Surah Az Zukhruf Tafseer
Tafseer of Az-Zukhruf : 47
Saheeh International
But when he brought them Our signs, at once they laughed at them.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৬-৫৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ)-কে সুস্পষ্ট দলীল ও নির্দশনসহ ফির‘আউন ও তার পরিষদবর্গের কাছে প্রেরণ করেন, যাতে তিনি তাদেরকে এক আল্লাহ তা‘আলার ‘ইবাদত করার জন্য আহ্বান করেন এবং তিনি ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদত করা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান। কিন্তু মূসা (আঃ) যখন এ দা‘ওয়াত নিয়ে তাদের নিকট আসলেন তখনই তারা তার প্রতি ঠাট্টা-বিদ্রূপ করল। তাদের এ ঠাট্টা-বিদ্রূপ করার ফলে তারা যখন শাস্তিপ্রাপ্ত হলো তখন বলল : হে জাদুকর! তুমি তোমার প্রভুর কাছে দু‘আ কর যদি তিনি আমাদেরকে এ সকল শাস্তি থেকে মুক্তি দেন তাহলে আমরা তোমার প্রতি ঈমান আনব। অতঃপর তাদের ওপর থেকে শাস্তি দুর করে দেয়া হলেও তারা ঈমান আনল না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “এবং যখন তাদের ওপর শাস্তি আসত তখন তারা বলত, ‘হে মূসা! তুমি তোমার প্রতিপালকের নিকট আমাদের জন্য প্রার্থনা কর- তোমার সাথে তিনি যে অঙ্গীকার করেছেন তদনুযায়ী, যদি তুমি আমাদের হতে শাস্তি অপসারিত কর তবে আমরা ঈমান আনবই এবং বানী ইস্রাঈলকেও তোমার সাথে অবশ্যই পাঠিয়ে দেব।’ আমি যখনই তাদের ওপর হতে শাস্তি অপসারিত করতাম এক নির্দিষ্ট কালের জন্য যা তাদের জন্য নির্ধারিত ছিল, তারা তখনই তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করত।” (সূরা আ‘রাফ ৭ : ১৩৪-১৩৫)
অবশেষে তারা ঈমান আনা থেকে বিরতই থাকল এবং তারা তাদের পূর্ব ধর্মেরই অনুসরণ করতে থাকল আর মূসা (আঃ)-কে অস্বীকার করল।
ফির‘আউন তার বড়ত্ত্ব ও মহত্ত্ব প্রকাশ করে পরিষদবর্গকে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! এ মিসরের রাজত্ব কি আমার নয়? এ নদী কি আমার পাদদেশে প্রবাহিত নয়? আর আমি কি ঐ ব্যক্তির থেকে উত্তম নই যে স্পষ্ট ভাষায় কথাও বলতে পারে না? তখন সে বিভিন্ন যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে তার সম্প্রদায়কে হতবুদ্ধি করে দিলো।
ফলে তারা মূসা (আঃ)-কে অস্বীকার করল এবং ফির‘আউনের অনুগামী হয়ে থাকল। এভাবেই তারা সত্য পথ হতে বিচ্যুত থাকল। অবশেষে তারা সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে মৃত্যু বরণ করল।
সুতরাং দাওয়াতী কাজ দেশের শাসক শ্রেণিদের কাছেও পৌঁছাতে হবে, বরং তাদেরকেই আগে দেয়া উচিত, কারণ তাদের মাঝে পরিবর্তন আসলে সারা দেশে পরিবর্তন চলে আসবে। যেমন সুলাইমান (আঃ) দেশের রাণী বিলকিসকে দাওয়াত দিয়েছিলেন। নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোম ও পারস্যের বাদশাদের কাছে দাওয়াতী পত্র প্রেরণ করেছিলেন।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. একজন দাঈ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করবে, কোন দল বা মতের দিকে নয়।
২. দাওয়াতী কাজে অনেক বাধা বিপত্তি আসতে পারে তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না।
৩. যেখানে বেশি উপকার হবে সেখানে প্রথমে দাওয়াত দেয়া উচিত।
৪. পূর্ববর্তী জাতিদের ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে আমাদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings