Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 54
Saheeh International
Or do they envy people for what Allah has given them of His bounty? But we had already given the family of Abraham the Scripture and wisdom and conferred upon them a great kingdom.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫৩-৫৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা এখানে ইয়াহূদীদেরকে জিজ্ঞেসসূচক ভর্ৎসনা করে বলছেন, তাদের কি কোন রাজত্ব আছে? অর্থাৎ তাদের রাজত্বের কোন অংশ নেই। যদি থাকত তাহলে একবিন্দু পরিমাণ মানুষকে দান করত না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ لَّوْ أَنْتُمْ تَمْلِكُوْنَ خَزَا۬ئِنَ رَحْمَةِ رَبِّيْٓ إِذًا لَّأَمْسَكْتُمْ خَشْيَةَ الْإِنْفَاقِ)
“বল: ‘যদি তোমরা আমার প্রতিপালকের দয়ার ভাণ্ডারের অধিকারী হতে, তবুও ‘ব্যয় হয়ে যাবে’ এ আশংকায় তোমরা তা ধরে রাখতে; (সূরা বানী ইসরাঈল ১৭:১০০)
আল্লাহ তা‘আলা আবার জিজ্ঞেস করে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে তাঁর যে অনুগ্রহ দান করেছেন তাতে কি তারা হিংসা করে? তাতে হিংসা করার কিছুই নেই। কেননা আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধরে কিতাব, হিকমত এবং মহারাজত্ব প্রদান করেছেন; নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তিনি নবুওয়াত প্রদান করেছেন- এতে তোমাদের হিংসা করার কিছুই নেই। কারণ নবুওয়াত প্রদানের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে একাধিক নারী বিবাহ করার অনুমতি দান করেছেন সে ব্যাপারে ইয়াহূদীরা হিংসা করে। অথচ এতে হিংসা করার কিছুই নেই। কারণ দাঊদ (আঃ)-কে আল্লাহ তা‘আলা ৯৯ জন স্ত্রী বিবাহ করার সুযোগ দান করেছেন। সুলাইমান (আঃ)-এর আরো অধিক ছিল। মূলত এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ইয়াহূদীদের কথার প্রতিবাদ করা, তারা বলে মুহাম্মাদ নাবী হলে মহিলাদের প্রতি এত আসক্ত কেন? তখন আল্লাহ তা‘আলা জানিয়ে দিলেন যে, দাঊদ ও সুলাইমানের এত এত স্ত্রী ছিল। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: একজন ব্যক্তির কাছে এক হাজার, আরেক জনের কাছে একশত জন স্ত্রী বেশি না একজনের কাছে নয়জন স্ত্রী বেশি? (সহীহ আবূ দাঊদ হা: ২১৫২) তখন ইয়াহূদীরা চুপ হয়ে গেল। (তাফসীর কুরতুবী: ৫/১৯০)
সুতরাং যারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে রঙ্গীলা রাসূল বলে কলুষিত করতে চায় তাদের জেনে নেয়া উচিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন না। তাঁর প্রত্যেক বিবাহের পিছনে বিশেষ প্রেক্ষাপট জড়িত ছিল। যদি তিনি নারী-আসক্ত হতেন তাহলে অনূঢ়া ও কুমারী নারীদের বিবাহ করতেন। তিনি বিধবা ও স্বামীহীনা নারীদের বিবাহ করতেন না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. হিংসা ও কৃপণতার নিন্দা প্রকাশ করা হল।
২. অনেক ইয়াহূদী সত্য অনুধাবণ করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান এনেছিল।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings