Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 65
Saheeh International
But no, by your Lord, they will not [truly] believe until they make you, [O Muhammad], judge concerning that over which they dispute among themselves and then find within themselves no discomfort from what you have judged and submit in [full, willing] submission.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬৪-৬৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা রাসূল প্রেরণ করেছেন যাতে মানুষ তাদের নির্দেশ পালন করে, নিষেধাজ্ঞা বর্জন করে আনুগত্য প্রদর্শন করে। আল্লাহ তা‘আলা নিঃশর্তে রাসূলদের আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয় রাসূলরা নিষ্পাপ। তারা নিষ্পাপ না হলে আল্লাহ তা‘আলা নিঃশর্তে আনুগত্যের নির্দেশ দিতেন না। তারপর আল্লাহ তা‘আলা অনুকম্পা ও রহমাতের কথা বলছেন যে, যারা অপরাধ করেছে তারা অপরাধ স্বীকার করে রাসূলের কাছে ক্ষমা চাইলে এবং রাসূল তাদের জন্য ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করে দিতেন। এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জীবদ্দশার সাথে সীমাবদ্ধ। (তাফসীর সা‘দী পৃঃ ১৬৮)
(وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَّلَمُوْآ)
‘যখন তারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছিল’ এ আয়াতেকে দলীল বানিয়ে শীয়া সমাজ বিশ্বাস করে, ওলী-আউলিয়াদের ওসীলা জায়েজ এবং তাদের কবরের নিকট সালাত ও দু‘আ পাঠ মুস্তাহাব। (ইমামিয়া শীয়াদের আকিদা বিশ্বাস, পৃ. ৩৬, ওয়াহাবীদের সৃষ্ট সংশয়ের অপনোদন, পৃ. ১২৪)
তাদের এ বিশ্বাস শির্ক ও কুফরী। কেননা কোন ব্যক্তিকে ওসীলা বানানোর দু’টি শর্ত; ১. ব্যক্তি জীবিত ও উপস্থিত থাকতে হবে, ২. ব্যক্তিকে সৎ হতে হবে। (সহীহ বুখারী হা: ১০১০)
আর কবরের নিকট সালাত আদায় করতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন। (সহীহ বুখারী হা: ১২৬৫, সহীহ মুসলিম হা: ৫২৯) সুতরাং কোন মৃত ব্যক্তির কাছে কোন প্রকার ওসীলা অন্বেষণ করা যাবে না এবং তাদের কাছে চাওয়াও যাবে না।
শানে নুযূল:
উরওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: নর্দমা দিয়ে বাগানে পানি দেয়ার ব্যাপারে একজন আনসারীর সাথে যুবাইর (রাঃ)-এর বিবাদ হয়। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, হে যুবাইর (রাঃ) তুমি বাগানে পানি নেয়ার পর আনসারীর বাগানে পানি যেতে দাও। এ কথা শুনে আনসারী বলল: আপনার ফুফাতো ভাই তো! (তাই রায় তার পক্ষেই দিলেন)। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেহারা লাল হয়ে গেল এবং বললেন: হে যুবাইর! তুমি বাগানে পানি দেয়ার পর বন্ধ করে রাখ যে পর্যন্ত না পানি বাগানের প্রাচীর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপর প্রতিবেশীর জন্য ছাড়বে।
প্রথমে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন পন্থা বের করলেন যাতে যুবাইর (রাঃ)-এর কষ্ট না হয় এবং আনসারীরও প্রশস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু আনসারী যখন সেটা তার পক্ষে উত্তম মনে করল না তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইরের পূর্ণ হক প্রদান করলেন। যুবাইর (রাঃ) বলেন, এ আয়াতটি এ ব্যাপারেই অবতীর্ণ হয়েছে
(فَلَا وَرَبِّكَ ...... بَيْنَهُمْ)।
(সহীহ বুখারী হা: ৪৫৮৫, সহীহ মুসলিম হা: ২৩৫৭)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নিজের পবিত্র সত্তার শপথ করে বলছেন, তারা ঈমানদার নয় যারা সন্তুষ্টচিত্তে বিনা দ্বিধায় সকল বিষয়ের ফায়সালাকারী হিসেবে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মানে না।
কারণবশতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বাহ্যিকভাবে ফায়সালাকারী মেনে নিলেও আন্তরিকভাবে এবং বিনা দ্বিধায় না মেনে নিলে কেউ মু’মিন হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتّٰي يَكُوْنَ هَوَاهُ تَبْعًا لِمَا جِئْتُ بِهِ
তোমাদের কেউ মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি যা নিয়ে এসেছি তার কামনা-বাসনা তার প্রতি হয়। (ফাতহুল বারী ১২/২৮৯)
তাই একজন মু’মিনের কাজ সকল বিষয়ের ফায়সালার জন্য কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর দিকে ফিরে আসা। চাই তা কোন মাসআলা মাসায়েল হোক, কোন বিধি-বিধান হোক বা কোন বিচার ফায়সালা হোক। যেমন আল্লাহ তা’আলা মু’মিনদের ব্যাপারে বলেন:
(إِنَّمَا كَانَ قَوْلَ الْمُؤْمِنِيْنَ إِذَا دُعُوْا إِلَي اللّٰهِ وَرَسُوْلِه۪ لِيَحْكُمَ بَيْنَهُمْ أَنْ يَّقُوْلُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا)
“মু’মিনদের উক্তি তো কেবল এই- যখন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবার জন্য আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের দিকে আহ্বান করা হয় তখন তারা বলে, ‘আমরা শ্রবণ করলাম ও আনুগত্য করলাম।’’ (সূরা নূর ২৪:৫১)
যদি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ফায়সালাকে মনে প্রাণে মেনে না নেয়ার কারণে কাফির হয়ে যায় তাহলে কুরআন ও সুন্নাহর ফায়সালাকে যারা অগ্রাহ্য করে প্রত্যাখ্যান করে তাদের বিধান কী হতে পারে?
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা নির্দেশ ও নিষেধ করেন তা মেনে নেয়া ওয়াজিব।
২. সকল বিষয়ের মীসাংসাকারী কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ।
৩. রাসূলের তথা কুরআন ও সুন্নাহর ফায়সালা সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেয়া ওয়াজিব। যদিও তা মাযহাব, দল ও মতের বিপরীতে হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings