Surah Al Ahqaf Tafseer
Tafseer of Al-Ahqaf : 15
Saheeh International
And We have enjoined upon man, to his parents, good treatment. His mother carried him with hardship and gave birth to him with hardship, and his gestation and weaning [period] is thirty months. [He grows] until, when he reaches maturity and reaches [the age of] forty years, he says, "My Lord, enable me to be grateful for Your favor which You have bestowed upon me and upon my parents and to work righteousness of which You will approve and make righteous for me my offspring. Indeed, I have repented to You, and indeed, I am of the Muslims."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫-১৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশকে আরো বেশি জোরালো করার লক্ষ্যে মায়ের গর্ভকালীন দুঃখ-কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, মা সদ্ব্যব্যবহার পাবার বেশি হকদার। কারণ একটানা দীর্ঘ নয় মাস পর্যন্ত গর্ভধারণের কষ্ট, প্রসব বেদনার কষ্ট এবং দুধ পান করানো ইত্যাদি কষ্ট একমাত্র মা-ই সহ্য করে থাকে। এক্ষেত্রে পিতার কোন অংশ নেই। তাই নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এদিকে ই্্ঙ্িগত করে সাহাবীর প্রশ্নের জবাবে বলেন, তোমার মা বেশি হকদার সদাচরণ পাওয়ার। এভাবে তিনবার বললেন তারপর পিতার কথা বললেন। (সহীহ বুখারী হা. ২৫৪৮)
(وَحَمْلُه۫ وَفِصَالُه۫ ثَلَاثُوْنَ شَهْرًا)
“গর্ভধারণ ও দুধ পানের সময়কাল ত্রিশ মাস।” সূরা লুকমানের ১৪ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (وَّفِصَالُه۫ فِيْ عَامَيْنِ) ‘এবং দু’বছরে তার স্তন পান ছাড়ানো হয়।’ সূরা বাকারার ২৩৩ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَالْوَالِدٰتُ يُرْضِعْنَ أَوْلادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يُّتِمَّ الرَّضَاعَةَ)
‘আর মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে- যারা দুধ খাওয়ানোর সময় পূর্ণ করতে চায়।’
দুধ পান করানোর সময়কাল দুই বছর তথা চব্বিশ মাসের কথা বলা হল। গর্ভধারণ ও দুধ পান করানোর সময়কাল মোট ত্রিশ মাস থেকে দুধ পান করানোর চব্বিশ মাস বাদ দিলে গর্ভধারণের সময় ছয় মাস বাকী থাকে। তাই আলী (রাঃ) বলেন, ছয় মাস অতিক্রমে কোন মহিলার সন্তান হলে তা বৈধ সন্তান বলে গণ্য হবে। (ইবনু কাসীর এ আয়াতের তাফসীর)
اشده পূর্ণ শক্তিকাল বলতে যৌবন কালকে বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ এটাকে আঠারো বছর বয়সকে বলেছেন। এইভাবে বাড়তে বাড়তে সে চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয়। এ বয়স হল জ্ঞান ও বিবেক শক্তির পূর্ণতা ও পক্কতার বয়স। এ জন্যই মুফাসসিরদের মতে প্রত্যেক নাবীকে চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াত প্রদান করা হয়েছে। (ফাতহুল কাদীর)
অতঃপর এসব সদাচরণকারী ব্যক্তিদের প্রভুর কাছে দু‘আ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদের সৎ কাজ আল্লাহ তা‘আলা কবূল করেন এবং খারাপ আমলগুলো মোচন করে দেন।
সুতরাং মাতা-পিতার সাথে সদাচরণ করা ওয়াজিব। কখনো তাদের সাথে বেআদবীমূলক আচরণ করা যাবে না। বিশেষ করে তাদের বৃদ্ধ বয়সে সেবার অধিক মুখাপেক্ষী, তাই সে সময় তাদের দিকে খেয়াল রাখা আবশ্যক।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব।
২. গর্ভধারণের সর্বনিম্ন সময় ছয় মাস হলে তা বৈধ সন্তান বলে গণ্য হবে।
৩. আল্লাহ তা‘আলা সৎ আমলকারীদের তাওবা কবূল করেন এবং তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings