Surah Al Ahqaf Tafseer
Tafseer of Al-Ahqaf : 12
Saheeh International
And before it was the scripture of Moses to lead and as a mercy. And this is a confirming Book in an Arabic tongue to warn those who have wronged and as good tidings to the doers of good.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১০-১৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এ আয়াতের এবং
(أَوَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ اٰيَةً أَنْ يَّعْلَمَه۫ عُلَمٰٓؤُا بَنِيْ۬ إِسْرَا۬ئِيْلَ)
“বানী ইস্রাঈলের পণ্ডিতগণ এটা অবগত আছে- এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন নয়?” সূরা শুআরার অত্র আয়াতের অর্থ একই রকম। সারমর্ম এই যে, যেসব ইয়াহূদী ও খ্রিস্টান রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রেসালাত ও কুরআনকে অমান্য করে তারা স্বয়ং তাদের কিতাব সম্পর্কেও অজ্ঞ। কেননা, বানী ইসরাঈলের অনেক আলেম তাদের কিতাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুওয়াত ও রিসালাতের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সে আলেমদের সাক্ষ্যও কি এ মুর্খদের জন্য যথেষ্ট নয়? কিন্তু তোমরা যদি না মান তবে এ সম্ভাবনার প্রতিও লক্ষ্য কর যে, আমার দাবী যদি সত্য হয় এবং কুরআন আল্লাহ তা‘আলার কিতাব হয় আর তোমরা একে অমান্য করে যাও তবে তোমাদের পরিণতি কী হবে। এ জ্ঞান লাভের পরও যদি তোমরা জেদ ও অহংকারে অটল থাক তবে তোমরা গুরুতর শাস্তির যোগ্য হয়ে যাবে।
(وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِّنْۭ بَنِيْٓ إِسْرَا۬ئِيْلَ)
‘বানী ইসরাঈলের একজন সাক্ষী সাক্ষ্যও দিয়েছে’ বানী ইসরাঈলের এই সাক্ষী থেকে কাকে বুঝানো হয়েছে- তা নিয়ে অনেক মতভেদ পাওয়া যায় : কেউ বলেছেন যে, এ শব্দটি জাতি বা সম্প্রদায় অর্থে প্রয়োগ হয়েছে। বানী ইসরাঈলের সকল ঈমান আনয়নকারী এর অন্তর্ভুক্ত। কারো মতে, সূরাটি মাক্কী হওয়ার ফলে মক্কায় অবস্থানকারী কোন এক বানী ইসরাঈল উদ্দেশ্য হবে অথবা আয়াতটি ভবিষ্যতবাণী হিসেবে গণ্য করা হবে। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর) আবার যারা আয়াতকে মাদানী বলে গণ্য করেছেন তারা আব্দুল্লাহ বিন সালামকে বুঝিয়েছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ননা থেকেও এ উক্তির সমর্থন পাওয়া যায়। (সহীহ বুখারী হা. ৩৮১২, সহীহ মুসলিম হা. ২৪৮৩) ইমাম শাওকানী (রহঃ) এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
عَلَي مِثْلِهِ এর অর্থ হল : তাওরাতের সাক্ষ্য দেয়া যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার কথা একান্তভাবে প্রমাণ করে। কেননা, কুরআনেও তাওহীদ ও পরকালের ওপর বিশ্বাসের ব্যাপার তাওরাতের মতই।
(وَقَالَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لِلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَوْ كَانَ خَيْرًا مَّا سَبَقُوْنَآ إِلَيْهِ)
“কাফিররা ঈমানদারদের সম্পর্কে বলে যে, যদি এটা (কিতাবকে মেনে নেওয়া সত্যিই) কোনো ভাল কাজ হতো তাহলে তারা এ বিষয়ে আমাদেরকে ছাড়িয়ে যেতে পারত না।” আল্লাহ তা‘আলার হিকমত হল : আল্লাহ তা‘আলা কতক মানুষ দ্বারা কতক মানুষকে পরীক্ষা করবেন। যারা বিত্তশালী ও মর্যাদার অধিকারী তারা বলে : যদি ইসলামে কল্যাণ থাকত তাহলে আমাদের আগে এ দুর্বলেরা ইসলাম গ্রহণ করতে পারত না। আমরাই অধিক হকদার কল্যাণ গ্রহণ করার। তাদের এ মিথ্যা দাবীর প্রতিবাদ করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(أَلَيْسَ اللّٰهُ بِأَعْلَمَ بِالشّٰكِرِيْنَ)
“আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকেদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত নন?” (সূরা আন্‘আম ৬ : ৫৩)
جهالة অজ্ঞতাবশত যদি কেউ খারাপ কাজ করে অতঃপর তাওবাহ করে। এ সম্পর্কে সূরা নিসার ১৭ নং আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
(إِنَّ الَّذِيْنَ قَالُوْا رَبُّنَا اللّٰهُ)
‘‘নিশ্চয়ই যারা বলেছে”, আল্লাহ তা‘আলাই আমাদের প্রতিপালক’ অর্থাৎ যারা ঈমান আনার পর তার ওপর অটল থাকে পরকালে তাদের কোন দুশ্চিন্তা ও ভয় থাকবে না। এ আয়াতের তাফসীর সূরা হা-মীম সিজদার ২০ নং আয়াতেও করা হয়েছে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings