Surah Al Fath Tafseer
Tafseer of Al-Fath : 16
Saheeh International
Say to those who remained behind of the bedouins, "You will be called to [face] a people of great military might; you may fight them, or they will submit. So if you obey, Allah will give you a good reward; but if you turn away as you turned away before, He will punish you with a painful punishment."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৬-১৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
যে-সকল বেদুঈনরা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে অংশগ্রহণ করেনি এবং তাতে অংশগ্রহণ না করার স্বপক্ষে বিভিন্ন মিথ্যা ওজর-আপত্তি পেশ করছে আর বলছে আমরাও তোমাদের সাথে যেতাম যদি আমাদের সম্পদ ও পরিবারের বেড়াজালে না পড়তাম তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা পরীক্ষামূলক বলছেন- হে নাবী! তুমি বলে দাও তোমাদেরকে এমন এক জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আহ্বান করা হবে যারা খুব শক্তিশালী, যুদ্ধ করে তাদেরকে হত্যা করতে হবে অথবা তারা আত্মসমর্পণ করবে। এখানে বিশেষভাবে শক্তিশালী জাতির কথা উল্লেখের অন্যতম একটি কারণ হল পেছনে থাকা বেদুঈনরা যদি সত্যিকার মু’মিন হয় এবং জিহাদের প্রতি আন্তরিকতা থাকে শুধু গনীমতের আশায় জিহাদে না যায় তাহলে শক্তিশালী জাতিকে কেউ ভয় করবে না। আর যদি অন্তরে মুনাফিকী থাকে তাহলে পূর্বের মতই বিভিন্ন মিথ্যা ওজর দেখিয়ে জিহাদে যাবে না।
এ শক্তিশালী জাতি কারা তা নিয়ে কয়েকটি মতামত পাওয়া গেলেও সঠিক কথা হল তারা পারস্য ও রোমবাসী এবং তাদের মত শক্তিশালী যারা রয়েছে। (তাফসীরে সা‘দী, অত্র আয়াতের তাফসীর)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা যুদ্ধ করবে এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যাদের চক্ষু ছোট ছোট এবং নাক হবে চেপটা। তাদের চেহারা হবে ঢালের মত। আবূ সুফিয়ান (রাঃ) বলেন : তারা হল তুর্কী। (আবূ দাউদ হা. ৪৩০৪, ইবনু মাযাহ হা. ৪০৯৭, সহীহ)
অতঃপর সেসকল লোকদের বিবরণ দেয়া হচ্ছে যারা যথাযথ ওজর থাকার কারণে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। তারা হল অন্ধ, খোঁড়া, অসুস্থ।
কোন মুসলিম এমন সমস্যাগ্রস্ত হলে তার জন্য জিহাদে না যাওয়ার অনুমতি রয়েছে তবে তাকে অবশ্যই জিহাদে গমণকারী মুজাহিদদের জন্য কল্যাণ কামনা করতে হবে এবং আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য করতে হবে। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন :
(وَإِنْ تَتَوَلَّوْا كَمَا تَوَلَّيْتُمْ مِّنْ قَبْلُ يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيْمًا)
‘আর যদি তোমরা আগের মতোই পেছনে ফিরে যাও তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন’ যখন এ আয়াতটি নাযিল হল তখন সাহাবীদের মাঝে যারা বিকলাঙ্গ লোক ছিল তারা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে, তারা জিহাদে অংশগ্রহণ করার যোগ্য নন। ফলে তারাও নাকি এ শাস্তির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। এ প্রেক্ষিতে
(لَيْسَ عَلَي الْأَعْمٰي حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَّلَا عَلَي الْمَرِيْضِ حَرَجٌ)
‘অবশ্য যদি অন্ধ, খোঁড়া ও রোগী জিহাদে না আসে তাহলে কোনো দোষ নেই’ এ আয়াত নাযিল হয়। (কুরতুবী)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. বিনা ওজরে জিহাদে অংশ গ্রহণ না করা মুনাফিকী কাজ।
২. যাদের জন্য যুদ্ধে না যাওয়ার অনুমতি রয়েছে তাদের উচিত মুজাহিদদের জন্য কল্যাণ কামনা করা।
৩. সত্যিকার মু’মিনরা কোন শক্তি ও সংখ্যাকে ভয় করে না, তারা আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলের আনুগত্য প্রকাশার্থে সর্বদা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings