Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 32
Saheeh International
And do not wish for that by which Allah has made some of you exceed others. For men is a share of what they have earned, and for women is a share of what they have earned. And ask Allah of his bounty. Indeed Allah is ever, of all things, Knowing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩২ ও ৩৩ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! পুরুষেরা যুদ্ধ করে, আমরা যুদ্ধ করতে পারি না। অন্য বর্ণনায় রয়েছে যুদ্ধ করতে পারি না তাই শহীদও হতে পারি না। আবার আমরা মীরাস পুরুষের অর্ধেক পাই। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়
(وَلَا تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللّٰهُ بِه۪ بَعْضَكُمْ عَلٰي بَعْضٍ) ।
(তিরমিযী হা: ৩০২২, সহীহ)
আল্লাহ তা‘আলার এ বাণীর অর্থ হল: তিনি তার হিকমাত অনুযায়ী পুরুষদেরকে শারীরিক যে শক্তি দান করেছেন এবং যে শক্তির ভিত্তিতে তারা জিহাদে অংশ গ্রহণ করে এটা আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ দান। এগুলো দেখে নারীদেরকে পুরুষের যোগ্যতাধীনের কাজ করার আশা করা উচিত না। বরং আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্য ও নেকীর কাজ আগ্রহের সাথে করা উচিত। পুরুষরা ভাল কাজ করে যে প্রতিদান পাবে নারীরা ভাল কাজ করে সেই প্রতিদান পাবে। এ ছাড়া নারীদের উচিত আল্লাহ তা‘আলার নিকট অনুগ্রহ কামনা করা। এখানে আল্লাহ তা‘আলা একজনকে অন্যজনের ওপর যে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন তা এজন্য কামনা করতে নিষেধ করেছেন যে, সে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক তাকদীরের ওপর সস্তুষ্ট না। এছাড়াও এখানে হিংসা রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: দু’টি জিনিস ছাড়া হিংসা করা বৈধ না।
১. যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের জ্ঞান দান করেছেন ফলে সে দিনে রাতে কুরআন তেলাওয়াত ও চর্চা করে।
২. যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা সম্পদ দিয়েছেন ফলে সম্পদ থেকে আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় ব্যয় করে। এ দু’ শ্রেণি ব্যক্তির সাথে হিংসা করা বৈধ। (সহীহ বুখারী হা: ৭৫২৮)
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নারী পুরুষকে তার মাতা-পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের ওয়ারিশ বানিয়েছেন।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী موالي অর্থাৎ ওয়ারিশ বানিয়েছি।
(وَالَّذِيْنَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ)
‘যাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারে আবদ্ধ’মুহাজির মুসলিমরা যখন মদীনায় আগমন করল তখন আনসারদের থেকে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছাড়াই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর গড়ে দেয়া ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতেই ওয়ারিশ পেত। যখন এ আয়াত নাযিল হয়
(وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ)
তখন ঐ সব ভ্রাতৃত্বের ওয়ারিশ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর বলেছেন, (وَالَّذِيْنَ عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ) যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা কর। ওয়ারিশ পাবে না কিন্তু অসীয়ত করতে পারে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৮০)
হাফিয ইবনে কাসীর (রহঃ) দীর্ঘ আলোচনার পর বললেন, সঠিক কথা হল জমহুরদের কথা, আর তা হল, ওয়ারিশদার ব্যক্তিগণই মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ পাবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
أَلْحِقُوا الفَرَائِضَ بِأَهْلِهَا، فَمَا بَقِيَ فَهُوَ لِأَوْلٰي رَجُلٍ ذَكَرٍ
ওয়ারিশ তার প্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রদান কর যা অবশিষ্ট থাকবে তার বেশি হকদার হল পুরুষ ব্যক্তি। (বুখারী হা: ২৭৩২, ইবনে কাসীর, ২/৩২২)
অতএব কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সাথে যদি অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় এ শর্তে যে, আমি মারা গেলে আপনি আমার সম্পদ থেকে অংশ নেবেন তাহলে তা গ্রহণ্যযোগ্য হবে না। এরূপ অঙ্গীকার এ
(وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلٰي بِبَعْضٍ)
আয়াত দ্বারা মানসূখ হয়ে গেছে। (ইবনে কাসীর, ২/৩২৩)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আমল বর্জন করে শুধু আকাক্সক্ষা করা নিন্দনীয়।
২. হিংসা করা হারাম। কেবল দু’শ্রেণির ব্যক্তির সাথে তা বৈধ।
৩. যে ব্যক্তি শরীয়ত পরিপন্থী কোন অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তা প্রত্যাখ্যাত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings