোন কল্যাণ হত, তারা বলত, ‘এটা আমাদের প্রাপ্য’। আর যখন কোন অকল্যাণ তাদের গ্রাস করত তখন তারা মূসা ও তার সংগীদেরকে অলক্ষুণে গণ্য করত।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৩১)
আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, হে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তুমি বলে দাও কল্যাণ-অকল্যাণ সবই আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে। এদের বিবেক বুদ্ধি কম থাকার কারণে এরা বুঝে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
مَا أَصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ، وَأَنَّ مَا أَخْطَأَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَكَ
তোমাকে যে বিপদ-আপদ পেয়েছে মনে করো না তা ভুল করে এসেছে আর যে বিপদ থেকে বেঁচে গেলে মনে করো না ভুল করে তোমার ভাগ্য থেকে সরে গেছে। এর সবই তোমার ভাগ্যে ছিল বলেই হয়েছে। (আবূ দাঊদ হা: ৪৬৯৯, সহীহ)
কল্যাণকর যা কিছু আসে সব আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আর অকল্যাণকর সব নিজের হাতের অর্জন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَصَابَكُمْ مِّنْ مُّصِيْبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيْكُمْ وَيَعْفُوْا عَنْ كَثِيْرٍ)
“তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদেরই হাতের উপার্জনের ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।” (সূরা শুরা ৪২:৩০)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন কিছু দ্রুত চাওয়া ও কাপুরুষতা প্রকাশ করা নিন্দনীয়।
২. মুত্তাকীদের জন্য আখিরাত দুনিয়া থেকে উত্তম।
৩. মৃত্যু থেকে পলায়নের কোন পথ নেই।
৪. ভাল-মন্দ সব আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নির্ধারিত।
৫. ভাল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আসে আর খারাপ নিজের কর্মের কারণে আল্লাহ তা‘আলা দেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings