Surah Al Hujurat Tafseer
Tafseer of Al-Hujurat : 5
Saheeh International
And if they had been patient until you [could] come out to them, it would have been better for them. But Allah is Forgiving and Merciful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪-৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
শানে নূযুল :
বানী তামীম গোত্রের কিছু অজ্ঞ লোকের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়। তারা দুপুর বেলায় নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিশ্রামের সময় আগমন করে। তাদের কাছে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হয়ে আসার পূর্বেই ডাকতে শুরু করে, হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! আমাদের কাছে বেরিয়ে আস, এরূপ কথা বলে ডাকতে থাকে। তখন
(إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ...)
আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (আহমাদ : ৩/৪৮৮, সহীহ) আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তিরস্কার করে বলছেন, তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ। ডাকাডাকি না করে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করত তাহলে এটা তাদের জন্য উত্তম ছিল।
এ আয়াত নাযিল হলে আবূ বকর (রাঃ) বলেন : আল্লাহ তা‘আলার শপথ আমি আমার আওয়াজ কখনো উঁচু করব না, নিচু আওয়াজে কথা বলব। (মুসনাদ আহমাদ হা. ১৫৭০০, সহীহ)
প্রাচীর চতুষ্টয় দ্বারা বেষ্টিত স্থানকে الْحُجُرَاتِ বলা হয়। যাতে কিছু বারান্দা ও ছাদ থাকে। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ৯ জন স্ত্রী ছিলেন। তাদের প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথক হুজরা ছিল। তিনি পালাক্রমে এসব হুজরায় আসতেন। সহীহ বুখারীতে বর্ণিত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন : যখন আমি কোন আলেম সাহাবীর কাছ থেকে কোন হাদীস লাভ করতে চাইতাম তখন তাঁর গৃহে পৌঁছে ডাকাডাকি অথবা দরজার কড়া নাড়া থেকে বিরত থাকতাম এবং দরজার বাইরে বসে অপেক্ষা করতাম। তিনি যখন নিজেই বাইরে আগমন করতেন তখন আমি তাঁর কাছে হাদীস জিজ্ঞাসা করতাম। তিনি আমাকে দেখে বলতেন, হে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচাত ভাই! আপনি দরজার কড়া নেড়ে আমাকে সংবাদ দিলেন না কেন? ইবনু অব্বাস (রাঃ) বলেন : আলেম সমাজ জাতির জন্য পয়গম্বরসদৃশ। আল্লাহ তা‘আলা পয়গম্বর সম্পর্কে আদেশ দিয়েছেন যে, তাঁর বাহির হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা কর।
আবূ ওবায়দা (রাঃ) বলেন : আমি কোনদিন কোন আলেমের দরজায় যেয়ে নাড়া দেইনি। বরং অপেক্ষা করেছি, তিনি নিজেই বাইরে আসলে সাক্ষাত করব।
সুতরাং নাবীদের ওয়ারিশ আলেম সমাজের সম্মান ও মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রাখা মু’মিনদের দায়িত্ব। তবে যদি আলেম বিদ‘আতী হয় তাহলে তাকে সম্মান করা যাবে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুউচ্চ মর্যাদা ও সম্মানের বর্ণনা পেলাম।
২. গ্রাম্য ব্যক্তিরা সাধারণত আদব আখলাক সম্পর্কে একটু অজ্ঞ। তাই তাদের আচরণে মনঃক্ষুণœ না হয়ে আদব শিক্ষা দেয়া উচিত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings