Surah Fussilat Tafseer
Tafseer of Fussilat : 53
Saheeh International
We will show them Our signs in the horizons and within themselves until it becomes clear to them that it is the truth. But is it not sufficient concerning your Lord that He is, over all things, a Witness?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৫২-৫৪ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
কুরআনুল কারীম প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তা‘আলার বাণী। জিবরীল (আঃ) তা যথোচিত সংরক্ষণের সাথে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মুশরিকদের বলে দিতে নির্দেশ দিয়ে বলেন : হে মুশরিকরা! তোমরা কি একটু চিন্তা করে দেখেছ, এ কুরআন যদি সত্যিকার আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে এসে থাকে (আর তা অবশ্যই সত্য) এরপরেও তোমরা অস্বীকার করলে পথভ্রষ্ট বলে গণ্য হবেন? অর্থাৎ তোমাদের চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কেউ নেই। কারণ তোমরা শত্র“তা ও বিরোধিতায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছ।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন : এ কুরআন প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ। সুতরাং যারা একে অস্বীকার ও এর বিরোধিতা করবে তারা হলো সবচেয়ে বড় পথভ্রষ্ট। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যারা এরূপ অস্বীকার করে আমি তাদের বিরুদ্ধে নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব ফলে তাদের নিকট এ কথা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে এ কুরআন প্রকৃতই সত্য। এতে মিথ্যা কিছুই নেই। তাদের এরূপ মনে করার কারণ এই যে, তারা মূলত তাদের রবের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। যার ফলে তারা বলে- এ কুরআন সত্য নয়, এটা মিথ্যা।
এর দ্বারা কুরআনের সত্যতা এবং এ কুরআন যে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এসেছে তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়। الْاٰفَاقِ শব্দটি افق এর বহুবচন, অর্থ হলো কিনারা (দিকচক্রবাল), দিগন্ত। উদ্দেশ্য হলো, আমি নিজ নিদর্শনাবলী বিশ্বজাহানের দিকচক্রবালেও দেখাবো, আর মানুষের নিজ দেহের ভেতরেও। কেননা, আকাশ ও পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তেও তার বড় বড় নিদর্শন বিদ্যমান রয়েছে। যেমন সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, দিবারাত্রি, বৃষ্টি, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা ইত্যাদি। ‘নিজেদের মধ্যে ’বলতে যে সকল মিশ্রিত উপাদান ও পদার্থ দ্বারা মানুষের অস্তিত্ব ও কাঠামো গঠিত তাই উদ্দেশ্য। কেউ কেউ বলেছেন : الْاٰفَاقِ (দিকচক্রবাল) থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের সেই দূর-দূরান্ত এলাকা উদ্দেশ্য, যা জয় করা মুসলিমদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা সহজ করে দিয়েছেন। আর وَفِيْٓ أَنْفُسِهِمْ (নিজেদের মধ্যে) থেকে নিজেদের অথবা ভুমির ওপর মুসলিমদের উন্নতি ও সাফল্য উদ্দেশ্য। যেমন বদর যুদ্ধ, মক্কা বিজয় প্রভৃতিতে মুসলিমদেরকে প্রভূত সম্মান ও মর্যাদা দান করা হয়েছে।
মূলত কুরআন ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কে কাফিরদের সন্দেহের কারণ হল তারা পুনরুত্থানের প্রতি সন্দিহান, তাদেরকে মৃত্যুর পর জীবিত করা হবে এটা তারা বিশ্বাস করতে পারে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কুরআন আল্লাহর কালাম, এটা তাঁর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে।
২. পৃথিবীর সবকিছু প্রমাণ করে আল্লাহ তা‘আলা এক ও অদ্বিতীয়।
৩. আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে ঈমান থাকবে না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings