Surah Al Hujurat Tafseer
Tafseer of Al-Hujurat : 3
Saheeh International
Indeed, those who lower their voices before the Messenger of Allah - they are the ones whose hearts Allah has tested for righteousness. For them is forgiveness and great reward.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
নামকরণ :
الْحُجُرَات শব্দটি حُجْرَةٌ এর বহুবচন, অর্থ হলো কক্ষসমূহ, কামরা, রুম ইত্যাদি। অত্র সূরার ৪ নং আয়াতে الْحُجُرَاتِ শব্দটি উল্লেখ রয়েছে, তাছাড়া এ সংক্রান্ত একটি ঘটনাও উক্ত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। তাই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। সূরার মূল আলোচনা ও শিক্ষার প্রতি লক্ষ্য রেখে একে
سورة الأخلاق والأدب
বা শিষ্টাচারের সূরাও বলা হয়। সূরাটি মদীনায় অবতীর্ণ হয়।
সূরা হুজরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এতে সামাজিক বিধি-বিধানসহ ধর্মীয় বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে। সামাজিক আচার-আচরণ ও শিষ্টাচার তুলে ধরা হয়েছে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও ধর্মীয় আলেমদের সাথে কিরূপ আদব রেখে কথা বলতে হবে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে মিথ্যা হাদীস তৈরির ভয়াবহতা, সংবাদ সংগ্রহ ও তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা, মু’মিনদের মাঝে আপোষে কোন বিষয়ে দ্বন্দ্ব হলে করণীয়, মুসলিমদের সম্মানের মূল্য ও তা যেন ক্ষুণœ না হয় সেজন্য বর্জনীয় আচরণ থেকে বিরত থাকা এবং যারা তাতে লিপ্ত হবে তাদের অপরাধের ভয়াবহতা, ঈমান ও ইসলামের মাঝে পার্থক্য এবং প্রকৃত সত্যবাদীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
১-৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
শানে নূযুল :
আবদুল্লাহ বিন যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : বনু তামীম গোত্রের একটি কাফিলা (তাদের নেতা নির্বাচনে) নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দরবারে আগমন করে। আবূ বাকর (রাঃ) বললেন : কা‘কা‘ বিন মা‘বাদকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে দিন। উমার (রাঃ) বললেন : আকরা বিন হাবেসকে নিযুক্ত করে দিন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন : (হে উমার) তুমি আমার বিরোধিতা করতে চাচ্ছ! উমার (রাঃ) বললেন : আমি আপনার বিরোধিতা করতে চাইনি। এভাবে কথা কাটাকাটি করতে করতে একপর্যায়ে তাদের আওয়াজ উঁচু হয়ে যায়। তখন
(یٰٓاَیُّھَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُقَدِّمُوْا بَیْنَ یَدَیِ اللہِ وَرَسُوْلِھ۪ وَاتَّقُوا اللہَ)
আয়াতটি অবতীর্ণ হয়ে মু’মিনদেরকে সতর্ক করা হয় তারা যেন রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপস্থিতিতে উঁচু আওয়াজে কথা না বলে। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮৪৭) এ ছাড়াও উক্ত আয়াতের কয়েকটি শানে নূযুল পাওয়া যায়। (ইবনু কাসীর, লুবাবুন নুকূল ফী আসবাবে নুযূল)
সূরার শুরুতেই আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে সতর্ক করে বললেন : “হে মু’মিনগণ!” এর অর্থ হল আল্লাহ তা‘আলা পরবর্তী যে আদেশ বা নিষেধ করছেন তা খুব সতর্কতার সাথে খেয়াল করা। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন : যখন তুমি আল্লাহ তা‘আলাকে বলতে শুনবে, “হে মু’মিনগণ!” তাহলে তুমি তা খুব খেয়াল করে শুনবে। কারণ হয়তো মহান আল্লাহ কোন কল্যাণের নির্দেশ দেবেন অথবা কোন অকল্যাণ থেকে নিষেধ করবেন। সুতরাং আমাদের কতটুকু সতর্ক হওয়া উচিত।
মুফাসসিরগণ (لَا تُقَدِّمُوْا) ‘তোমরা অগ্রবর্তী হয়ো না’ আয়াতের এ অংশের তিন ধরনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, তন্মধ্যে অধিক সঠিক ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাটি হল : (لَا تُقَدِّمُوْا) এ শব্দটি ভবিষ্যতমূলক অকর্মক ক্রিয়া (فعل لازم), যার অর্থ হল অগ্রবর্তী হয়ো না। (আযওয়াউল বায়ান ৭/৩৬২) অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে অগ্রবর্তী হয়ো না। কিন্তু কোন ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী হতে নিষেধ করা হয়েছে তা বলে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। তাই এতে ব্যাপকতার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থাৎ যে কোন কাজ ও কথায় আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অগ্রবর্তী হয়ো না। বরং নির্দেশ বা অনুমতির অপেক্ষা কর এবং যে কাজ ও কথা থেকে নিষেধ করেন তা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন :
(لَا تُقَدِّمُوْا بَيْنَ يَدَيِ اللّٰهِ)
অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা বলাকালীন কথা বলতে নিষেধ করা হচ্ছে। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
সুতরাং দীনের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা যা দেননি ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা বলেননি, করেননি এবং অনুমোদনও দেননি তা করা ও বলা স¤পূর্ণ হারাম। কারণ এসব করা ও বলা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অগ্রণী হওয়ার শামিল। এখান থেকে আরো শিক্ষা হল- যারা জ্ঞানে বড় তাদের সাথে শিষ্টাচার বর্হিভূত আচরণ করা অন্যায়। বরং শ্রদ্ধা রেখে শালীন আচরণ করতে হবে।
(وَاتَّقُوا اللّٰهَ) ‘আল্লাহকে ভয় কর’ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে তাঁকে ভয় কর। তাহলে ইহকালীন শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে আর পরকালে জাহান্নাম থেকে নাজাত পাবে। আল্লাহ তা‘আলা পূর্ববর্তী জাতিকেও তাকওয়ার অসিয়ত করেছিলেন। (সূরা নিসা ৪ : ১৩১)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : যখন
(يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ.....)
ওহে ‘যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের আওয়াজ নাবীর আওয়াজের চেয়ে উঁচু কর না’ আয়াতটি অবতীর্ণ হল তখন সাবেত বিন কায়েস বিন শামমাস বললেন : আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আওয়াজের ওপর আমার আওয়াজকে উঁচু করেছিলাম। আমার সকল আমল বাতিল হয়ে গেছে। আমি জাহান্নামবাসী। তিনি তাঁর বাড়িতে চিন্তিত অবস্থায় বসে রইলেন। একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে অনেক সময় ধরে পাচ্ছেন না। কিছু মানুষ তাঁর কাছে গেল। তারা বলল : আপনাকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাচ্ছেন না। আপনার কী হয়েছে? তিনি বললেন : আমি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আওয়াজের ওপর আমার আওয়াজকে উঁচু করেছিলাম। আমার সকল আমল বাতিল হয়ে গেছে। আমি তো জাহান্নামী হয়ে গেছি। তারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে এ খবর জানালো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : না বরং সে জান্নাতবাসী। তারপর তিনি ইয়ামামার যুদ্ধে শহীদ হন। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮৪৬)
لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ))
‘তোমাদের আওয়াজ নাবীর আওয়াজের চেয়ে উঁচু কর না’ অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা পুনরায় মু’মিনদেরকে সতর্ক করার জন্য হে ঈমানদারগণ বলে সম্বোধন করেছেন, যাতে তারা বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে। আল্লাহ তা‘আলা বলছেন ‘তোমাদের আওয়াজ নাবীর আওয়াজের চেয়ে উঁচু কর না’ এখানে এ শিক্ষা ও নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তারা যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মান ও মর্যাদার প্রতি সতর্ক থাকে। তাদেরকে নিষেধ করছেন যেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কণ্ঠস্বর থেকে তাদের কন্ঠস্বর উঁচু না করে এবং নিজেদের মাঝে যেমন পরস্পর আওয়াজ করে কথা বলে তেমনভাবে তাঁর সাথে আওয়াজ করে কথা বলবে না। আর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এমনভাবে সম্বোধন করবে না যেমনভাবে তোমরা একে অপরকে সম্বোধন করে থাক। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নাম ধরে ডাকবে না বরং তাঁর মর্যাদা ও সম্মানের সাথে উপযোগী হয় এমন ভাষায় সম্বোধন করবে। যেমন হে আল্লাহ তা‘আলার নাবী, হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল ইত্যাদি।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(لَا تَجْعَلُوْا دُعَا۬ءَ الرَّسُوْلِ بَيْنَكُمْ كَدُعَا۬ءِ بَعْضِكُمْ بَعْضًا)
রাসূলের আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরের প্রতি আহ্বানের মত গণ্য কর না (সূরা নূর ২৪ : ৬৩)। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের কোথাও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তাঁর নাম ধরে আহ্বান করেননি। কখনো হে নাবী (সূরা আনফাল ৮ : ৬৪) কখনো হে রাসূল (সূরা মায়িদা ৫ : ৪১) ইত্যাদি ভূষণে আহ্বান করেছেন। যেখানে তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন সেখানে সম্মানজনক উপাধিও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু অন্যান্য নাবীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা নাম নিয়ে সম্বোধন করেছেন। সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে তাঁকে সম্বোধন করা ও নিচু আওয়াজে কথা বলা আবশ্যক। অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবরের সামনে বেশি উঁচুস্বরে সালাম ও কালাম করা নিষিদ্ধ। কারণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্মান করা তাঁর মৃত্যুর পরও ওয়াজিব। তদনুরূপ যে মজলিসে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদীস পাঠ করা হয় সেখানে উঁচু আয়াজে কথা বলা নিষেধ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উত্তরাধিকারী আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের সাথেও এ আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। তবে আদব দেখাতে গিয়ে যেন সীমালংঘন না হয়।
সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে উঁচু আওয়াজে কথা না বলার জন্য এতো কঠিনভাবে নিষেধ করা হয় তাহলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে নিয়ে কটুক্তি করা, ব্যঙ্গ করা, তাঁর নামে মিথ্যা হাদীস তৈরি কত বড় অপরাধ হতে পারে!
দু’টি মাসআলা :
(১) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্মান প্রদর্শন না করে তাঁর মানহানীকর কোন কথা ও কাজ করা, তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করা কুফরী কাজ এবং যে তা করে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। তাবূক যুদ্ধ ফেরত যে সকল মুনাফিকরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবীদের নিয়ে ঠাট্টা করেছিল তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَلَئِنْ سَاَلْتَھُمْ لَیَقُوْلُنَّ اِنَّمَا کُنَّا نَخُوْضُ وَنَلْعَبُﺚ قُلْ اَبِاللہِ وَاٰیٰتِھ۪ وَرَسُوْلِھ۪ کُنْتُمْ تَسْتَھْزِءُوْنَﮐ لَا تَعْتَذِرُوْا قَدْ کَفَرْتُمْ بَعْدَ اِیْمَانِکُمْ)
“এবং তুমি তাদেরকে প্রশ্ন করলে তারা নিশ্চয়ই বলবে : ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করছিলাম।’ বল : ‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর নিদর্শন ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে বিদ্রূপ করছিলে? ‘তোমরা ওজর পেশ কর না। তোমরা ঈমান আনার পর কুফরী করেছ।” (সূরা তাওবা ৯ : ৬৫)
(২) আল্লাহ তা‘আলার হক ও বান্দার হকের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করা প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব যাতে এক জনের হক অপরজনকে প্রদান না করে। আল্লাহ তা‘আলার হক হল একমাত্র তাঁর ইবাদত করা আর বান্দার হকের মধ্যে নাবীর (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হক হল তাঁকে নাবী হিসেবে গ্রহণ করত তাঁর নির্দেশ পালন করা এবং নিষেধ থেকে বিরত থাকা এবং তিনি ইবাদত করার যে পথ ও রীতি দিয়ে গেছেন সে পথ ও রীতিতে ইবাদত করা। সুতরাং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে যেন ইলাহের মর্যাদায় পৌঁছে না দেই সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
(أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُوْنَ)
‘এমন করলে তোমাদের আমল বরবাদ হয়ে যাবে আর তোমরা টেরও পাবে না’ অর্থাৎ নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে উঁচ আওয়াজে কথা বলা থেকে নিষেধের কারণ হল, তাঁর সাথে এমন বেআদবীমূলক আচরণ করার কারণে হয়তো তিনি নারাজ হবেন ফলে আল্লাহ তা‘আলাও নারাজ হয়ে তোমাদের আমল বাতিল করে দিবেন কিন্তু তোমরা তা বুঝতেও পারবে না।
অতঃপর সেসব লোকেদের প্রশংসা করছেন যারা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আওয়াজকে নিচু করে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. দীনের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় কুরআন ও সুন্নাহর ওপর নিজের মতকে প্রাধান দেয়া।
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে কথাবার্তা বলার শিষ্টাচার জানতে পারলাম।
৩. যেখানে হাদীসের দারস হয় সেখানে উঁচু আওয়াজে কথা বলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে উঁচু আওয়াজে কথা বলার নামান্তর।
৪. দীনে বিদ‘আত সৃষ্টি করা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের অগ্রগামী হওয়ার শামিল।
৫. আলেম-উলামা ও ধর্মীয় নেতাদের সম্মান করতে হবে তবে সম্মান করতে গিয়ে যেন বাড়াবাড়ি না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings