Surah Ash Shura Tafseer
Tafseer of Ash-Shuraa : 22
Saheeh International
You will see the wrongdoers fearful of what they have earned, and it will [certainly] befall them. And those who have believed and done righteous deeds will be in lush regions of the gardens [in Paradise] having whatever they will in the presence of their Lord. That is what is the great bounty.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
২০-২২ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
জন্ম-মৃত্যুর মধ্যবর্তী সময়টুকুই হচ্ছে মানুষের দুনিয়ার জীবন। মৃতুবরণ করে যেকোন সময় দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার ডাক এসে যেতে পারে। আল্লাহ তা‘আলার কাছে দুনিয়াটা মশার ডানার সমমূল্যও নয়। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন : যে ব্যক্তি সর্বশেষ জান্নাতে যাবে সে এ পৃথিবী ও এরূপ দশটি পৃথিবী সমতুল্য জান্নাত লাভ করবে। (সহীহ বুখারী হা. ৬৫৭১)
অতএব একজন মু’মিন কি এ তুচ্ছ দুনিয়ার জন্য আমল করবে, নাকি যে জীবনের কোন শেষ নেই, যেখানে সুখ আছে দুঃখ নেই সে জীবনের জন্য আমল করবে? আল্লাহ বলছেন : যে ব্যক্তি আখিরাত কামনা করে আমি তাকে আখিরাতের ফসল বৃদ্ধি করে দেই। অর্থাৎ আল্লাহ তাকে সৎ কাজ করার ব্যাপারে সাহায্য করে থাকেন, ফলে সে আখিরাতে সফলতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির শুধুমাত্র দুনিয়া উদ্দেশ্য, দুনিয়াতে অনেক সম্পদের অধিকারী হবে, সুনাম থাকবে, সবাই তাকে ভয় করে চলবে। সে শুধু দুনিয়াই পায়, আখিরাতে তার জন্য কোন কিছুই বরাদ্দ থাকে না। কেননা সে যা কিছু অর্জন করেছে তা দুনিয়াতেই শেষ হয়ে গেছে। আখিরাতে সে থাকবে রিক্ত হস্তে। আর আখিরাত কামনাকারী ব্যক্তি দুনিয়া এবং আখিরাত দুটোই পাবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন : “কেউ পার্থিব সুখ-সম্ভোগ কামনা করলে আমি তাকে যা ইচ্ছা এখানেই সত্বর দিয়ে থাকি; পরে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি যেথায় সে প্রবেশ করবে নিন্দিত ও বিতাড়িত অবস্থায়। আর যারা মু’মিন অবস্থায় আখিরাত কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য। তোমার প্রতিপালক তাঁর দান দ্বারা এদেরকে ও তাদেরকে সাহায্য করেন এবং তোমার প্রতিপালকের দান অবারিত। লক্ষ্য কর, আমি কীভাবে তাদের কতককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, আখিরাত তো নিশ্চয়ই মর্যাদায় মহত্তর ও গুণে শ্রেষ্ঠতর!” (সূরা ইসরা ১৭ : ১৮-২১)
(أَمْ لَهُمْ شُرَكَا۬ءُ شَرَعُوْا لَهُمْ مِّنَ الدِّيْنِ مَا لَمْ يَأْذَنْۭ بِهِ اللّٰه)
‘তাদের কি এমন কতকগুলো শরীক আছে যারা তাদের জন্য দীনের এমন বিধান প্রবর্তন করেছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?’ অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা অনুমতি দেননি এমন কোন ধর্ম, বিধান ও ইবাদত কেউ বিধান হিসেবে জারি করলে আর তা মাথা পেতে মেনে নিলে তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলার সাথে অংশী স্থাপন করা হয়। যেমন ইসলাম ছাড়া যত ধর্ম রয়েছে, আ্ল্লাহর বিধান ছাড়া মানবরচিত যত বিধান রয়েছে ইত্যাদি। মূলত এভাবে বলে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে তিরস্কার করছেন যারা আল্লাহ তা‘আলার দেয়া ধর্ম ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম মেনে চলে, আল্লাহ তা‘আলার দেয়া বিধান ছাড়া অন্যের বিধান মেনে চলে এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যের ইবাদত করে।
আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, যদি কিয়ামতের প্রতিশ্রুতি না দেয়া থাকত তাহলে দুনিয়াতেই জালিমদেরকে তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিয়ে দেয়া হত। কিন্তু আখিরাতে জালিমদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করা আছে। এ সকল জালিমরা আখিরাতে চিন্তিত থাকবে যে, এখন তাদের কী হবে। কিন্তু মু’মিনরা থাকবে আরাম-আয়েশে জান্নাতে।
সুতরাং প্রতিটি মানুষের সতর্ক হওয়া উচিত, আমি কার দেয়া ধর্ম অনুসরণ করছি, কার তৈরী করা বিধান মানছি। কারণ আমার সকল কাজের হিসাব দিতে হবে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. মু’মিনরা দুনিয়ায় আমলের মাধ্যমে আখিরাত অর্জন করে, কাফিররা কেবল দুনিয়াই অর্জন করে।
২. আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত দ্বিতীয় আর কোনই সঠিক মা‘বূদ নেই ও বিধান দাতা নেই।
৩. অপরাধীরা কিয়ামতের মাঠে তাদের কর্মের জন্য ভীত সন্ত্রস্ত থাকবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings