Surah Al Jathiyah Tafseer
Tafseer of Al-Jathiyah : 21
Saheeh International
Or do those who commit evils think We will make them like those who have believed and done righteous deeds - [make them] equal in their life and their death? Evil is that which they judge.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
২১-২৩ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, মুমিন ও কাফির সমান নয়। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “জাহান্নামের অধিবাসী এবং জান্নাতের অধিবাসী সমান নয়। জান্নাতবাসীরাই সফলকাম।"(৫৯:২০) এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এরূপ হতে পারে না যে, কাফির ও দুষ্কৃতিকারী এবং মুমিন ও সৎকর্মশীল মরণ ও জীবনে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সমান হয়ে যাবে। যারা এটা মনে করে যে, আমি জীবন ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও মুমিনদেরকে সমান গণ্য করবো, তাদের সিদ্ধান্ত কতইনা মন্দ!
হযরত আবু যার (রাঃ) বলেনঃ “আল্লাহ তা'আলা স্বীয় দ্বীনের ভিত্তি চারটি স্তম্ভের উপর স্থাপন করেছেন। যে ব্যক্তি এগুলো হতে সরে যাবে এবং এগুলোর উপর আমল করবে না সে পাপাসক্ত অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে।” জিজ্ঞেস করা হলোঃ “হে আবু যার (রাঃ)! ঐগুলো কি?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, হালাল ও হারাম এবং আদেশ ও নিষেধ এ চারটি বিষয় আল্লাহ তাআলারই অধিকারভুক্ত। তার হালালকে হালাল মেনে নেয়া, হারামকে হারাম বলেই স্বীকার করা, তার আদেশকে আমলযোগ্য ও স্বীকারযোগ্য রূপে মেনে নেয়া এবং তার নিষিদ্ধ কার্য হতে বিরত থাকা। হালাল, হারাম, আদেশ এবং নিষেধের মালিক একমাত্র আল্লাহকেই মনে করা। এগুলোই হলো দ্বীনের মূল। আবুল কাসেম (সঃ) বলেছেনঃ “বাবলা গাছ হতে যেমন আঙ্গুর ফল লাভ করা যায় না, ঠিক তেমনই অসৎপরায়ণ ব্যক্তি সৎকর্মশীল ব্যক্তির মর্যাদা লাভ করতে পারে না।” (এ হাদীসটি হাফিয আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গারীব বা দুর্বল)
মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রঃ)-এর সীরাত গ্রন্থে রয়েছে যে, কাবা শরীফের ভিত্তির মধ্যে একটি পাথর পাওয়া গিয়েছিল। তাতে লিখিত ছিলঃ “তোমরা দুষ্কর্ম করছো, আর কল্যাণ লাভের আশা রাখছে। এটা ঠিক ঐরূপ যেমন কেউ কোন কন্টকযুক্ত গাছ হতে আঙ্গুর ফলের আশা করে।”
বর্ণিত আছে যে, হযরত তামীম দারী (রাঃ) সারারাত ধরে তাহাজ্জুদের নামাযে বার বার ... (আরবী)-এই আয়াতটি পড়তে থাকেন, শেষ পর্যন্ত ফজর হয়ে যায়। (এটা ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
এজন্যেই আল্লাহ বলেনঃ “তাদের সিদ্ধান্ত কতই না মন্দ!’ এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিফল প্রদান করবেন। কারো প্রতি বিন্দুমাত্র যুলুম করা হবে না।
মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তার প্রতিও লক্ষ্য করেছে, যে তার খেয়াল-খুশীকে তার মা'বুদ বানিয়ে নিয়েছে। তার যে কাজ করতে মন চেয়েছে। তা সে করেছে। আর যে কাজ করতে তার মন চায়নি তা পরিত্যাগ করেছে।
এ আয়াতটি মু'তাযিলা সম্প্রদায়ের এই মূল নীতিকে খণ্ডন করেছে যে, ভাল কাজ ও মন্দ কাজ হলো জ্ঞান সম্পকীয় ব্যাপার। ইমাম মালিক (রঃ) এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলেনঃ যার ইবাদতের খেয়াল তার মনে জাগ্রত হয় তারই সে ইবাদত করতে শুরু করে। এর পরবর্তী বাক্যটির দু’টি অর্থ হবে। (প্রথম) আল্লাহ তাআলা স্বীয় জ্ঞানের ভিত্তিতে তাকে বিভ্রান্তির যোগ্য মনে করে তাকে বিভ্রান্ত করে দেন। (দ্বিতীয়) তার কাছে জ্ঞান, যুক্তি-প্রমাণ এবং দলীল-সনদ এসে যাওয়ার পর আল্লাহ তাআলা তাকে বিভ্রান্ত করেন। এই দ্বিতীয় অর্থটি প্রথম অর্থটিকে অপরিহার্য করে এবং প্রথম অর্থ দ্বিতীয় অর্থকেও অপরিহার্য করে।
মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তার কর্ণে মোহর রয়েছে, তাই সে শরীয়তের কথা শুনেই না এবং তার হৃদয়েও মোহর রয়েছে, তাই হিদায়াতের কথা তার হৃদয়ে স্থান পায় না। তার চক্ষুর উপর পর্দা পড়ে আছে, তাই সে কোন দলীল-প্রমাণ দেখতে পায় না। অতএব, আল্লাহর পরে কে তাকে পথ-নির্দেশ করবে? তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?” যেমন আল্লাহ তাআলা অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার কোন পথ-প্রদর্শক নেই এবং তিনি তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরে বেড়াতে দেন।”(৭:১৮৬)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings