Surah Ad Dukhan Tafseer
Tafseer of Ad-Dukhan : 1
Saheeh International
Ha, Meem.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি রাত্রে সূরায়ে হা-মীম আদ দুখান পাঠ করে, সকাল পর্যন্ত তার জন্যে সত্তর হাজার ফেরেশতা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।" (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গারীব। এর আমর ইবনে খুশউম নামক একজন বর্ণনাকারী দুর্বল। ইমাম বুখারী (রঃ) তাকে মুনকারুল হাদীস বলেছেন)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি হা-মীম আদ দুখান জুমআর রাত্রে পাঠ করে তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।” (এ হাদীসটিও ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। এটাও গারীব হাদীস। এর আবুল মিকদাম হিশাম নামক একজন বর্ণনাকারী দুর্বল এবং দ্বিতীয় বর্ণনাকারী হাসানের হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে শোনা সাব্যস্ত নয়)
হযরত যায়েদ ইবনে হারেসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদা ইবনে সাইয়াদের সামনে সূরায়ে দুখানকে নিজের অন্তরে গোপন রেখে তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “আমার অন্তরে কি আছে বল তো?” উত্তরে সে বললোঃ (আরবী) রয়েছে।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “তুমি ধ্বংস হও। তুমি ব্যর্থ মনোরথ হয়েছে। আল্লাহ যা চান তাই হয়। অতঃপর তিনি সেখান হতে ফিরে আসেন।” (এ হাদীসটি মুসনাদে বাযযারে বর্ণিত হয়েছে)
১-৮ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, এই কুরআন কারীমকে তিনি কল্যাণময় রাত্রিতে অর্থাৎ কদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেন। যেমন তিনি বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি এটা অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রজনীতে।”(৯৭:১) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “ঐ রমযান মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়।”(২:১৮৫) সূরায়ে বাকারায় এর তাফসীর গত হয়েছে। সুতরাং এখানে পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন।
কোন কোন লোক এ কথাও বলেছেন যে, যে মুবারক রজনীতে কুরআন কারীম অবতীর্ণ হয় তা হলো শাবান মাসের পঞ্চদশ তম রাত্রি। কিন্তু এটা সরাসরি কষ্টকর উক্তি। কেননা, কুরআনের স্পষ্ট ও পরিষ্কার কথা দ্বারা কুরআনের রমযান মাসে নাযিল হওয়া সাব্যস্ত হয়েছে। আর যে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, শা'বান মাসে পরবর্তী শা'বান মাস পর্যন্ত সমস্ত কাজ নির্ধারণ করে দেয়া হয়, এমনকি বিবাহ হওয়া, সন্তান হওয়া এবং মৃত্যু বরণ করাও নির্ধারিত হয়ে যায়, ঐ হাদীসটি মুরসাল। এরূপ হাদীস দ্বারা কুরআন কারীমের স্পষ্ট কথার বিরোধিতা করা যায় না।
আল্লাহ পাক বলেনঃ “আমি তো সতর্ককারী অর্থাৎ আমি মানুষকে ভাল ও মন্দ এবং পাপ ও পুণ্য সম্পর্কে অবহিতকারী, যাতে তাদের উপর যুক্তিপ্রমাণ। সাব্যস্ত হয়ে যায় এবং তারা শরীয়তের জ্ঞান লাভ করতে পারে। এই রজনীতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। অর্থাৎ লাওহে মাহফুয হতে লেখক ফেরেশতাদের দায়িত্বে অর্পণ করা হয়। সারা বছরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন বয়স, জীবিকা ইত্যাদি স্থিরীকৃত হয়। (আরবী) শব্দের অর্থ হলো মুহকাম বা মযবূত, যার পরিবর্তন নেই। সবই আল্লাহর নির্দেশক্রমে হয়ে থাকে। তিনি রাসূল প্রেরণ করে থাকেন যেন তারা তাঁর নিদর্শনাবলী তার বান্দাদেরকে শুনিয়ে দেন, যেগুলোর তারা খুবই প্রয়োজন বোধ করে।
এটা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর অনুগ্রহ স্বরূপ। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ যিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যস্থিত সবকিছুরই প্রতিপালক এবং সবকিছুরই অধিকর্তা। সবারই সৃষ্টিকর্তা তিনিই। মানুষ যদি বিশ্বাসী হয় তবে তাদের বিশ্বাসযোগ্য যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান রয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ তিনিই একমাত্র মাবুদ। তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন। তিনিই তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদেরও প্রতিপালক।
এ আয়াতটি আল্লাহ তাআলার নিম্নের উক্তির মতঃ (আরবী) অর্থাৎ “(হে নবী সঃ)! তুমি ঘোষণা করে দাও- হে লোক সকল! আমি তোমাদের সবারই নিকট ঐ আল্লাহর রাসূল রূপে প্রেরিত হয়েছি যার রাজত্ব হচ্ছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীব্যাপী, তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু ঘটিয়ে থাকেন।”(৭:১৫৮)।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings