Surah An Nisa Tafseer
Tafseer of An-Nisa : 108
Saheeh International
They conceal [their evil intentions and deeds] from the people, but they cannot conceal [them] from Allah, and He is with them [in His knowledge] when they spend the night in such as He does not accept of speech. And ever is Allah, of what they do, encompassing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০৫-১০৯ নং আয়াতের তাফসীর:
শানে নুযূল:
এ আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে দীর্ঘ একটি বর্ণনা উল্লেখ করা হয়। ঘটনার সারসংক্ষেপ হল: আনসারদের যুফার গোত্রের তোমা অথবা বাশীর নামক এক ব্যক্তি অপর এক আনসারী ব্যক্তির বর্ম চুরি করে। যখন এ চুরির কথা ছড়াছড়ি হতে লাগল এবং সে বুঝতে পারল যে, তার চুরির কথা ফাঁস হয়ে যাবে তখন চুরিকৃত বর্মটি একজন ইয়াহূদীর বাড়িতে রেখে আসে। এখন যুফার গোত্রের লোক সকলে মিলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে লাগল: ঐ ইয়াহূদী চুরি করেছে।
ইয়াহূদী বলল: বাশীর চুরি করে আমার বাড়িতে রেখে গেছে। যুফার গোত্রের লোকেরা বাশীর বা তোমার সম্পর্কে প্রথমেই সতর্ক ছিল। তাই বার বার নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুঝাতে চেষ্টা করল যে, চুরি ইয়াহূদী করেছে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের চমৎকার কথাবার্তায় প্রভাবিত হয়ে (তিনি প্রকৃত ঘটনা জানেন না) ইয়াহূদীকে অপরাধী সাব্যস্ত করলেন। তখন নাযিল হল:
(خَصِيْمًا.... إِنَّآ أَنْزَلْنَآ إِلَيْكَ الْكِتٰبَ) ।
(তিরমিযী হা: ৩০৩৬, হাসান)
(بِمَآ أَرَاكَ اللّٰهُ)
‘আল্লাহ তোমাকে যা জানিয়েছেন’ এ আয়াত দ্বারা অনেক আলেম বলে থাকেন যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইজতিহাদ করে ফায়সালা দেয়ার অনুমতি আছে।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা আমার নিকট বিচার-ফায়সালার জন্য নিয়ে আস। আমি একজন মানুষ। হয়তো তোমাদের কেউ তার প্রমাণ পেশ করতে অধিক বাকপটু। আমি যা শুনি তার ভিত্তিতে তোমাদেরকে ফায়সালা দেই। অতএব আমার ফায়সালা দ্বারা কোন মুসলিম ব্যক্তির অংশ কেটে দিলে সে যেন তা গ্রহণ না করে। কেননা আমি তাকে একটি আগুনের টুকরা কেটে দিলাম। (আবূ দাঊদ হা: ৩৫৮৫, দারাকুতনী হা: ২৩৯, হাসান)
পরের আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন। কারণ তিনি যাচাই-বাছাই না করে নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফায়সালা দিয়ে দিয়েছেন।
অতঃপর এসব খিয়ানতকারীদের পক্ষে কথা বলতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিষেধ করছেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা খিয়ানতকারীদেরকে ভালবাসেন না।
এসব মুনাফিকরা এমন কথা নিয়ে রাতে শলাপরামর্শ করে যাতে আল্লাহ তা‘আলা অসন্তুষ্ট। তারা মানুষ থেকে গোপন রাখতে পারে কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তো তাদের সাথেই আছেন।
অতএব যে কোন কাজ সেটা বড় হোক আর ছোট হোক তা যাচাই বাছাই করে ফায়সালা প্রদান করা উচিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. সঠিক ঘটনা জেনে বিচার-ফায়সালা করা উচিত।
২. এ ঘটনা থেকে বুঝা যায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানতেন না।
৩. নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন সাধারণ মানুষ। তিনিও ভুল করতেন।
৪. প্রত্যেক যুগেই এসব খিয়ানতকারী বিদ্যমান।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings