Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 114
Saheeh International
No good is there in much of their private conversation, except for those who enjoin charity or that which is right or conciliation between people. And whoever does that seeking means to the approval of Allah - then We are going to give him a great reward.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
১১৪-১১৫ নং আয়াতের তাফসীর:
জনগণের অধিকাংশ কথাই অমঙ্গলজনক হয়। তবে কতক লোক এমনও আছে যে, তারা মানুষকে দান খয়রাত করার, সকার্য সাধনের এবং পরস্পর মিলেমিশে থাকার উৎসাহ দিয়ে থাকে। তাফসীর-ই-ইবনে মিরদুওয়াই-এ রয়েছে, হযরত যায়েদ ইবনে হুনায়েশ (রঃ) বলেন, হযরত সুফইয়ান সাওয়ারী (রঃ) রোগ শয্যায় শায়িত হলে আমরা তাকে দেখতে যাই। আমাদের সঙ্গে হযরত সাঈদ ইবনে হাস্সানও (রঃ) ছিলেন। হযরত সুফইয়ান সাওরী (রঃ) হযরত সাঈদ (রঃ)-কে বলেন, “হে সাঈদ (রাঃ)! আপনি উম্মে সালেহ হতে যে হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন তা আজকে আবার বর্ণনা করুন। হযরত সাঈদ ইবনে হাস্সান (রঃ) বর্ণনা করতঃ বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ মানুষের সমস্ত কথাই তার জন্যে অমঙ্গল আনয়ন করে, তবে যদি সে আল্লাহর, যিকির, মানুষকে ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে (তবে সেটা মঙ্গলজনক)'। তখন হযরত সুফইয়ান সাওরী (রঃ) বলেন, এ বিষয়টিই (আরবী) -এ আয়াতে রয়েছে। (আরবী) -( ৭৮:৩৮) -এ আয়াতেও রয়েছে এবং (আরবী) (১০৩:১-২) -এ আয়াতেও রয়েছে।
মুসনাদ-ই-আহমাদে হযরত উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলতে শুনেছেনঃ ‘জনগণের মধ্যে মিলজুল এবং সন্ধি স্থাপনের উদ্দেশ্যে যে ব্যক্তি ভাল কথা বলে বা এদিক হতে ওদিকে এ প্রকারের আলাপ আলোচনা করে সে মিথ্যাবাদী নয়।' হযরত উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা (রাঃ) বলেন, তিন জায়গায় আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এরূপ কথা বলার অনুমতি দিতে শুনেছি। (১) যুদ্ধে, (২) জনগণের মধ্যে সন্ধি স্থাপনের উদ্দেশ্যে এবং (৩) স্বামীর এরূপ কথা বলা স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর এরূপ কথা বলা স্বামীকে। উম্মে কুলসুমের (রাঃ) রিওয়ায়েতে রাসূল (সঃ) হিজরাতকারীগণ এবং বাইআত গ্রহণকারীগণকে বলেন :আমি কি তোমাদেরকে এমন এক কাজের কথা বলে দেবনা যা নামায এবং রোযা অপেক্ষাও উত্তম? সাহাবীগণ বলেন, হ্যা, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনি বলুন। তখন তিনি বলেন :‘জনগণের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করা এবং তাদের পরস্পরের বিবাদ মিটিয়ে দেয়া।' (সুনান-ই-আবি দাউদ ইত্যাদি)।
মুসনাদ-ই-বায়ে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত আবু আইউব (রাঃ)-কে বলেনঃ এসো, আমি তোমাকে একটি ব্যবসায়ের কথা বলে দেই। লোকেরা যখন বিবাদে লিপ্ত হয় তখন তুমি তাদের মধ্যে সন্ধি করিয়ে দাও, যখন একজন অপরজন হতে সরে থাকে তখন তুমি তাদেরকে একত্রিত করে দাও।'
আল্লাহ তা'আলার বলেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রসন্নতা সন্ধানের জন্যে ঐরূপ করে, আমি তাকে মহান বিনিময় প্রদান করবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি শরীয়তের বিপরীত পথে চলে, শরীয়ত হয় এক দিকে এবং তার পথ হয় অন্যদিকে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এক দিকে চলার নির্দেশ দেন এবং সে অন্যদিকে চলে, অথচ সত্য তার নিকট প্রকাশিত হয়ে পড়েছে, সে দলীল প্রমাণাদি দেখেছে। তথাপি সে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করতঃ মুসলমানদের সরল ও পরিষ্কার পথ হতে সরে পড়েছে, সুতরাং আমিও তাকে ঐ বক্র ও খারাপ পথেই ফিরিয়ে দেব। ঐ খারাপ পথই তখন তার নিকট ভাল বলে মনে হবে, অতঃপর সে জাহান্নামে গিয়ে পৌছে যাবে।
মুসলমানদের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্য পথ অনুসন্ধান করাই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করা। কিন্তু কখনও হয় তো রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর স্পষ্ট কথারই উল্টো হয়, আবার কখনও কখনও ঐ জিনিসের বিপরীত হয় যার উপর মুহাম্মাদ (সঃ)-এর উম্মত সবাই একমত রয়েছে। তাদের দ্রতা ও নম্রতার কারণে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে ভুল হতে রক্ষা করেছেন। এ ব্যাপারে বহু হাদীসও রয়েছে এবং উসূলের হাদীসগুলোতে আমরা ওর বিরাট অংশ বর্ণনাও করেছি।
ইমাম শাফিঈ (রঃ) চিন্তা ও গবেষণার পর এ আয়াত হতেই উম্মতের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দলীল গ্রহণ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে এটাই এ ব্যাপারে উত্তম ও দৃঢ়তার জিনিস। তবে অন্য কয়েকজন ইমাম এ যুক্তিকে কঠিন ও আয়াত হতে দূরে বলেছেন। মোটকথা যারা মুমিনদের পথ হতে সরে পড়ে তাদের রজ্জুকে আল্লাহ তা'আলা ঢিল দিয়ে দেন। যেমন আল্লাহ পাক অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তুমি আমাকে ও যে এ কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাকে ছেড়ে দাও, সত্বরই আমি এমনভাবে ধরবো যে, সে জানতেই পারবে না।' (৬৮:৪৪) অন্য আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ যখন তারা বাঁকা হয়ে গেল তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের অন্তরকে বক্র করে দিলেন। (৬১:৫) আর একটি আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ ‘আমি তাদেরকে তাদের বিরুদ্ধাচরণে ছেড়ে দিচ্ছি, তন্মধ্যে তারা অন্ধভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শেষে তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল জাহান্নামই হবে। (৬:১১০) যেমন এক জায়গায় রয়েছে (আরবী) অর্থাৎ “একত্রিত কর গোনাহগারদেরকে এবং তাদের দোসরদেরকে।” (৩৭:২২) আর এক জায়গায় আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- (আরবী) অর্থাৎ ‘আগুন দেখে অত্যাচারীরা জেনে নেবে যে, তাদেরকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে হবে এবং তারা পলায়নের কোন স্থান পাবে না।' (১৮:৫৩)।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings