Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 130
Saheeh International
But if they separate [by divorce], Allah will enrich each [of them] from His abundance. And ever is Allah Encompassing and Wise.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২৮-১৩০ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: সাওদা (রাঃ) আশঙ্কা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে তালাক দিয়ে দেবেন। সাওদা (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে তালাক দেবেন না। আমার পালার দিনগুলো আয়িশাকে দিয়ে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাই করলেন তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়:
(وَاِنِ امْرَاَةٌ خَافَتْ مِنْۭ بَعْلِھَا....) ।
(তিরমিযী হা: ৩০৪০, আবূ দাঊদ হা: ২১৩৫, সহীহ)
সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এ আয়াত সম্পর্কে আয়িশাহ (রাঃ) বলেন: কোন ব্যক্তির বিবাহ বন্ধনে কোন মহিলা থাকে কিন্তু স্বামী তার প্রতি আকৃষ্ট নয় বরং তাকে আলাদা করে দিতে চায়। তখন স্ত্রী বলে: আমার এ দাবী থেকে তোমাকে অব্যাহতি দিচ্ছি। এ সম্পর্কে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৩১)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা স্বামী-স্ত্রীর তিনটি অবস্থা তুলে ধরেছেন।
প্রথম অবস্থা হলো: যদি স্ত্রী বুঝতে পারে যে, তার স্বামী তাকে অপছন্দ করে এবং তার থেকে দূরে থাকে ও উপেক্ষা করে চলে বা যেকোন কারণবশত স্বামীর কাছে পছন্দনীয় নয়; এমতাবস্থায় স্ত্রী যদি তার প্রাপ্য অধিকার (মাহর, ভরণ-পোষণ বা নিজের পালা) থেকে কিছু ত্যাগ করে স্বামীর সাথে মীমাংসা, সন্ধি ও আপোষ করে নেয় তাহলে তাতে স্বামী-স্ত্রী কারো কোন গুনাহ হবে না। তালাকের চেয়ে আপোষ করে নেয়াই উত্তম।
الشُّحَّ কৃপণতা ও লালসাকে বলে। এখানে অর্থ হলো: নিজ নিজ স্বার্থ যা প্রত্যেকের কাছে প্রিয়। অর্থাৎ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ স্বার্থের খাতিরে কৃপণতা ও লোভ করে।
(وَلَنْ تَسْتَطِيْعُوْآ أَنْ تَعْدِلُوْا)
‘আর তোমরা যতই ইচ্ছা কর না কেন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না’ এটা দ্বিতীয় অবস্থা: কোন ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী থাকলে আন্তরিক সম্পর্ক ও ভালবাসায় সে সবার সাথে একরকম আচরণ করতে পারবে না। ভালবাসা অন্তরের কাজ যা কারো এখতিয়ারাধীন নয়। এমনকি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একাধিক স্ত্রীদের মধ্যে আয়িশাকে বেশি ভালবাসতেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুবিচার না করতে পারার অর্থ হল- আন্তরিক টান ও ভালবাসার অসমতা। তবে আন্তরিক টান যেন বাহ্যিক সমতা রক্ষা করতে বাধা না দেয়। তাহলে আল্লাহ তা‘আলার কাছে পাকড়াও হতে হবে। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সকল স্ত্রীদের মাঝে পালাসহ সবকিছু সমানভাগে ভাগ করে দেয়ার পর বলতেন: হে আল্লাহ তা‘আলা এটা হলো আমার ভাগ-বাটোয়ারা যার আমি মালিকানা রাখি, অতএব যার মালিক আমি নই, আপনি তার জন্য আমাকে তিরস্কার করবেন না। অর্থাৎ অন্তরের মালিক আপনি। কারো প্রতি আমার অন্তর ঝুঁকে গেলে সেটা আমি ধরে রাখতে পারব না।
অধিকাংশ মানুষ আন্তরিক ভালবাসার টানে স্ত্রীদের প্রতি জুলুম করে। এদের ব্যাপারে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তির দুজন স্ত্রী আছে সে যদি একজনের প্রতি ঝুকে পড়ে তাহলে সে কিয়ামাতের দিন দেহের কেবল অর্ধাংশ নিয়ে অবস্থায় উঠবে। (আবূ দাঊদ হা: ২১৩৩, তিরমিযী হা: ১১৪০, সহীহ)
کَالْمُعَلَّقَةِ ‘ঝোলানো অবস্থার ন্যায়’ - ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন: অর্থাৎ স্ত্রীকে এমনভাবে রাখে যেন সে তালাক প্রাপ্তা নয় এবং বিবাহিতাও নয়। (সহীহ বুখারী, এ আয়াতের তাফসীর অধ্যায়)
(وَإِنْ يَّتَفَرَّقَا)
‘যদি তারা পরস্পর পৃথক হয়ে যায়’এটা তৃতীয় অবস্থা: শত চেষ্টা করার পরেও যদি একত্রে থাকা সম্ভব না হয় তাহলে আলাদা হয়ে যাবে। তালাকের পর পুরুষ চাহিদা অনুযায়ী বিবাহ করে নেবে। মহিলা অন্যত্র চাহিদামত স্বামী গ্রহণ করে নেবে। আল্লাহ তা‘আলা উভয়কে একে অপর থেকে অমুখাপেক্ষী করে রাখবেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. স্বামী-স্ত্রী একত্রে থাকা অসম্ভব হয়ে গেলে সন্ধি করে থাকলে কোন গুনাহ হবে না।
২. স্ত্রীদের সাথে সমতা বজায় রাখা আবশ্যক।
৩. সংশোধন করা সম্ভব না হলে স্বামী ও স্ত্রী পৃথক হয়ে যাওয়াই উত্তম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings