Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 164
Saheeh International
And [We sent] messengers about whom We have related [their stories] to you before and messengers about whom We have not related to you. And Allah spoke to Moses with [direct] speech.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬৩-১৬৫ নং আয়াতের তাফসীর:
যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার করে এ আয়াতে তাদের প্রতিবাদ করা হচ্ছে। আল্লাহ তা‘আলা যেমন পূর্ববর্তী নাবীদের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেছেন তেমনি নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতিও ওয়াহী অবতীর্ণ করেছেন।
যে সকল নাবী রাসূলগণের নাম ও তাদের ঘটনাবলী কুরআনে বর্ণিত হয়েছে তাদের সংখ্যা চব্বিশ অথবা পঁিচশজন। ১. আদম, ২. ইদরীস, ৩. নূহ, ৪. হূদ ৫. সালেহ ৬. ইবরাহীম ৭. লূত ৮. ইসমাঈল ৯. ইসহাক। ১০. ইয়া‘কূব। ১১. ইউসুফ ১২. আইয়ূব ১৩. শুআইব ১৪. মূসা ১৫. হারুন ১৬. ইউনুস ১৭. দাঊদ ১৮. সুলাইমান ১৯. ইলিয়াস ২০. ইয়াসা‘ ২১. যাকারিয়া ২২. ইয়াহইয়াহ ২৩. ঈসা ২৪. যুলকিফল (আঃ) (অধিকাংশ মুফাসসিরদের নিকট) ২৫. মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
যে সকল নাবী-রাসূলগণের নাম ও ঘটনাবলী কুরআনে উল্লেখ করা হয়নি তাদের সংখ্যা কত- এ বিষয় আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন।
তবে সাধারণ জনগণের নিকট প্রসিদ্ধ কথা যে, এক লাখ চব্বিশ হাজার এবং অন্য বর্ণনায় আট হাজার উল্লেখ রয়েছে যা দুর্বল, গ্রহণযোগ্য নয়। (ইবনে কাসীর, ২য় খণ্ড, পৃঃ ৫২৪)
কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জানা যায় যে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আল্লাহ তা‘আলা নাবী রাসূলগণকে সুসংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। নবুয়াতের এ ধারাবাহিকতায় শেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করেন।
তাই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরে যারা নবুওয়াত দাবী করবে তারাই মিথ্যুক ও দাজ্জাল। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমার পরে নাবী হলে উমার (রাঃ) হত কিন্তু আমি শেষ নাবী, আমার পরে কোন নাবী আসবে না। (তিরমিযী হা: ৩৬৮৬, হাসান)
(وَكَلَّمَ اللّٰهُ مُوسٰي تَكْلِيمًا)
‘এবং মূসার সঙ্গে আল্লাহ অবশ্যই কথা বলেছিলেন।’ আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-এর সাথে কথা বলেছেন। এটা মূসা (আঃ)-এর আলাদা বৈশিষ্ট্য। ইবনু হিব্বানের এক বর্ণনার ভিত্তিতে ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) আল্লাহ তা‘আলার সাথে সরাসরি কথোপকথনে আদম (আঃ) ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কেও শরীক করেছেন। (ইবনে কাসীর, সূরা বাকারার ২৫৩ নং আয়াত)
(رُسُلاً مُّبَشِّرِيْنَ وَمُنْذِرِيْنَ)
‘সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী রাসূল প্রেরণ করেছি’ আল্লাহ তা‘আলা নবুওয়াত অথবা সুসংবাদ দান ও ভীতি প্রদর্শনের ধারাকে এজন্যই অব্যাহত রেখেছেন যাতে শেষ বিচার দিনে কেউ ওজর পেশ না করতে পারে যে, আমাদের নিকট কোন বার্তাবাহক আসেনি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَوْ أَنَّآ أَهْلَكْنٰهُمْ بِعَذَابٍ مِّنْ قَبْلِه۪ لَقَالُوْا رَبَّنَا لَوْلَآ أَرْسَلْتَ إِلَيْنَا رَسُوْلًا فَنَتَّبِعَ اٰيٰتِكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَّذِلَّ وَنَخْزٰي)
“যদি আমি তাদেরকে ইতোপূর্বে শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম তবে তারা বলত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের নিকট একজন রাসূল প্রেরণ করলে না কেন? করলে আমরা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হবার পূর্বে তোমার নিদর্শন মেনে চলতাম।’ (সূরা ত্বহা ২০:১৩৪)
সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন সত্য নাবী; তার পর আর কোন নাবী আসবে না। আল্লাহ তা‘আলা নাবী-রাসূলদের প্রেরণ করেছেন যাতে কিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি ওযর পেশ না করতে পারে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. অন্যান্য নাবীদের মত আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছেন।
২. সর্বপ্রথম রাসূল নূহ (আঃ), শেষ রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
৩. আল্লাহ তা‘আলা কথা বলেন- এ গুণ প্রমাণিত।
৪. রাসূল প্রেরণের হিকমত হল, যাতে কিয়ামাতের দিন মানুষ অভিযোগ না করতে পারে।
৫. স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা ও ফেরেশতারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের সাক্ষী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings