Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 134
Saheeh International
Whoever desires the reward of this world - then with Allah is the reward of this world and the Hereafter. And ever is Allah Hearing and Seeing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৩১-১৩৪ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রুবুবিয়্যার বিষয়ে বলেন যে, তিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর একচ্ছত্র মালিক, সবকিছুর কর্তৃত্ব তাঁর হাতে। তিনি ছাড়া অন্য কেউ সকল সৃষ্টির ক্ষেত্রে অংশীদার নেই। তারপর আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাবধারীদেরকে যেরূপ তাকওয়া অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাদেরকেও সে নির্দেশ প্রদান করছেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন কাউকে ওসিয়ত করতেন তখন তাকওয়ার ওসিয়ত করতেন এবং যখন যুদ্ধে কোন বাহিনী প্রেরণ করতেন তখন প্রথমে তাকওয়ার ওসিয়ত করতেন। আবূ যার (রাঃ)-কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আমি তোমাকে তোমার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল বিষয়ে তাকওয়ার ওসিয়ত করছি। (মুসনাদ আহমাদ হা:২১৫৭৩) এভাবে চার খলীফারাও ওসিয়ত করতেন। সুতরাং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে চলা উচিত।
(إِنْ يَّشَأْ يُذْهِبْكُمْ)
‘তিনি (আল্লাহ) ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করে অপরকে আনতে পারেন’ আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় না করে তাঁর সাথে কুফরী করলে আল্লাহ তা‘আলা এদেরকে পরিবর্তন করে অন্য জাতি নিয়ে আসবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَرَبُّکَ الْغَنِیُّ ذُو الرَّحْمَةِﺚ اِنْ یَّشَاْ یُذْھِبْکُمْ وَیَسْتَخْلِفْ مِنْۭ بَعْدِکُمْ مَّا یَشَا۬ئُ کَمَآ اَنْشَاَکُمْ مِّنْ ذُرِّیَّةِ قَوْمٍ اٰخَرِیْنَﯔﺚ)
“তোমার প্রতিপালক অভাবমুক্ত, দয়াশীল। তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে অপসারিত করতে এবং তোমাদের পরে যাকে ইচ্ছা তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করতে পারেন, যেমন তোমাদেরকে তিনি অন্য এক সম্প্রদায়ের বংশ হতে সৃষ্টি করেছেন।”(সূরা আন‘আম ৬:১৩৩)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ھٰٓاَنْتُمْ ھٰٓؤُلَا۬ئِ تُدْعَوْنَ لِتُنْفِقُوْا فِیْ سَبِیْلِ اللہِﺆ فَمِنْکُمْ مَّنْ یَّبْخَلُﺆ وَمَنْ یَّبْخَلْ فَاِنَّمَا یَبْخَلُ عَنْ نَّفْسِھ۪ﺚ وَاللہُ الْغَنِیُّ وَاَنْتُمُ الْفُقَرَا۬ئُﺆ وَاِنْ تَتَوَلَّوْا یَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَیْرَکُمْﺫ ثُمَّ لَا یَکُوْنُوْٓا اَمْثَالَکُمْﭵ)
“দেখ, তোমাদেরকে বলা হচ্ছে যে, আল্লাহর পথে মাল খরচ কর। তখন তোমাদের মধ্যে কতক লোক কার্পণ্য করেছে। অথচ যে কার্পণ্য করেছে সে আসলে নিজের সাথে নিজেই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত আর তোমরাই অভাবগ্রস্ত । যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে রাখ তাহলে আল্লাহ তোমাদের বদলে অন্য কাওমকে নিয়ে আসবেন। আর তারা তোমাদের মত হবে না।”(সূরা মুহাম্মাদ ৪৭:৩৮)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীবাসীকে অবগত করেছেন, যে ব্যক্তি তার কৃত আমল দ্বারা কেবল দুনিয়াই কামনা করবে- জেনে রাখা দরকার যে, আল্লাহ তা‘আলার নিকট দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের প্রতিদান রয়েছে। তাই সকল আমলের প্রতিদান উভয় জগতের জন্য কামনা করা উচিত।
আর যারা দুনিয়া কামনা করবে আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা দুনিয়াতে যতটুকু পরিমাণ প্রদান করবেন। কিন্তু আখিরাতে তার জাহান্নাম ছাড়া কোন উপায় নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَکَمْ اَھْلَکْنَا مِنَ الْقُرُوْنِ مِنْۭ بَعْدِ نُوْحٍﺚ وَکَفٰی بِرَبِّکَ بِذُنُوْبِ عِبَادِھ۪ خَبِیْرًۭا بَصِیْرًا)
“নূহের পর আমি কত মানবগোষ্ঠী ধ্বংস করেছি! তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের পাপাচরণের সংবাদ রাখা ও পর্যবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট।”(সূরা ইসরা ১৭:১৭) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَنْ کَانَ یُرِیْدُ الْحَیٰوةَ الدُّنْیَا وَزِیْنَتَھَا نُوَفِّ اِلَیْھِمْ اَعْمَالَھُمْ فِیْھَا وَھُمْ فِیْھَا لَا یُبْخَسُوْنَﭞ اُولٰ۬ئِکَ الَّذِیْنَ لَیْسَ لَھُمْ فِی الْاٰخِرَةِ اِلَّا النَّارُﺘ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوْا فِیْھَا وَبٰطِلٌ مَّا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَﭟ)
“যে ব্যক্তি পার্থিব জীবন ও তার সৌন্দর্য কামনা করে, দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেথায় তাদেরকে কম দেয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে অগ্নি ব্যতীত অন্য কিছুই নেই এবং তারা যা করে আখিরাতে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক।”(সূরা হুদ ১১:১৫-১৬)
তাই তো ইমাম মুহাম্মাদ বিন সুলাইমান আত তামীমী কিতাবুত তাওহীদে অধ্যায় বেঁধেছেন।
باب من الشرك إرادة الإنسان بعمله الدنيا
অধ্যায়: আমল দ্বারা দুনিয়া উদ্দেশ্য করা শির্ক। অতএব যে তাক্বওয়ার অসীয়ত আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তীদের ন্যায় আমাদেরকেও করেছেন, সে তাক্বওয়া অবলম্বন করতঃ সকল আমল একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্যই করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলকেই আল্লাহ তা‘আলার তাক্বওয়ার অসীয়ত করেন।
২. আল্লাহ তা‘আলা সকল সৃষ্টি থেকে অমুখাপেক্ষী।
৩. আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষকে ধ্বংস করে নতুন প্রজন্ম নিয়ে আসতে সক্ষম।
৪. সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য করতে হবে।
৫. পার্থিব কোন সার্থের জন্য আমল করা শির্ক।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings