Surah Al Jathiyah Tafseer
Tafseer of Al-Jathiyah : 22
Saheeh International
And Allah created the heavens and earth in truth and so that every soul may be recompensed for what it has earned, and they will not be wronged.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২১-২৩ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
কাফির-মুশরিকরা মনে করে যে, মৃত্যুর পর তাদের আর কোনই শাস্তি হবে না। তারা বলে, মৃত্যুর পর আমরা সবাই মাটিতে মিশে যাব, এর বেশি আর কিছুই হবে না। অথবা, যেভাবে দুনিয়াতে ওরা সমান সমান ছিল, অনুরূপ পরকালেও সমান সমান থাকবে। মরে সবাই শেষ হয়ে যাব। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা বলেন যে- না, এরূপ কখনোই হবে না। বরং মৃত্যুর পর পাপীদেরকে শাস্তি দেয়া হবে আর মু’মিনদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। উভয়কে সমান সমান করা হবে না। কারণ মু’মিনগণ তাদের তুলনায় অধিক উত্তম। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(لَا يَسْتَوِيْٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ط أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَا۬ئِزُوْنَ)
“জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।” (সূরা হাশর ৫৯ : ২০)
আর এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় তা কতই না মন্দ সিদ্ধান্ত। কারণ তিনি আকাশ ও জমিন সৃষ্টিই করেছেন এ জন্য যে, তিনি তাদের মধ্যে সঠিকভাবে ফায়সালা করবেন। যে ব্যক্তি যেমন আমল করবে তাকে তদ্রƒপ প্রতিদান দেয়া হবে, কোন প্রকার জুলুম বা অত্যাচার করা হবে না।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা একটি উপমা বর্ণনা করেছেন ঐ ব্যক্তির, যে নিজের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। যার ফলে সে হক ও বাতিলের পার্থক্য করতে পারে না, বরং তার প্রবৃত্তি যেটাকে ভাল মনে করে সেটাকেই সে ভাল মনে করে, আর প্রবৃত্তি যেটাকে খারাপ মনে করে সেটাকেই খারাপ মনে করে। আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর রাসূলের বিধি-বিধানের ওপর সে তার প্রবৃত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তাকে বিভ্রান্ত করেছেন। কারণ তিনি জানেন যে, সে এ ভ্রষ্টতারই উপযুক্ত। যার ফলে ভাল কথা শ্রবণ করা থেকে তার কান এবং হিদায়াত গ্রহণ করা হতে তার অন্তর বঞ্চিত হয়ে গেছে। আর তার চোখের ওপর পড়ে গেছে আবরণ যার কারণে সে সত্য জিনিস দেখতে পায় না। কারণ আল্লাহ জানেন সে এ পথেরই উপযুক্ত। আর আল্লাহ তা‘আলা যাকে বিভ্রান্ত করেন সে কখনো সঠিক পথ পায় না। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(مَنْ يُّضْلِلِ اللّٰهُ فَلَا هَادِيَ لَه۫ ط وَيَذَرُهُمْ فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ)
“আল্লাহ যাদেরকে পথভ্রষ্ট করেন তাদের কোন পথপ্রদর্শক নেই, আর তাদেরকে তিনি তাদের অবাধ্যতায় উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতে ছেড়ে দেন।” (সূরা আ‘রাফ ৭ : ১৮৬)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. সৎ কর্মপরায়ণ ও অসৎ কর্মপরায়ণ ব্যক্তির প্রতিদান কখনো সমান হতে পারে না।
২. প্রত্যেককে তার যথাযথ প্রাপ্য দেয়া হবে, কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করা হবে না।
৩. নিজের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করা যাবে না। কেননা প্রবৃত্তি কখনো ভাল কাজ করতে সম্মতি দেয় না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings