Surah Al Ahqaf Tafseer
Tafseer of Al-Ahqaf : 31
Saheeh International
O our people, respond to the Messenger of Allah and believe in him; Allah will forgive for you your sins and protect you from a painful punishment.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২৯-৩২ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
একদল জিন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মুখে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করে মুসলিম হয়েছিল এবং তাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গিয়ে ঈমান আনার প্রতি আহ্বান জানায় আর যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করে। কারণ জিন জাতিও মানুষের মত আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত ও নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর শরীয়ত মেনে নিতে বাধ্য। এতে মক্কার মুশরিকদেরকে তিরস্কারও করা হল যে, জিন জাতি কুরআন শুনে ঈমান নিয়ে আসলো আর তোমরা ঈমান আনলে না!
সহীহ মুসলিমের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ ঘটনা মক্কার নিকটস্থ “নাখলা” নামক উপত্যকায় সংঘটিত হয়। সেখানে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। জীনেরা এ অনুসন্ধানে ছিল যে, আসমানে আমাদের ওপর অত্যাধিক কড়াকড়ি করে দেয়া হয়েছে এবং এখন সেখানে আমাদের যাওয়া প্রায় অসম্ভব করে দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে যার কারণে এ রকম হয়েছে। তাই পূর্ব ও পশ্চিমের বিভিন্ন দিকে জীনদের দল ঘটনার অনুসন্ধানে ছড়িয়ে পড়ল। তাদেরই একটি অনুসন্ধানী দল এ কুরআন শুনে বুঝে নেয় যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রেরণের এ ঘটনাই হল আমাদের আসমানে প্রবেশের প্রতিবন্ধকতার একমাত্র কারণ। জীনদের এ দলটি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনে এবং ফিরে গিয়ে তাদের জাতিকে এ কথা জানায়। সহীহ বুখারীতে এ ঘটনা বিদ্যমান। (সহীহ বুখারী হা. ৩৮৫৯, সহীহ মুসলিম হা. ৪৪৯) এ সম্পর্কে সূরা জিনে আরো আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
(أُنْزِلَ مِنْۭ بَعْدِ مُوْسٰي)
‘যা মূসা এর পর নাযিল করা হয়েছে’ ইবনু আব্বাস (আঃ) বলেন : জিনেরা ঈসা (আঃ)-এর কথা শোনেনি, তাই তারা বলেছে :
(أُنْزِلَ مِنْۭ بَعْدِ مُوْسٰي)।
কেননা কুরআন তো ইঞ্জিলের পর নাযিল হয়েছে যা ঈসা (আঃ)-এর ওপর নাযিল হয়েছে। বিশিষ্ট তাবেয়ী আতা বলেন : তারা ইয়াহূদী ছিল, তাই তারা উক্ত কথা বলেছে।
(يَغْفِرْ لَكُمْ مِّنْ ذُنُوْبِكُمْ)
‘আল্লাহ তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন’ আয়াতের ভাষ্যমতে আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহ্বানকারী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ডাকে যে ব্যক্তি সাড়া দেবে, তাঁর প্রতি ঈমান আনবে এবং তিনি যে সত্য নিয়ে এসেছেন তার প্রতিও বিশ্বাস রাখবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা করা হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সাড়া দেবে না এবং ঈমান আনবে না তাকে ক্ষমাও করা হবে না, শাস্তি থেকেও রক্ষা করা হবে না। বরং তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
قَالَ ادْخُلُوْا فِيْٓ أُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِكُمْ مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ فِي النَّارِ
“আল্লাহ বলবেন, ‘তোমাদের পূর্বে যে জিন ও মানব দল গত হয়েছে তাদের সাথে তোমরা জাহান্নামে প্রবেশ কর’।” (সূরা আ‘রাফ ৭ : ৩৪)
সুতরাং জিন হোক আর মানব হোক নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াতের কথা জানার পর তাঁর প্রতি ঈমান না আনলে সে জাহান্নামে যাবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِيٌّ، وَلَا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلَّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
সে সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! এ জাতির ইয়াহূদ ও খ্রিস্টান যে-ই হোক আমার কথা শোনার পর আমার প্রতি ঈমান না এনে মারা গেলে সে জাহান্নামবাসী হবে। (সহীহ মুসলিম হা. ১৫৩)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. মানব জাতির মত জিনদের মধ্যে ভাল-মন্দ উভয় শ্রেণিই রয়েছে।
২. ইসলামী শরীয়ত মানুষ ও জিন উভয় জাতির জন্য।
৩. ইসলামের দাওয়াত যার কাছে পৌঁছবে তারও সেই দাওয়াত কবূল করত অন্যকে সেদিকে দাওয়াত দেয়া আবশ্যক।
৪. ইসলাম সত্য ও সঠিক পথের দিক-নিদের্শনা দেয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings