Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 170
Saheeh International
O Mankind, the Messenger has come to you with the truth from your Lord, so believe; it is better for you. But if you disbelieve - then indeed, to Allah belongs whatever is in the heavens and earth. And ever is Allah Knowing and Wise.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬৬-১৭০ নং আয়াতের তাফসীর:
পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের সত্যতা প্রমাণ করা হয়েছে এবং যারা তাঁর নবুওয়াত অস্বীকার করে তাদের দাবী খণ্ডন করা হয়েছে। এ জন্যই আল্লাহ তা‘আলা এখানে বললেন: যদিও কিছু লোক তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এবং তোমার রিসালাতকে প্রত্যাখ্যান করছে (তাতে চিন্তা কিসের) স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলাই তো তোমার রিসালাতকে সত্যায়িত করেছেন এবং তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। যার সম্মুখ ও পিছন কোন দিক থেকেই বাতিল আসতে পারবে না।
(أَنْزَلَه بِعِلْمِه)
‘তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন’ হাফিয ইবনু কাসীর (আঃ) বলেন: কুরআনে আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞান বিদ্যমান, যা বান্দাদেরকে তিনি অবগত করাতে চান। যেমন ভাল-মন্দের পার্থক্য, আল্লাহ তা‘আলা যা ভালবাসেন এবং যার ওপর সন্তুষ্ট, তিনি যা অপছন্দ করেন, পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংবাদসমূহ এবং আল্লাহ তা‘আলার পবিত্র গুণাবলী। স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা অবহিত না করা পর্যন্ত কোন রাসূল বা নৈকট্যলাভকারী ফেরেশতাও জানতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِه۪ٓ إِلَّا بِمَا شَا۬ٓءَ)
“তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন ততটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানসমূদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ব করতে পারে না।”(সূরা বাকারাহ ২:২৫৫, ইবনে কাসীর, ২/ ৫৩১)
আল্লামা সা’দী (রহঃ) বলেন, সম্ভবত এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তা‘আলা এ কুরআন অবতীর্ণ করেছেন, এতে তার জ্ঞান শামিল রয়েছে। অর্থাৎ এতে ইলমে এলাহী, শরীয়তের আহকাম ও গায়েবের খবর বিদ্যমান।
এটারও সম্ভাবনা রয়েছে যে, এ কুরআন আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞান থেকে আগত। (তাফসীরে সা‘দী, পৃঃ ২০২)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের অবস্থা ও পরিণতি সম্পর্কে অবগত করেছেন। যারা সত্য জানার পরেও কুফরী করে, আল্লাহ তা‘আলার পথে মানুষকে বাধা প্রদান করে ও জুলুম করে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে হিদায়াত দেবেন না এবং ক্ষমাও করবেন না। তাদের জন্য জাহান্নাম ছাড়া কোন পথ নেই।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা সকল মানব জাতিকে সম্বোধন করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রথম কারণ তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা সত্য। দ্বিতীয় কারণ ঈমান আনলে মানব জাতি কল্যাণপ্রাপ্ত হবে।
আর যদি কুফরী করে তাহলে আল্লাহ তা‘আলার কোন ক্ষতি হবে না। যেমন মূসা (আঃ) তার স্বজাতিকে বলেছিলেন:
(وَقَالَ مُوْسٰٓي إِنْ تَكْفُرُوْآ أَنْتُمْ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا فَإِنَّ اللّٰهَ لَغَنِيٌّ حَمِيْدٌ)
“মূসা বলেছিল, ‘তোমরা এবং পৃথিবীর সকলেই যদি অকৃতজ্ঞ হও (তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না) তথাপি আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং প্রশংসিত।” (সূরা ইবরাহীম ১৪:৮)
আল্লাহ তা‘আলা হাদীসে কুদসীতে বলেন, হে আমার বান্দা সকল! তোমরা আদি ও অন্ত সমস্ত মানুষ ও জীন যদি এমন একটি মানুষের অন্তরের মত হয়ে যাও, যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবাধ্য, তাহলেও আমার সাম্রাজ্যে কোন হ্রাস বা ঘাটতি হবে না। (সহীহ মুসলিম, সদাচরণ অধ্যায়)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কুফরীর খারাপ পরিণতি সম্পর্কে জানলাম।
২. যারা সুদূর গোমরাহীতে নিমজ্জিত এবং ফেতনা ফাসাদ নিয়ে ব্যস্ত তারা তাওবাহ করার সুযোগ পায় না। ফলে সে অবস্থাতেই মারা যায়।
৩. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল মানব জাতির রাসূল।
৪. আল্লাহ তা‘আলার জ্ঞান ও হিকমাত গুণ দুটি প্রমাণিত।
৫. মানুষ সৎ আমল করলে তার নিজের উপকারে আসবে, আর অসৎ আমল করলে নিজের ওপর বর্তাবে। এতে আল্লাহ তা‘আলার কোন লাভ বা ক্ষতি হবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings