4:15
وَٱلَّٰتِى يَأۡتِينَ ٱلۡفَٰحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمۡ فَٱسۡتَشۡهِدُواۡ عَلَيۡهِنَّ أَرۡبَعَةً مِّنكُمۡۖ فَإِن شَهِدُواۡ فَأَمۡسِكُوهُنَّ فِى ٱلۡبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّٰهُنَّ ٱلۡمَوۡتُ أَوۡ يَجۡعَلَ ٱللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً١٥
Saheeh International
Those who commit unlawful sexual intercourse of your women - bring against them four [witnesses] from among you. And if they testify, confine the guilty women to houses until death takes them or Allah ordains for them [another] way.
১৫ হতে ১৮ নং আয়াতের তাফসীর : ইসলামের প্রাথমিক যুগে কোন নারী ব্যভিচারে লিপ্ত হলে এবং তা ন্যায়সঙ্গত প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত হলে তাকে বাড়িতে আমরণ বন্ধ করে রাখা হত।অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের পথ খুলে দেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: যখন সূরা নিসা নাযিল হল তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: সূরা নিসা নাযিলের পর (ব্যভিচারী) মহিলাদের আর ঘরে আবদ্ধ থাকতে হবে না। (বরং শাস্তি প্রয়োগ করে ছেড়ে দেয়া হবে)। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: আমার কাছ থেকে গ্রহণ কর, আল্লাহ তা‘আলা তাদের (ব্যভিচারীদের) পথ বের করে দিয়েছেন। তা হল, ব্যভিচারী বিবাহিত হলে একশত বেত্রাঘাত ও রজম আর অবিবাহিত হলে একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছর দেশান্তর। (আহমাদ: ৫/৩১৮, তিরমিযী হা: ১১৪৩৪, সহীহ)বিবাহিত ব্যক্তি ব্যভিচার করলে শুধু রজম মেরে হত্যা করা আর অবিবাহিত ব্যক্তিকে একশত বেত্রাঘাত ও এক বছর দেশান্তর উভয়টি করতে হবে। (সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ: ৪/৩৭-৪২)এটাই সঠিক কথা যদিও মতানৈক্য রয়েছে।(وَالَّذٰنِ يَأْتِيٰنِهَا) ‘আর তোমাদের মধ্যে যে দু’জন এ কুকর্মে লিপ্ত হয়’ এ আয়াতের বিধান পূর্বের আয়াতের বিধান অবতীর্ণ হবার পূর্বে অবতীর্ণ হয়। অর্থাৎ অবিবাহিত-ব্যভিচার ও ব্যভিচারিণীকে একশত বেত্রাঘাত ও এক বছর দেশান্তর এবং বিবাহিত হলে রজম- এ বিধানের পূর্বে।(ثُمَّ يَتُوْبُوْنَ مِنْ قَرِيْبٍ) ‘অতঃপর তাড়াতাড়ি তাওবাহ করে নেয়’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল মৃত্যু আসার পূর্বেই তাওবাহ করা। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ان اللّٰهُ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْআল্লাহ তা‘আলা বান্দার তাওবাহ কবূল করেন যে পর্যন্ত না গড়গড়া উপস্থিত হয়। (আহমাদ: ৩/৪২৫, সহীহ)بِجَهَالَةٍ বা অজ্ঞতাবশত। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবাগণ এ বিষয়ে একমত যে, প্রত্যেক অবাধ্য কাজ অজ্ঞতাবশত হয়। সে ইচ্ছায় করুক আর অনিচ্ছায় করুক।মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, প্রত্যেক আল্লাহ তা‘আলার অবাধ্য ব্যক্তি অজ্ঞ যখন সে অবাধ্যতা করে। (তিরমিযী হা: ৩৫৩৭, হাসান। তাফসীর ইবনে কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)তবে সঠিক কথা হল: যদি গুনাহ সেচ্ছায় বারবার এবং বেপরোয়াভাবে না করে। (আয়সারুত তাফসীর, ১/৩৭৬) আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়: ১. ব্যভিচার একটি জঘন্য অপরাধ, যা যুবকদের বিবাহের প্রতি নিরুৎসাহিত করে, নারীর জীবন ধ্বংস করে, সমাজে পাপ কাজের সয়লাব হয়, আল্লাহ তা‘আলার গযব ডেকে নিয়ে আসে সর্বপোরি বংশনামা নষ্ট হয়। ইসলামের বিধান কার্যকর করলে সবকিছুর উপযুক্ত ব্যবস্থা হবে।২. ফির‘আউনের মত তাওবাহ করলে তা কবুল হবে না।৩. জেনেশুনে অপরাধ করলে তার জন্য অবশ্যই পাকড়াও করা হবে।৪. একজন বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ হাদীস দ্বারা কুরআনের ওপর বৃদ্ধি শরীয়তসিদ্ধ।
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us