Surah Al Jathiyah Tafseer
Tafseer of Al-Jathiyah : 12
Saheeh International
It is Allah who subjected to you the sea so that ships may sail upon it by His command and that you may seek of His bounty; and perhaps you will be grateful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২-১৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
এখানেও আল্লাহ তা‘আলা মানুষের প্রতি তার দেওয়া কিছু নিয়ামতের বর্ণনা করেছেন। তিনি সমুদ্রকে মানুষের কল্যাণার্থে নিয়োজিত করেছেন এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তার প্রত্যেকটি জিনিসও মানুষের কল্যাণার্থে নিয়োজিত রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَمَا بِکُمْ مِّنْ نِّعْمَةٍ فَمِنَ اللہِ ثُمَّ اِذَا مَسَّکُمُ الضُّرُّ فَاِلَیْھِ تَجْئَرُوْنَ)
“তোমাদের নিকট যে সমস্ত নেয়ামত রয়েছে তা আল্লাহরই পক্ষ হতে; আবার যখন দুঃখ-কষ্ট তোমাদেরকে স্পর্শ করে তখন তোমরা তাঁকেই ব্যাকুলভাবে আহ্বান কর।” (সূরা আন্ নাহল ১৬ : ৫৩)
এ সম্পর্কে পূর্বে সূরা নাহ্লসহ আরো অন্যান্য স্থানে আলোচনা করা হয়েছে।
এরপর মু’মিনদেরকে লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে যে, তারা যেন তাদের শত্র“দেরকে ক্ষমা করে দেয়। এ বিধান ইসলামের প্রথম যুগের। পরবর্তীতে যখন মুসলিমরা শক্তিশালী হয়ে উঠল তখন আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে নির্দেশ দিলেন, তারা যেন শত্র“দের বিরুদ্ধে জিহাদ করে।
সুতরাং সামর্থ্য না থাকলে কাফিরদের ওপর চড়াও হওয়া যাবে না, বরং ধৈর্য ধারণ করাটাই উত্তম। আর আল্লাহ তা‘আলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। আর যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যে ব্যক্তি সৎ আমল করবে তার ফল সে নিজেই ভোগ করবে, অন্য কেউ তা ভোগ করার সুযোগ পাবে না। পক্ষান্তরে যে মন্দ কাজ করবে তার পরিণতিও সে নিজেই ভোগ করবে, অন্য কেউ তার থেকে তার মন্দ বোঝা হালকা করে দেবে না।
অর্থাৎ যার যার কৃতকর্মের প্রতিদান তার নিজেকেই ভোগ করতে হবে, কেউ এ ব্যাপারে ভাগী হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
( إِنْ أَحْسَنْتُمْ أَحْسَنْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ قف وَإِنْ أَسَأْتُمْ فَلَهَا)
“তোমরা সৎ কর্ম করলে সৎ কর্ম নিজেদের জন্য করবে এবং মন্দ কর্ম করলে তাও করবে নিজেদের জন্য।” (সূরা বানী ইসরা-ঈল ১৭ : ৭)
সুতরাং যে সকল ব্যক্তি তাদের অনুসারী বা মুরীদদের অপরাধের বোঝা বহন করার আশ্বাস প্রদান করে তাদের প্রদত্ত আশ্বাস অনর্থক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
( وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلَّا عَلَيْهَا ج وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرٰي)
“প্রত্যেকে স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী এবং কেউ অন্য কারো (পাপের) ভার গ্রহণ করবে না।” (সূরা আন‘আম ৬ : ১৬৪)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. পৃথিবীর সকল জিনিস মানুষের কল্যাণার্থে সৃষ্টি হয়েছে।
২. বিপদে বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
৩. বাতিলকে প্রতিহত করার ক্ষমতা থাকলে তা প্রতিহত করতে হবে।
৪. প্রত্যেকে নিজের কৃতকর্মের ফলাফল নিজেই ভোগ করবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings