Surah Az Zukhruf Tafseer
Tafseer of Az-Zukhruf : 20
Saheeh International
And they said, "If the Most Merciful had willed, we would not have worshipped them." They have of that no knowledge. They are not but falsifying.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫-২০ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
মক্কার কাফির-মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলার জন্য সন্তান সাব্যস্ত করত, শুধু তাই নয় বরং তাঁর জন্য কন্যা সন্তান সাব্যস্ত করত। এ আয়াতগুলোতে তাদের সেসব কথার তীব্র সমালোচনা ও ধিক্কার প্রদান করা হয়েছে।
جُزْءًا দ্বারা কারো মতে উদ্দেশ্য হল- কাফিররা তাদের দেব-দেবীর নামে তাদের যে-সব ফসল, চতুষ্পদ জন্তু ইত্যাদির একটি অংশ এবং আল্লাহ তা‘আলার নামে একটি অংশ রেখে দিত।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(وَجَعَلُوْا لِلّٰهِ مِمَّا ذَرَأَ مِنَ الْحَرْثِ وَالْأَنْعَامِ نَصِيْبًا فَقَالُوْا هٰذَا لِلّٰهِ بِزَعْمِهِمْ وَهٰذَا لِشُرَكَا۬ئِنَا)
“আল্লাহ যে শস্য ও গবাদি পশু সৃষ্টি করেছেন তন্মধ্য হতে তারা আল্লাহর জন্য একটি অংশ নির্দিষ্ট করে এবং নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বলে, ‘এটা আল্লাহর জন্য এবং এটা আমাদের দেবতাদের জন্য’।” (সূরা আন‘আম ৬ : ১৩৬, ইবনে কাসীর- তাফসীর অত্র আয়াত)
আবার কারো মতে جزءا দ্বারা তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যে সন্তান-স্ত্রী পরিজন সাব্যস্ত করত তাই বুঝানো হয়েছে। (তাফসীর সা‘দী, তাফসীর মুয়াসসার) মোটকথা তারা বান্দাকে আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশী স্থাপন করে।
আল্লাহ তা‘আলা তাদের ধিক্কার দিয়ে বলেন যে, তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যে সন্তান সাব্যস্ত করে এমন সন্তান যদি তাদেরকে দান করা হয় তাহলে তাদের চেহারাসমূহ কালো হয়ে যায় এবং সে দুঃখ-বেদনায় ব্যথিত হয়ে পড়ে। যে সন্তান তারা নিজেদের জন্য পছন্দ করে না সে সন্তান কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার জন্য হতে পারে। এটাতো সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক কথা এবং বন্টনের দিক দিয়েও এটা একটি অশুভ বণ্টন। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(أَلَكُمُ الذَّكَرُ وَلَهُ الْأُنْثٰي تِلْكَ إِذًا قِسْمَةٌ ضِيْزٰي )
“তবে কি তোমাদের জন্য পুত্র, আর তাঁর জন্য কন্যা সন্তান? এ প্রকার বন্টন তো অসঙ্গত।” (সূরা নাজম ৫৩ : ২২)
তারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যে সকল অংশীদার ও সন্তান, স্ত্রী-পরিজন সাব্যস্ত করে তা সম্পূর্ণই বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন; এ ব্যাপারে তাদের কোনই দলীল-প্রমাণ নেই। আর আল্লাহ তা‘আলা যদি সন্তান-স্ত্রী-পরিজন গ্রহণ করার চিন্তা-ভাবনা করতেন তাহলে তিনি তাঁর সৃষ্টি হতে উত্তম জিনিসই গ্রহণ করতেন। এ সকল জিনিস গ্রহণ করা থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত আর এটা তাঁর জন্য সমীচীনও নয়।
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা উল্লেখ করেন, মেয়েরা পুরুষের তুলনায় যে-সব বিষয়ে দুর্বল তা হলো : তারা তর্ক-বিতর্কে, স্পষ্ট বক্তব্যদান ইত্যাদিতে পুরুষের তুলনায় দুর্বল, আর তাদের বৈশিষ্ট্য হলো : তারা অলংকারে আবৃত হয়ে নিজ বাড়িতে স্বামীর ঘর-সংসার দেখাশোনা করবে, আর পুরুষ বাইরে কাজ-কর্ম করে মহিলাদের সমস্ত ব্যয়ভাব বহন করবে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, ফিরিশ্তারা আল্লাহর সন্তান নয় এবং তারা নারীও নয়; বরং তারা আল্লাহ তা‘আলার এক প্রকার বান্দা।
মুশরিকরা অন্যান্য বাতিল মা‘বূদের ইবাদত করার স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলে আল্লাহ তা‘আলা চাচ্ছেন তাই আমরা তাদের ইবাদত করি। যেমন অন্যত্র তাদের কথা তুলে ধরে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(سَيَقُوْلُ الَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا لَوْ شَا۬ءَ اللّٰهُ مَآ أَشْرَكْنَا وَلَا اٰبَا۬ؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِنْ شَيْءٍ)
“যারা শির্ক করেছে তারা অচিরেই বলবে, ‘আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন তবে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষগণ শির্ক করতাম না এবং কোন কিছুই হারাম করতাম না।” (সূরা আন‘আম ৬ : ১৪৮) তাদের এসব দাবী মিথ্যা ও অযৌক্তিক। কারণ আল্লাহ তা‘আলা কখনো কাউকে নির্দেশ দেননি তিনি ব্যতীত অন্যের ইবাদত করতে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলার কোনই শরীক বা অংশীদার নেই আর তিনি সন্তান-স্ত্রী-পরিজন গ্রহণ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত।
২. ফেরেশতারা আল্লাহ তা‘আলার বান্দা, তাঁরা আল্লাহ তা‘আলার কন্যা নন।
৩. নিজের জন্য যা পছন্দনীয় নয় তা অপরের জন্য নির্ধারণ করা যাবে না।
৪. মহিলাদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্বের কথা জানা গেল।
৫. মানুষ যা কিছু করে ও বলে তার সকল কিছুই লিখে রাখা হয়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings