Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 35
Saheeh International
And if you fear dissension between the two, send an arbitrator from his people and an arbitrator from her people. If they both desire reconciliation, Allah will cause it between them. Indeed, Allah is ever Knowing and Acquainted [with all things].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৪ ও ৩৫ নং আয়াতের তাফসীর:
পুরুষগণ মহিলাদের কর্তা, নেতা, শ্রেষ্ঠ হাকিম এবং যখন অবাধ্য হবে তখন আদব শিক্ষা প্রদানকারী।
এর কারণ দুটি:
১. আল্লাহ তা‘আলা প্রদত্ত শ্রেষ্ঠত্ব, আল্লাহ তা‘আলা নিজেই পুরুষদেরকে মহিলাদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষদের দৈহিক শক্তি, কর্মক্ষমতা, সাহস ও ধৈর্য ইত্যাদি নারীদের থেকে বহুগুণে বেশি দিয়েছেন। ফলে পুরুষদের দ্বারা যে কাজ হয় নারীদের দ্বারা সেরূপ কাজ হয় না। এজন্য নবুওয়াত কেবল পুরুষদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অনুরূপভাবে রাজত্ব পরিচালনা করাও পুরুষদের হাতেই। কারণ পুরুষের শাসনে রাষ্ট্রে যে নিয়ম-শৃঙ্খলা বহাল থাকবে, নারী পরিচালিত রাষ্ট্রে তা বহাল থাকবে না।
তাই যখন রূমবাসী তাদের প্রেসিডেন্ট মহিলাকে নির্বাচিত করল তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً
এমন জাতি কখনো সফলকাম হবে না যারা তাদের নেতৃত্বের দায়িত্বভার কোন মহিলার ওপর অর্পণ করে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৪২৫)
২. পুরুষদের স্ব-উপার্জিত সম্পদ দ্বারা ব্যয়ভার বহন করে। একজন নারীকে ইসলাম উপার্জনের নির্দেশ দেয়নি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করবে স্বামী আর স্বামীর ঘর সংরক্ষণ করবে স্ত্রী। একজন নারী যদি অর্থ উপার্জন করতে যায় তাহলে সাংসারিক, সন্তান-সন্ততি ও দৈহিক এবং ধর্ম-কর্ম ইত্যাদি সর্বদিক থেকে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
(حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰهُ)
‘লোকচক্ষুর অন্তরালে আল্লাহ যা সংরক্ষিত করতে বলেছেন, তা হিফাযত করে।’অর্থাৎ স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের সতীত্ব এবং স্বামীর সম্পদ হেফাযত করবে।
এরূপ আনুগত্যশীল নারীদের অনেক ফযীলত রয়েছে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, মহিলাদের মধ্যে সেই উত্তম যখন তুমি তার দিকে তাকাবে তখন সে তোমাকে আনন্দ দেবে, যখন নির্দেশ দেবে তা পালন করবে এবং যখন তুমি অনুপস্থিত থাকবে তখন সে নিজেকে এবং তোমার সম্পদ হেফাযত করবে। তারপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন। (তাফসীর তাবারী, হা: ৯৩২৫, সহীহ)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন কোন নারী পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, রমযানের সিয়াম পালন করে, স্বীয় লজ্জাস্থান হিফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে: তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর, তোমার যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা। (সহীহুল জামে হা: ৬৬০, সহীহ, আহমাদ ১/১৯১)
পক্ষান্তরে যে সকল নারী স্বামীর অবাধ্য হবে তার সংশোধনের জন্য আল্লাহ তা‘আলা তিনটি ব্যবস্থা দিয়েছেন-
১. তাদেরকে সদুপদেশ ও নসীহত করে বুঝাতে হবে।
২. সাময়িকভাবে বিছানা আলাদা করে দেবে। বুদ্ধিমতী মহিলার জন্য এটাই যথেষ্ট।
এতেও কাজ না হলে:
৩. হালকা মৃদু প্রহার করবে।
তবে প্রহার যেন জুলুমের পর্যায়ে চলে না যায়। অনেক গণ্ডমুর্খ পুরুষ প্রহার করতে গিয়ে স্ত্রীদেরকে মেরেও ফেলে যা শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম।
উল্লিখিত তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও যদি কোন ফল না হয়, তাহলে চতুর্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, স্বামী-স্ত্রী উভয়পক্ষকে দু’জন বিচারক নিয়োগ করতে হবে। তারা উভয়ে নিষ্ঠাবান ও আন্তরিকতাপূর্ণ হলে তাদের সংশোধনের প্রচেষ্টা অবশ্যই ফলপ্রসূ হবে। আর যদি তাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে তালাকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেয়ার অধিকার তাদের আছে। এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন এ অধিকার শর্ত সাপেক্ষে অর্থাৎ তাতে শাসকের পক্ষ হতে আদেশ বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ ঘটানোর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনুমতি থাকতে হবে। তবে অধিকাংশ আলিম সমাজের মতে কোন শর্ত ছাড়াই তাদের এ অধিকার আছে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পুরুষেরাই মহিলাদের নেতৃত্ব দেবে।
২. অবাধ্য নারীদের সংশোধনের জন্য শরয়ী ব্যবস্থাপনার কথা জানলাম।
৩. সাধারণ কোন ভুল-ত্র“টির জন্য স্ত্রীদের প্রহার করা উচিত নয়।
৪. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ দেখা দিলে উভয় পক্ষ থেকে মীমাংসার জন্য হাকিম নির্ধারণ করা বৈধ।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings