Surah An Nisa Tafseer

Surah
Juz
Page
1
Al-Fatihah
The Opener
001
2
Al-Baqarah
The Cow
002
3
Ali 'Imran
Family of Imran
003
4
An-Nisa
The Women
004
5
Al-Ma'idah
The Table Spread
005
6
Al-An'am
The Cattle
006
7
Al-A'raf
The Heights
007
8
Al-Anfal
The Spoils of War
008
9
At-Tawbah
The Repentance
009
10
Yunus
Jonah
010
11
Hud
Hud
011
12
Yusuf
Joseph
012
13
Ar-Ra'd
The Thunder
013
14
Ibrahim
Abraham
014
15
Al-Hijr
The Rocky Tract
015
16
An-Nahl
The Bee
016
17
Al-Isra
The Night Journey
017
18
Al-Kahf
The Cave
018
19
Maryam
Mary
019
20
Taha
Ta-Ha
020
21
Al-Anbya
The Prophets
021
22
Al-Hajj
The Pilgrimage
022
23
Al-Mu'minun
The Believers
023
24
An-Nur
The Light
024
25
Al-Furqan
The Criterion
025
26
Ash-Shu'ara
The Poets
026
27
An-Naml
The Ant
027
28
Al-Qasas
The Stories
028
29
Al-'Ankabut
The Spider
029
30
Ar-Rum
The Romans
030
31
Luqman
Luqman
031
32
As-Sajdah
The Prostration
032
33
Al-Ahzab
The Combined Forces
033
34
Saba
Sheba
034
35
Fatir
Originator
035
36
Ya-Sin
Ya Sin
036
37
As-Saffat
Those who set the Ranks
037
38
Sad
The Letter "Saad"
038
39
Az-Zumar
The Troops
039
40
Ghafir
The Forgiver
040
41
Fussilat
Explained in Detail
041
42
Ash-Shuraa
The Consultation
042
43
Az-Zukhruf
The Ornaments of Gold
043
44
Ad-Dukhan
The Smoke
044
45
Al-Jathiyah
The Crouching
045
46
Al-Ahqaf
The Wind-Curved Sandhills
046
47
Muhammad
Muhammad
047
48
Al-Fath
The Victory
048
49
Al-Hujurat
The Rooms
049
50
Qaf
The Letter "Qaf"
050
51
Adh-Dhariyat
The Winnowing Winds
051
52
At-Tur
The Mount
052
53
An-Najm
The Star
053
54
Al-Qamar
The Moon
054
55
Ar-Rahman
The Beneficent
055
56
Al-Waqi'ah
The Inevitable
056
57
Al-Hadid
The Iron
057
58
Al-Mujadila
The Pleading Woman
058
59
Al-Hashr
The Exile
059
60
Al-Mumtahanah
She that is to be examined
060
61
As-Saf
The Ranks
061
62
Al-Jumu'ah
The Congregation, Friday
062
63
Al-Munafiqun
The Hypocrites
063
64
At-Taghabun
The Mutual Disillusion
064
65
At-Talaq
The Divorce
065
66
At-Tahrim
The Prohibition
066
67
Al-Mulk
The Sovereignty
067
68
Al-Qalam
The Pen
068
69
Al-Haqqah
The Reality
069
70
Al-Ma'arij
The Ascending Stairways
070
71
Nuh
Noah
071
72
Al-Jinn
The Jinn
072
73
Al-Muzzammil
The Enshrouded One
073
74
Al-Muddaththir
The Cloaked One
074
75
Al-Qiyamah
The Resurrection
075
76
Al-Insan
The Man
076
77
Al-Mursalat
The Emissaries
077
78
An-Naba
The Tidings
078
79
An-Nazi'at
Those who drag forth
079
80
Abasa
He Frowned
080
81
At-Takwir
The Overthrowing
081
82
Al-Infitar
The Cleaving
082
83
Al-Mutaffifin
The Defrauding
083
84
Al-Inshiqaq
The Sundering
084
85
Al-Buruj
The Mansions of the Stars
085
86
At-Tariq
The Nightcommer
086
87
Al-A'la
The Most High
087
88
Al-Ghashiyah
The Overwhelming
088
89
Al-Fajr
The Dawn
089
90
Al-Balad
The City
090
91
Ash-Shams
The Sun
091
92
Al-Layl
The Night
092
93
Ad-Duhaa
The Morning Hours
093
94
Ash-Sharh
The Relief
094
95
At-Tin
The Fig
095
96
Al-'Alaq
The Clot
096
97
Al-Qadr
The Power
097
98
Al-Bayyinah
The Clear Proof
098
99
Az-Zalzalah
The Earthquake
099
100
Al-'Adiyat
The Courser
100
101
Al-Qari'ah
The Calamity
101
102
At-Takathur
The Rivalry in world increase
102
103
Al-'Asr
The Declining Day
103
104
Al-Humazah
The Traducer
104
105
Al-Fil
The Elephant
105
106
Quraysh
Quraysh
106
107
Al-Ma'un
The Small kindnesses
107
108
Al-Kawthar
The Abundance
108
109
Al-Kafirun
The Disbelievers
109
110
An-Nasr
The Divine Support
110
111
Al-Masad
The Palm Fiber
111
112
Al-Ikhlas
The Sincerity
112
113
Al-Falaq
The Daybreak
113
114
An-Nas
Mankind
114

An-Nisa : 102

4:102
وَإِذَاكُنتَفِيهِمْفَأَقَمْتَلَهُمُٱلصَّلَوٰةَفَلْتَقُمْطَآئِفَةٌمِّنْهُممَّعَكَوَلْيَأْخُذُوٓا۟أَسْلِحَتَهُمْفَإِذَاسَجَدُوا۟فَلْيَكُونُوا۟مِنوَرَآئِكُمْوَلْتَأْتِطَآئِفَةٌأُخْرَىٰلَمْيُصَلُّوا۟فَلْيُصَلُّوا۟مَعَكَوَلْيَأْخُذُوا۟حِذْرَهُمْوَأَسْلِحَتَهُمْوَدَّٱلَّذِينَكَفَرُوا۟لَوْتَغْفُلُونَعَنْأَسْلِحَتِكُمْوَأَمْتِعَتِكُمْفَيَمِيلُونَعَلَيْكُممَّيْلَةًوَٰحِدَةًوَلَاجُنَاحَعَلَيْكُمْإِنكَانَبِكُمْأَذًىمِّنمَّطَرٍأَوْكُنتُممَّرْضَىٰٓأَنتَضَعُوٓا۟أَسْلِحَتَكُمْوَخُذُوا۟حِذْرَكُمْإِنَّٱللَّهَأَعَدَّلِلْكَٰفِرِينَعَذَابًامُّهِينًا ١٠٢

Saheeh International

And when you are among them and lead them in prayer, let a group of them stand [in prayer] with you and let them carry their arms. And when they have prostrated, let them be [in position] behind you and have the other group come forward which has not [yet] prayed and let them pray with you, taking precaution and carrying their arms. Those who disbelieve wish that you would neglect your weapons and your baggage so they could come down upon you in one [single] attack. But there is no blame upon you, if you are troubled by rain or are ill, for putting down your arms, but take precaution. Indeed, Allah has prepared for the disbelievers a humiliating punishment.

Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)

ভয়ের নামায কয়েক প্রকার এবং এর কয়েকটি অবস্থা আছে। কখনও এমন হয় যে, শত্রুরা কিবলার দিকে রয়েছে। কখনও তারা অন্য দিকে হয়। আবার নামাযও কখনও চার রাকআতের হয়। কখনও তিন রাকআতের হয়, যেমন মাগরিব। কখনও আবার দু'রাকআতের হয়, যেমন ফজর ও সফরের নামায। কখনও জামাআতের সাথে পড়া সম্ভব হয়, আবার কখনও শক্ররা এত মুখখামুখী হয়ে থাকে যে, জামাআতের সাথে নামায পড়া সম্ভবই হয় না। বরং পৃথক পৃথকভাবে কিবলার দিকে মুখ করে বা অন্য দিকে মুখ করে, পায়ে হেঁটে হেঁটে বা সোয়ারীর উপরে, যেভাবেই সম্ভব হয় পড়ে নেয়া হয়। বরং এমনও হয় এবং ওটা জায়েযও বটে যে, শত্রুদের উপর আক্রমণ চালাতেই থাকা হয়, তাদেরকে প্রতিরোধও করা হয়, আবার নামায আদায় করে যাওয়া হয়। আলেমগণ শুধু এক রাকআত নামায পড়ারও ফতওয়া দিয়েছেন। তাঁদের দলীল হচ্ছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসটি যা এর পূর্ববর্তী আয়াতের তাফসীরে বর্ণিত হয়েছে। আতা (রঃ), জাবির (রঃ), হাসান বসরী (রঃ), মুজাহিদ (রঃ), কাতাদাহ্ (রঃ), হাম্মাদ (রঃ), তাউস (রঃ), যহহাক (রঃ), মুহাম্মদ নাসর আল মারূযী (রঃ) এবং ইবনে হাযামেরও (রঃ) এটাই ফতওয়া। এ অবস্থায় যোহরের নামাযে এক রাকআতই রয়ে যায়।

হযরত ইসহাক ইবনে রাহউয়াই (রঃ) বলেন যে, এরূপ দৌড়াদৌড়ির সময় এক রাকআতই যথেষ্ট। ইশারা করেই পড়বে। যদি এটাও সম্ভব না হয় তবে একটা সিজদাহ করবে। এটাও অল্লাহর যিকির। অন্যেরা বলেন যে, শুধু একটি তাকবীরই যথেষ্ট। কিন্তু এটাও হতে পরে যে, একটি সিজদা ও একটি তাকবীরের ভাবার্থ হচ্ছে এক রাকআত নামায। এটা হচ্ছে ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এবং তার সঙ্গীদের ফতওয়া। হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ), হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ), হযরত কা'ব (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণেরও এটাই উক্তি। কিন্তু যেসব লোক শুধু একটি তাকবীরের কথা বলেছেন তারা ওটাকে পূর্ণ রাকআতের উপর প্রয়োগ করেন না, বরং ভাবার্থ তাকবীরই নিয়ে থাকেন। যেমন এটা হচ্ছে ইসহাক ইবনে রাহ্উয়াইর মাযহাব। আমীর আবদুল ওয়াহ্হাব ইবনে বাখৃত মাক্কীও (রঃ) ঐ দিকেই গিয়েছেন। এমনকি তিনি বলেন যে, যদি একটি তাকবীরের উপরও সক্ষম না হয় তবে স্বীয় নাফসের মধ্যেও ওটা ছেড়ে দেবে না। অর্থাৎ শুধু নিয়ত করে নেবে। আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে বেশী জানেন।

কোন কোন আলেম এরূপ বিশেষ সময়ে নামাযকে বিলম্বে পড়ারও অবকাশ দিয়েছেন। তাদের দলীল এই যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) পরিখার যুদ্ধে সূর্যাস্তের পর যোহর ও আসরের নামায আদায় করেছেন। তার পরে মাগরিব ও ইশার নামায পড়েছেন। এর পরে বানু কুরাইযার যুদ্ধে যাদেরকে প্রেরণ করেছিলেন তাদেরকে তিনি খুব জোর দিয়ে বলেছিলেনঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ যেন বানূ কুরাইযাদের নিকট পৌছার পূর্বে আসরের নামায না পড়ে। ঐ লোকগুলো পথে থাকতেই আসরের সময় হয়ে যায়। তখন কেউ কেউ বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর আমাদেরকে এ কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল শুধু এই যে, আমরা যেন তাড়াতাড়ি বানু কুরাইযার নিকট পৌছে যাই, তার উদ্দেশ্য এটা ছিল না যে, পথে আসরের সময় হয়ে গেলেও আমরা নামায পড়বো না। সুতরাং পথেই তারা নামায আদায় করে নেন। অন্যেরা বানু কুরাইযার নিকট পৌঁছার পর আসরের নামায আদায় করেন। সে সময় সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। নবী (সঃ)-এর সামনে ওটা বর্ণনা করা হলে কোন দলকেই ধমক দিলেন না। আমরা কিতাবুস সীরাতে এর বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তথায় আমরা এটা প্রমাণ করেছি যে, ঐদলটিই বেশী সঠিক কাজ করেছিলেন যারা সময়মত নামায আদায় করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় দলটির ওরও শরীয়ত সমর্থিত ওযরই ছিল। উদ্দেশ্যে এই যে, ঐ দলটি জিহাদের স্থলে শত্রুদের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের দুর্গের উপর আক্রমণ অব্যাহত রেখে নামায বিলম্বে আদায় করেন। শত্রুদের ঐ দলটি ছিল অভিশপ্ত ইয়াহুদীর দল। তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল এবং সন্ধির শর্তের বিপরীত কাজ করেছিল। কিন্তু জমহুর বলেন যে, খাওফের নামাযের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর এসব রহিত হয়ে যায়। এটা ছিল এ আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বের ঘটনা। খাওফের নামাযের নির্দেশ জারী হওয়ার পর জিহাদের সময় নামাযকে বিলম্বে পড়ার বৈধতা আর নেই। হযরত আবু সাঈদ (রঃ)-এর রিওয়ায়েত দ্বারাও এটাই প্রকাশিত হয়েছে, ইমাম শাফিঈ (রঃ) যা বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সহীহ বুখারী শরীফে (আরবী) এ অধ্যায়ে রয়েছে যে, আওযায়ী (রঃ) বলেনঃ যদি বিজয়ের প্রস্তুতি নেয়া হয় ও জামাআতের সঙ্গে নামায পড়া সম্ভবপর না হয় তবে প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় নামায পৃথক পৃথকভাবে ইশারার মাধ্যমে আদায় করবে। যদি ওটাও সম্ভব না হয় তবে বিলম্ব করবে যে পর্যন্ত না যুদ্ধ শেষ হয় অথবা নিরাপত্তা লাভ হয়। অতঃপর দু'রাকআত পড়ে নেবে। কিন্তু যদি নিরাপত্তা লাভ না হয় তবে এক রাকআত আদায় করতে হবে। শুধু তাকবীর পাঠ যথেষ্ট নয়। যদি এ অবস্থাই হয় তবে। নামায বিলম্বে পড়তে হবে, যে পর্যন্ত শান্তি ও নিরাপত্তা না আসে।' হযরত মাকলেরও (রঃ) এটাই উক্তি।

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেনঃ ‘তিসতার দুর্গের অবরোধের সময় আমি বিদ্যমান ছিলাম। সুবেহ-সাদিকের সময় ভীষণ যুদ্ধ শুরু হয়। আমরা ফজরের নামায পড়তে পারিনি, বরং যুদ্ধেই লিপ্ত ছিলাম। যখন আল্লাহ পাক আমাদেরকে দুর্গের উপর বিজয় দান করেন তখন সূর্য উপরে উঠে যাওয়ার পর আমরা ফজরের নামায আদায় করি। ঐ যুদ্ধে আমাদের ইমাম ছিলেন। হযরত আবূ মূসা (রাঃ)'। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, ‘ঐ নামাযের বিনিময়ে সারা দুনিয়া এবং ওর সমুদয় জিনিসও আমাকে খুশি করতে পারে না।

এরপর ইমাম বুখারী (রঃ) পরিখার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নামায বিলম্বে পড়ার বর্ণনা দেন। তারপর তিনি বান্ কুরাইযা যুক্ত ঘটনাটি এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিম্ন উক্তিটি আনয়ন করেনঃ “তোমরা বানু কুরাইযার নিকট পৌছার পূর্বে আসরের নামায আদায় করবে না। সম্ভবতঃ ইমাম বুখারী (রঃ) এটাই পছন্দ করেন যে, এরূপ তুমুল যুদ্ধে, ভয়াবহ বিপদ এবং আসন্ন বিজয়ের সময় নামায বিলম্বে আদায় করলে কোন দোষ নেই।

হযরত আবু মূসা (রাঃ)-এর নেতৃত্বে তিসতার দুর্গ বিজিত হওয়ার ঘটনাটি হযরত উমার ফারূক (রাঃ)-এর খিলাফতের যুগে সংঘটিত হয়। হযরত উমার (রাঃ) বা অন্য কোন সাহাবী যে এর প্রতিবাদ করেছেন এরূপ কোন বর্ণনা নকল করা হয়নি। এসব লোক একথাও বলেন যে, পরিখার যুদ্ধের সময়ও ‘খাওফের নামাযের আয়াতগুলো বিদ্যমান ছিল। কেননা, আয়াতগুলো ‘যাতুর রিকা’ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। আর এটা হচ্ছে পরিখার যুদ্ধের পূর্বের যুদ্ধ। এর উপর “সিয়ার’ ও ‘মাগাযীর’ জামহর-ই-উলামা একমত।

মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রঃ), ওয়াকেদী (রঃ), ওয়াকেদীর লেখক মুহাম্মাদ ইবনে সা'দ (রঃ) এবং খলীফা ইবনে খাইয়াত (রঃ) প্রমুখ মনীষীগণেরও এটাই উক্তি। তবে ইমাম বুখারী (রঃ) এবং আরও কয়েকজন মনীষীর উক্তি এই যে, যাতুর রিকা’র যুদ্ধ পরিখার যুদ্ধের পরে সংঘটিত হয়েছিল। এর প্রমাণ হচ্ছে হযরত আবু মূসা (রাঃ)-এর হাদীসটি এবং স্বয়ং তিনি খাইবারেই এসেছিলেন। আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। কিন্তু সব চাইতে বিস্ময়কর কথা এই যে, আল মুযানী (রঃ), কাযী আবু ইউসুফ (রঃ) এবং ইবরাহীম ইবনে ইসমাঈল ইবনে ‘আলিয়া (রঃ) বলেন যে, 'সলাতুল খওফ’ (ভয়ের নামায) মানসুখ হয়ে গেছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ (সঃ) পরিখার যুদ্ধে নামায বিলম্বে পড়েছেন। এ উক্তি সম্পূর্ণ গারীব। যেহেতু পরিখার যুদ্ধের পরবর্তী সলাতুল খওফের’ হাদীসগুলো এ নামায রহিত না হওয়ার প্রমাণ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। ঐ দিনে নামায বিলম্বে আদায় করাকে মাকহুল (রঃ) এবং আওযায়ী (রঃ)-এর উক্তির উপর মাহমল করাই যুক্তিসঙ্গত হবে। অর্থাৎ তাদের ঐ উক্তিটি যা তারা সহীহ বুখারীর উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন তা এই যে, আসন্ন বিজয়ের সময় নামায আদায় করা অসম্ভব হলে নামায বিলম্বে আদায় করা বৈধ।

আল্লাহ পাক স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলছেন-“যখন তুমি তাদের মধ্যে থাক তখন তাদের জন্যে নামায প্রতিষ্ঠিত কর।' অর্থাৎ যখন তুমি ভয়ের নামাযে ইমাম হয়ে নামায পড়াবে। এটা প্রথম অবস্থার সময় নয়। কেননা, সে সময় তো মাত্র এক রাকআত নামায পড়তে হবে এবং ওটাও আবার পৃথক পৃথকভাবে হেঁটে হেঁটে, সোয়ারীর উপরে, কিবলার দিকে মুখ করে বা না করে, বরং যে দিকে মুখ করে পড়া সম্ভব সে দিকেই পড়তে হবে। যেমন এর হাদীস পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।

এখন ইমাম ও জামাআতের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। এ আয়াতটি জামাআত ওয়াজিব হওয়ার প্রকৃষ্ট ও দৃঢ় দলীল। জামায়াতের কারণেই এত বড় সুবিধে দান করা হয়েছে। জামাআত ওয়াজিব না হলে এটা বৈধ করা হতো না। কেউ কেউ আবার এ আয়াত দ্বারা অন্য দলীলও গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন যে, এ সম্বোধন যখন নবী (সঃ)-কে করা হচ্ছে তখন জানা যাচ্ছে যে, 'সলাতুল খাওফ’ -এর হুকুম তাঁর পরে রহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এটা খুবই দুর্বল যুক্তি। এ যুক্তি ঐ রকমই যেমন যুক্তি ঐ লোকদের ছিল যারা খোলাফায়ে রাশেদীনকে যাকাত প্রদানে বিরত হয়েছিল এবং তারা কুরআন পাকের নিম্নেন আয়াতটিকে দলীল রূপে পেশ করেছিলঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে নবী (সঃ)! তুমি তাদের মাল হতে যাকাত গ্রহণ কর যদ্দ্বারা তুমি তাদেরকে পাক-পবিত্র করবে এবং তুমি তাদের জন্যে করুণার প্রার্থনা জানাও, নিশ্চয়ই তোমার প্রার্থনা তাদের জন্যে শান্তির কারণ হবে।' (৯:১০৩) এ আয়াতকে কেন্দ্র করেই তারা বলেছিলঃ “আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পরে আর কাউকেও যাকাতের মাল প্রদান করবো না, বরং স্বহস্তে যাকে চাইবো তাকেই দেবো। আর শুধু তাকেই দেবো যার প্রার্থনা আমাদের জন্যে শান্তির কারণ হবে। কিন্তু ওটা তাদের বাজে যুক্তি ছিল। এ কারণেই সাহাবীগণ তাদের যুক্তি অগ্রাহ্য করেন এবং তাদেরকে যাকাত প্রদানে বাধ্য করেন। আর তাদের মধ্যে যারা এর পরেও যাকাত প্রদানে বিরত থাকে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

এখন আমরা এ আয়াতটির ‘সিফাত’ বর্ণনা করার পূর্বে তার শান-ই-নমূল বর্ণনা করছি। তাফসীর-ই-ইবনে জারীরে রয়েছে যে, বানূ নাজ্জারের একটি গোত্র রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করেঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমরা তো প্রায়ই ভূ-পৃষ্ঠে পর্যটন করে থাকি। অতএব আমরা নামায কিরূপে আদায় করবো?' তখন আল্লাহ তাআলা (আরবী) অর্থাৎ যখন তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে পর্যটন কর তখন তোমরা নামায কসর’ (সংক্ষেপ) করলে তোমাদের কোন দোষ নেই'-এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। অতঃপর বছর ধরে আর কোন অহী অবতীর্ণ হয়নি।

রাসূলুল্লাহ (সঃ) এক যুদ্ধে ছিলেন। তথায় তিনি যোহরের নামাযের জন্যে দাড়িয়ে যান। মুশরিকরা তখন পরস্পর বলাবলি করে, ‘খুব ভাল সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি মুসলমানদেরকে তাদের এ নামাযের অবস্থায় একযোগে অকস্মাৎ আক্রমণ করতে পারতাম।' একথা শুনে অপর একজন বলে, ‘এ সুযোগ তো তোমরা আবার পাবে। ক্ষণেক পরেই তো তারা অপর একটি নামাযের (আসরের) জন্যে দাঁড়াবে। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা আসরের নামাযের পূর্বেই এবং যোহরের পরে (আরবী) হতে পূর্ণ দু’টি আয়াত অবতীর্ণ করেন। ফলে কাফিররা বিফল মনোরথ হয়। এ বর্ণনাটি অত্যন্ত গারীব। বা দুর্বল হলেও ওকে দৃঢ়কারী অন্যান্য বর্ণনাও রয়েছে। হযরত আবু আইয়াশ (রাঃ) বলেন, 'আসফান' নামক স্থানে আমরা নবী করীম (সঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ) সে সময় কুফরীর অবস্থায় ছিলেন এবং তিনি ছিলেন মুশরিক সেনাবাহিনীর সেনাপতি। মুশরিকরা আমাদের সামনে কিবলামুখী হয়ে অবস্থান করছিল। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সঙ্গে আমরা যোহরের নামায আদায় করি। মুশরিকরা তখন পরস্পর বলাবলি করেঃ ‘আমরা তো সুযোগ ছেড়ে দিলাম। সময় এমন ছিল যে, তারা নামাযে লিপ্ত ছিল, এ অবস্থায় আমরা তাদেরকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করতাম। তখন তাদের কয়েকজন জ্ঞানী ব্যক্তি বললো, 'ভাল, কোন অসুবিধে নেই। এরপরে আর একটা নামাযের সময় আসছে এবং সে সময় নামায তাদের নিকট তাদের পুত্র ও স্বীয় প্রাণ অপেক্ষাও প্রিয়। অতঃপর যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে আল্লাহ তা'আলার হুকুমে হযরত জিবরাঈল (আঃ) (আরবী) আয়াতটি নিয়ে অবতীর্ণ হন। ফলে আসরের নামাযের সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) আমাদেরকে অস্ত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। আমরা তখন অস্ত্র গ্রহণ করতঃ তাঁর পিছনে দু'টি সারি হয়ে দাঁড়িয়ে যাই। অতঃপর তিনি রুকু করলে আমরা সবাই রুকূ করি। তারপর নবী (সঃ) সিজদা করেন, তাঁর সঙ্গে তাঁর পিছনের প্রথম সারির লোকেরাও সিজদা করে এবং অন্য সারির লোকেরা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করে। তারপর যখন এ লোকগুলো সিজদাকার্য সমাপ্ত করে দাঁড়িয়ে যায় তখন দ্বিতীয় সারির লোকগুলো সিজদায় চলে যায়। যখন এ দু'টি সারির লোকেরই সিজদা করা হয়ে যায় তখন প্রথম সারির লোকগুলো দ্বিতীয় সারির লোকদের স্থানে চলে যায়, আর দ্বিতীয় সারির লোকেরা প্রথম সারির লোকদের স্থানে চলে আসে। এরপর কিয়াম, রুকু' এবং কাওমা সবই রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সঙ্গেই আদায় করে। তারপর যখন তিনি সিজদায় যান তখন প্রথম সারির লোকেরা তার সাথে সিজদা করে এবং দ্বিতীয় সারির লোকেরা দাড়িয়ে পাহারা দিতে থাকে। যখন প্রথম সারির লোকেরা সিজদা সেরে আত্তাহিয়্যাতে বসে পড়ে তখন দ্বিতীয় সারির লোকগুলো সিজদায় যায় এবং আত্তাহিয়াতে সবাই এক সঙ্গে হয়ে যায় এবং সালামও সকলেই নবী (সঃ)-এর সঙ্গে এক সাথেই ফিরায়।

‘সালাতুল খাওফ’ (ভয়ের নামায) রাসূলুল্লাহ (সঃ) একবার প্রথমে এ আসফান' নামক স্থানে পড়েন এবং দ্বিতীয়বার বানূ সালিমের ভূমিতে পড়েন। এ হাদীসটি মুসনাদ-ই-আহমাদ, সুনান-ই-আবি দাউদ এবং সুনান-ই-নাসাঈর মধ্যেও রয়েছে। এর ইসনাদ বিশুদ্ধ এবং এর শাহেদও অনেক রয়েছে।

সহীহ বুখারীর মধ্যেও এ বর্ণনাটি সংক্ষিপ্তভাবে রয়েছে এবং তাতে আছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সঃ) নামাযে দাঁড়িয়ে গেলে ললাকেরাও তার সাথে দাড়িয়ে যায়। তিনি তাকবীর বললে তারাও তাকবীর বলে। তিনি রুকু' করলে লোকেরাও তাঁর সাথে রুকু করে। অতঃপর তিনি সিজদা করলে তারাও তাঁর সাথে সিজদা করে। তারপর তিনি দ্বিতীয় রাকআতের জন্যে দাড়িয়ে যান। তার সাথে তারাও দাড়িয়ে যান যারা তার সাথে। সিজদা করেছিল এবং তারপরে তারা তাদের ভাইদেরকে পাহারা দিতে থাকে। অতঃপর দ্বিতীয় দল চলে আসে তারা তার সাথে রুকু ও সিজদা করে। লোকেরা সবাই নামাযের মধ্যেই ছিল বটে, কিন্তু একে অপরকে পাহারাও দিচ্ছিল।

তাফসীর-ই-ইবনে জারীরে রয়েছে যে, হযরত সুলাইমান ইবনে কায়েস ইয়াসকারী (রঃ) হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ নামায কসর করার হুকুম কখন অবতীর্ণ হয়েছে?' তখন তিনি বলেন, ‘কুরাইশদের একটি যাত্রী দল সিরিয়া হতে আসছিল। আমরা তাদের দিকে গমন করি। আমরা নাখল নামক স্থানে পৌঁছলে একটি লোক রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট পৌছে যায় এবং তাঁকে বলে, “হে মুহাম্মাদ ! আপনি কি আমাকে ভয় করেন না?' তিনি বলেনঃ না।' সে বলেঃ আপনাকে আমা হতে কে বাঁচাতে পারে?' তিনি বলেনঃ “আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে নেবেন। অতঃপর তিনি তরবারী বের করে তাকে ধমক দেন ও ভয় প্রদর্শন করেন। তারপর তিনি তথা হতে প্রস্থানের নির্দেশ দেন এবং অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চলতে আরম্ভ করেন। অতঃপর আযান দেয়া হয় এবং সাহাবীগণ দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। একদল রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে নামায আদায় করছিলেন এবং অন্য দল পাহারা দিচ্ছিলেন। যে দলটি তাঁর সাথে মিলিত ছিলেন তাঁরা তাঁর সাথে দু’রাকআত পড়ে নেন। অতঃপর পিছনে সরে গিয়ে অন্য দলটির স্থানে চলে যান। এবং ঐদলটি তখন সম্মুখে অগ্রসর হয়ে প্রথম দলটির স্থানে দাঁড়িয়ে যান। তাদেরকেও রাসূলুল্লাহ (সঃ) দু'রাকআত পড়িয়ে দেন এবং সালাম ফেরান। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চার রাকআত হয় এবং ঐ দু’দলের-দু'রাকআত করে হয়, আর আল্লাহ তা'আলা নামায সংক্ষেপ করার ও অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে রাখার হুকুম নাযিল করেন।'

মুসনাদ-ই-আহমাদের এ হাদীসেই রয়েছে যে, যে লোকটি তরবারী নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে আক্রমণে উদ্যত হয়েছিল সে শত্রুগোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তার নাম ছিল গারাস ইবনে হারিস। যখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) আল্লাহ তা'আলার নাম উচ্চারণ করেন তখন তার হাত হতে তরবারী পড়ে যায় এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সে তরবারী উঠিয়ে নেন। অতঃপর তাকে বলেনঃ এখন তোমাকে কে রক্ষা করবে?' সে তখন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, আপনি আমার প্রতি সদয় হোন।' রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন তাকে বলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ মাবুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল?' সে বলেঃ না, তবে আমি এটা স্বীকার করছি যে, আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবো না এবং যারা আপনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তাদেরও সহযোগিতা করবো না।' রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে ছেড়ে দেন। সে নিজের লোকদের নিকট গিয়ে বলে, আমি দুনিয়ার সর্বোত্তম লোকের নিকট হতে তোমাদের নিকট এসেছি। অন্য বর্ণনায় রয়েছে। যে, ইয়াযীদ আল ফাকীর (রঃ) হযরত জাবীর (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ ‘সফরে যে দু'রাকআত নামায রয়েছে ওটা কি ‘কসর’? তিনি উত্তরে বলেনঃ ওটা পূর্ণ নামায। কসর' তো জিহাদের সময় মাত্র এক রাকআত।' অতঃপর তিনি এভাবেই ‘সলাতুল খাওফ’-এরও বর্ণনা দেন। তাতে এও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সালামের সাথে পিছনের লোকগুলোও সালাম ফেরান, আর ঐ লোকগুলোও সালাম ফেরান। তাতে উভয় অংশের সৈন্যদের সাথে এক রাকআত করে নামায পড়ার বর্ণনা রয়েছে। সুতরাং সকলেরই এক রাকআত করে হয় এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর দু'রাকআত হয়।

অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, একটি দল রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে নামায পড়ছিলেন এবং অন্য দল শক্রর সম্মুখে ছিলেন। এক রাকআতের পর তার পিছনের লোকগুলো ঐ দলের স্থানে চলে যান এবং তাঁরা এখানে চলে আসেন। এ হাদীসটি বহু পুস্তকে বহু সনদসহ হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে। আর যে হাদীসটি হযরত সালিম (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন তাতে এও রয়েছে যে, পরে সাহাবীগণ দাড়িয়ে নিজে নিজে এক রাকআত করে আদায় করে নেন। ঐ হাদীসটিরও বহু সনদ ও বহু শব্দ রয়েছে। হাফিয আবু বকর ইবনে মিরদুওয়াই (রঃ) এ সমস্তই জমা করেছেন এবং ঐ রকমই ইবনে জারীরও (রঃ) জমা করেছেন। এটা আমরা ইনশাআল্লাহ কিতাবুল আহকামিল কাবীরে লিখবো।

কারও কারও মতে ভয়ের নামাযে অস্ত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ বাধ্যতামূলক। কেননা, আয়াতের প্রকাশ্য শব্দগুলো দ্বারা এটাই বুঝা যায়। ইমাম শাফিঈরও (রঃ) এটাই উক্তি। এ আয়াতেরই পরবর্তী বাক্য এ উক্তির অনুকূলে রয়েছে। তথায় বলা হয়েছে-“যদি তোমরা বৃষ্টিপাতে বিব্রত হয়ে অথবা পীড়িত অবস্থায় অস্ত্র-শস্ত্র পরিত্যাগ কর তবে এতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই।'

তারপর বলা হচ্ছে-‘তোমরা স্বীয় আত্মরক্ষিকা সঙ্গে গ্রহণ কর।' অর্থাৎ এমন প্রস্তুত থাক যে, সময় আসলেই যেন বিনা কষ্ট ও অসুবিধেতেই অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হতে পার। আল্লাহ তা'আলা কাফিরদের জন্যে অপমানজনক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

Quran Mazid
go_to_top
Quran Mazid
Surah
Juz
Page
1
Al-Fatihah
The Opener
001
2
Al-Baqarah
The Cow
002
3
Ali 'Imran
Family of Imran
003
4
An-Nisa
The Women
004
5
Al-Ma'idah
The Table Spread
005
6
Al-An'am
The Cattle
006
7
Al-A'raf
The Heights
007
8
Al-Anfal
The Spoils of War
008
9
At-Tawbah
The Repentance
009
10
Yunus
Jonah
010
11
Hud
Hud
011
12
Yusuf
Joseph
012
13
Ar-Ra'd
The Thunder
013
14
Ibrahim
Abraham
014
15
Al-Hijr
The Rocky Tract
015
16
An-Nahl
The Bee
016
17
Al-Isra
The Night Journey
017
18
Al-Kahf
The Cave
018
19
Maryam
Mary
019
20
Taha
Ta-Ha
020
21
Al-Anbya
The Prophets
021
22
Al-Hajj
The Pilgrimage
022
23
Al-Mu'minun
The Believers
023
24
An-Nur
The Light
024
25
Al-Furqan
The Criterion
025
26
Ash-Shu'ara
The Poets
026
27
An-Naml
The Ant
027
28
Al-Qasas
The Stories
028
29
Al-'Ankabut
The Spider
029
30
Ar-Rum
The Romans
030
31
Luqman
Luqman
031
32
As-Sajdah
The Prostration
032
33
Al-Ahzab
The Combined Forces
033
34
Saba
Sheba
034
35
Fatir
Originator
035
36
Ya-Sin
Ya Sin
036
37
As-Saffat
Those who set the Ranks
037
38
Sad
The Letter "Saad"
038
39
Az-Zumar
The Troops
039
40
Ghafir
The Forgiver
040
41
Fussilat
Explained in Detail
041
42
Ash-Shuraa
The Consultation
042
43
Az-Zukhruf
The Ornaments of Gold
043
44
Ad-Dukhan
The Smoke
044
45
Al-Jathiyah
The Crouching
045
46
Al-Ahqaf
The Wind-Curved Sandhills
046
47
Muhammad
Muhammad
047
48
Al-Fath
The Victory
048
49
Al-Hujurat
The Rooms
049
50
Qaf
The Letter "Qaf"
050
51
Adh-Dhariyat
The Winnowing Winds
051
52
At-Tur
The Mount
052
53
An-Najm
The Star
053
54
Al-Qamar
The Moon
054
55
Ar-Rahman
The Beneficent
055
56
Al-Waqi'ah
The Inevitable
056
57
Al-Hadid
The Iron
057
58
Al-Mujadila
The Pleading Woman
058
59
Al-Hashr
The Exile
059
60
Al-Mumtahanah
She that is to be examined
060
61
As-Saf
The Ranks
061
62
Al-Jumu'ah
The Congregation, Friday
062
63
Al-Munafiqun
The Hypocrites
063
64
At-Taghabun
The Mutual Disillusion
064
65
At-Talaq
The Divorce
065
66
At-Tahrim
The Prohibition
066
67
Al-Mulk
The Sovereignty
067
68
Al-Qalam
The Pen
068
69
Al-Haqqah
The Reality
069
70
Al-Ma'arij
The Ascending Stairways
070
71
Nuh
Noah
071
72
Al-Jinn
The Jinn
072
73
Al-Muzzammil
The Enshrouded One
073
74
Al-Muddaththir
The Cloaked One
074
75
Al-Qiyamah
The Resurrection
075
76
Al-Insan
The Man
076
77
Al-Mursalat
The Emissaries
077
78
An-Naba
The Tidings
078
79
An-Nazi'at
Those who drag forth
079
80
Abasa
He Frowned
080
81
At-Takwir
The Overthrowing
081
82
Al-Infitar
The Cleaving
082
83
Al-Mutaffifin
The Defrauding
083
84
Al-Inshiqaq
The Sundering
084
85
Al-Buruj
The Mansions of the Stars
085
86
At-Tariq
The Nightcommer
086
87
Al-A'la
The Most High
087
88
Al-Ghashiyah
The Overwhelming
088
89
Al-Fajr
The Dawn
089
90
Al-Balad
The City
090
91
Ash-Shams
The Sun
091
92
Al-Layl
The Night
092
93
Ad-Duhaa
The Morning Hours
093
94
Ash-Sharh
The Relief
094
95
At-Tin
The Fig
095
96
Al-'Alaq
The Clot
096
97
Al-Qadr
The Power
097
98
Al-Bayyinah
The Clear Proof
098
99
Az-Zalzalah
The Earthquake
099
100
Al-'Adiyat
The Courser
100
101
Al-Qari'ah
The Calamity
101
102
At-Takathur
The Rivalry in world increase
102
103
Al-'Asr
The Declining Day
103
104
Al-Humazah
The Traducer
104
105
Al-Fil
The Elephant
105
106
Quraysh
Quraysh
106
107
Al-Ma'un
The Small kindnesses
107
108
Al-Kawthar
The Abundance
108
109
Al-Kafirun
The Disbelievers
109
110
An-Nasr
The Divine Support
110
111
Al-Masad
The Palm Fiber
111
112
Al-Ikhlas
The Sincerity
112
113
Al-Falaq
The Daybreak
113
114
An-Nas
Mankind
114
Settings