Surah Ash Shura Tafseer
Tafseer of Ash-Shuraa : 45
Saheeh International
And you will see them being exposed to the Fire, humbled from humiliation, looking from [behind] a covert glance. And those who had believed will say, "Indeed, the [true] losers are the ones who lost themselves and their families on the Day of Resurrection. Unquestionably, the wrongdoers are in an enduring punishment."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৪-৪৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা অত্র আয়াতে বর্ণনা করেছেন যে, হিদায়াত দান করার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, তিনি ব্যতীত আর কোন হিদায়াত দানকারী নেই, যে মানুষকে সৎ পথের হিদায়াত দান করতে পারে। তিনি যাকে হিদায়াত দান করেন কেউ তাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না, আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন কেউ তাকে হিদায়াত দান করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(مَنْ يَّهْدِ اللّٰهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ج وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَه۫ وَلِيًّا مُّرْشِدًا)
“আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথপ্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনও তার কোন পথ প্রদর্শনকারী অভিভাবক পাবে না।” (সূরা কাহ্ফ ১৮ : ১৭)
এরপর কিয়ামতের মাঠে কাফির-মুশরিকদের অবস্থা কেমন হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : কিয়ামাতের মাঠে কাফির-মুশরিকরা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা শুধু পলায়নের স্থান খুঁজবে কিন্তু তারা তথায় কোনই পলায়নের জায়গা খুঁজে পাবে না। আর তাদেরকে যখন জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত করা হবে তখন তারা অপমানে অবনত অবস্থায় অর্ধ নির্মীলিত চোখে তাকাবে। কিন্তু তারা তথায় কোন প্রকার শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে না।
যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন : “তুমি যদি দেখতে পেতে যখন তাদেরকে অগ্নির পার্শ্বে দাঁড় করান হবে এবং তারা বলবে, ‘হায়! যদি আমাদেরকে (পৃথিবীতে) আবার ফিরিয়ে দেয়া হত তবে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনকে অস্বীকার করতাম না এবং আমরা মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। বরং পূর্বে তারা যা গোপন করেছে তা এখন তাদের নিকট প্রকাশ পেয়েছে এবং তারা প্রত্যাবর্তিত হলেও যা করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল পুনরায় তারা তাই করত এবং নিশ্চয় তারা মিথ্যাবাদী।” (সূরা আন‘আম ৬ : ২৭-২৮)
তারা তথায় শাস্তি থেকে বেঁচে থাকার জন্য কোনই সাহায্যকারী পাবে না।
(وَقَالَ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا)
মু’মিনরা (কিয়ামতের দিন) বলবে : অর্থাৎ যখন কাফির-মুশরিকদেরকে মু’মিনদের থেকে আলাদা করা হবে এবং জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে তখন মু’মিনরা এ কথা বলবে। কেউ বলেছেন যখন মু’মিনরা জান্নাতে চলে যাবে এবং কাফিরদের শোচনীয় অবস্থা প্রত্যক্ষ করবে তখন এ কথা বলবে।
(وَأَهْلِيْهِمْ) ‘পরিজনবর্গের ক্ষতি সাধন করেছে’ অর্থাৎ নিজেদেরকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করে জাহান্নামে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং পরিবারকেও জাহান্নামে নিয়ে গেছে। কারণ সে নিজে দীন মানেনি, পরিবারকেও মানতে দেয়নি। কেউ বলেছেন, পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ততা হল জান্নাতের হুরদেরকে হারিয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : তোমাদের এমন কেউ নেই যার দু’টি আবাসস্থল নেই। একটি আবাসস্থল জান্নাতে অপরটি জাহান্নামে। যখন কেউ মারা যায় আর জাহ্ন্নাামে প্রবেশ করে তখন জান্নাতে তার জায়গাটি জান্নাতবাসীরা দখল করে নেয়। যেমন আল্লাহ তা‘আলা সূরা মু’মিনূনে বলেছেন “তারাই জান্নাতের উত্তরাধিকারী” (ইবনু মাযাহ হা. ৪৩৪১, সিলসিলা সহীহাহ হা. ৪৪৭৩)
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. হিদায়াত দানকারী একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, অন্য কেউ না।
২. যারা দুনিয়াতে অন্যায়-অপকর্ম করবে তারা আখিরাতে শাস্তি থেকে বাঁচার কোনই পথ খুঁজে পাবে না এবং তাদের কোন সাহায্যকারীও থাকবে না।
৩. প্রত্যেকের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামে স্থান নির্ধারিত রয়েছে। যে যেস্থানের আমল করবে সে সেস্থান পাবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings