Surah Al Ahqaf Tafseer
Tafseer of Al-Ahqaf : 22
Saheeh International
They said, "Have you come to delude us away from our gods? Then bring us what you promise us, if you should be of the truthful."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২১-২৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এ আয়াতগুলোতে ‘আদ সম্প্রদায় যাদের প্রতি হূদ (আঃ)-কে প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি তাদেরকে তাওহীদের দিকে আহ্বান করেছিলেন কিন্তু তারা অবাধ্য হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করে।
الْأَحْقَافِ ইয়ামান এলাকায় অবস্থিত একটি জনপদ। এ এলাকায় ছিল আদ জাতির বসবাস।
(وَقَدْ خَلَتِ النُّذُرُ)
অর্থাৎ হূদের পূর্বে ও পরে অনেক নাবী প্রেরণ করেছি যারা সবাই এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের দিকে আহ্বান করেছেন এবং কিয়ামতের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে অবগত করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِيْ كُلِّ أُمَّةٍ رَّسُوْلًا أَنِ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوْتَ)
“আল্লাহর ‘ইবাদত করার ও তাগূতকে বর্জন করার নির্দেশ দেবার জন্য আমি প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠিয়েছি।” (সূরা নাহাল ১৬ : ৩৬)
কিন্তু হূদ (আঃ)-এর জাতি অবাধ্য হয়ে বলল : তুমি কি আমাদের মা‘বূদদের থেকে আমাদেরকে ফিরিয়ে রাখার জন্য এসেছ? তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাক তাহলে তুমি যে আযাবের ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো। হূদ (আঃ) তাদের কথার সুন্দরভাবে জবাব দিলেন, বললেন : আযাব কখন আসবে তা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা জানেন, আমি কেবল আমার দায়িত্ব পালন করছি। আর তা হচ্ছে এর সংবাদ তোমাদের জানিয়ে দেওয়া।
(فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا)
অর্থাৎ যখন তারা দেখতে পেল মেঘমালা তাদের দিকেই আসছে তখন তারা খুব খুশী হল যে, তাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ হবে, কিন্তু বাস্তবে তা ছিল তাদের কর্মের শাস্তি। বাতাস দিয়ে এ জাতিকে আল্লাহ তা‘আলা ধ্বংস করে দেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَّثَمٰنِيَةَ أَيَّامٍ لا حُسُوْمًا فَتَرَي الْقَوْمَ فِيْهَا صَرْعٰي كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ ج فَهَلْ تَرٰي لَهُمْ مِّنْمبَاقِيَةٍ )
“আর আ’দ সম্প্রদায়, তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় দ্বারা। যা তিনি তাদের ওপর প্রবাহিত করেছিলেন বিরামহীনভাবে সাত রাত ও আট দিন, তুমি (উপস্থিত থাকলে) সেই সম্প্রদায়কে দেখতে খেজুর কাণ্ডের ন্যায় সেখানে ছিন্ন ভিন্নভাবে পড়ে আছে। তুমি কি তাদের কাউকেও অবশিষ্ট দেখতে পাও?” (সূরা হাক্কাহ ৬৯ : ৬-৮)
এ সম্পর্কে সূরা আ‘রাফের ৬৫-৭২ নং আয়াতেও আলোচনা করা হয়েছে।
আয়িশাহ (রাঃ) একদা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞাসা করলেন : লোকেরা মেঘ দেখে আনন্দিত হয় যে, বৃষ্টি হবে। কিন্তু আপনার মুখমণ্ডলে এর বিপরীত চিন্তা ও অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়? তিনি বললেন : এ মেঘে যে আযাব নেই তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে? এক জাতিকে তো বাতাসের আযাব দ্বারা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তারাও মেঘ দেখে বলেছিল, এ মেঘ আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবে। (সহীহ বুখারী হা. ৪৮২৯)
অন্য বর্ণনায় এসেছে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন বাতাস পেতেন তখন এ দু‘আ পড়তেন
اللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيحِ وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَخَيْرِ مَا أُمِرَتْ بِهِ، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيحِ وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ
হে আল্লাহ তা‘আলা আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ ও এর মধ্যে যে কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণ দিয়ে তা প্রেরণ করেছ তার সব চাই। আর তার অকল্যাণ ও তার মধ্যে যে অকল্যাণ রয়েছে এবং যে অকল্যাণ নিয়ে তা প্রেরিত হয়েছে তার সব কিছু থেকে আশ্রয় চাই। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুস সালাত)
সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার ও রাসূলের অবাধ্যতার পরিণাম কী হয়েছিল তা পূর্ববর্তী জাতিদের থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। আমরাও যেন নিজের পায়ে কুড়াল মেরে বিপদ ডেকে না নিয়ে আসি।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. পূর্ববর্তী অবাধ্য জাতিদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত যে, তাদের অবাধ্যতার পরিণাম কেমন হয়েছিল?
২. বৃষ্টি-বাতাসের আগমনে যে দু‘আ পড়তে হয় তা জানতে পারলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings