Surah Fussilat Tafseer
Tafseer of Fussilat : 45
Saheeh International
And We had already given Moses the Scripture, but it came under disagreement. And if not for a word that preceded from your Lord, it would have been concluded between them. And indeed they are, concerning the Qur'an, in disquieting doubt.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪৪-৪৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহর রহমত ও করুনা যে তিনি নাবীর ভাষায় কুরআন নাযিল করেছেন। কুরআনুল কারীমকে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করার হিকমাত হল : এ কুরআন যদি আরবি ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষায় অবতীর্ণ করা হত তাহলে এ সকল কাফির-মুশরিকরা বলত : এ কুরআন যথাযথভাবে বিবৃত হয়নি। এটা বড়ই অবাক হবার বিষয় যে, রাসূল আরবী ভাষী আর কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে অনারবীয় ভাষায়। এটা কুরআন বুঝা ও বুঝানোর ক্ষেত্রে অন্তরায়।
যেমন আল্লাহ বলেন :
(وَلَوْ نَزَّلْنٰھُ عَلٰی بَعْضِ الْاَعْجَمِیْنَﰕفَقَرَاَھ۫ عَلَیْھِمْ مَّا کَانُوْا بِھ۪ مُؤْمِنِیْنَ)
“আমি যদি এটা কোন অনারবীয়’র প্রতি অবতীর্ণ করতাম। এবং তা সে তাদের নিকট পাঠ করত, তবে তারা তাতে ঈমান আনত না; (সূরা শু‘আরা- ২৬ : ১৯৮-১৯৯)
সুতরাং এ দিকে বিবেচনা করেই কুরআনকে আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। যাতে কোন প্রকার ভুল-ত্র“টি বা ঘাটতি তারা ধরতে না পারে।
আরব ব্যতীত দুনিয়ার অপর জাতিসমূহকে আজম বলা হয়। যদি শব্দটির প্রথমে আলিফ যোগ করে أعجم বলা হয় তাহলে এর অর্থ হয় অপ্রাঞ্জল বাক্য। তাই যে ব্যক্তি আরবী নয় তাকে আজমী বলা হবে যদিও সে প্রাঞ্জল ভাষা বলে। বস্তুত أعجم বলা হবে তাকেই যে ব্যক্তি প্রাঞ্জল ভাষা বলতে পারে না। (কুরতুবী)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন : এ কুরআন মু’মিনদের জন্য হিদায়াত গ্রন্থ ও ব্যাধির প্রতিকার। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْاٰنِ مَا هُوَ شِفَا۬ءٌ وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ لا وَلَا يَزِيْدُ الظَّالِمِيْنَ إِلَّا خَسَارًا )
“আমি কুরআনের এমন আয়াত অবতীর্ণ করি, যা মু’মিনদের জন্য আরোগ্য ও রহ্মত, কিন্তু সেটা জালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” (সূরা ইসরা ১৭ : ৮২)
পক্ষান্তরে যারা কাফির, যারা শয়তানের অনুসারী এ কুরআন তাদেরকে হিদায়াত দান করবে না বরং এটি তাদের জন্য এক পীড়াদায়ক যন্ত্রণা যা তাদের অন্ধত্ব ও বধিরতাকে বৃদ্ধি করে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী :
(وَمَثَلُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا کَمَثَلِ الَّذِیْ یَنْعِقُ بِمَا لَا یَسْمَعُ اِلَّا دُعَا۬ئً وَّنِدَا۬ئًﺚ صُمّۭ بُکْمٌ عُمْیٌ فَھُمْ لَا یَعْقِلُوْنَ)
“আর যারা কুফরী করেছে তাদের দৃষ্টান্ত ওদের ন্যায় যাদেরকে কেউ আহ্বান করলে শুধু চিৎকার ও শব্দ ব্যতীত আর কিছুই শোনে না। তারা বধির, মূক, অন্ধ। কাজেই তারা বুঝতে পারে না।” (সূরা বাকারাহ্ ২ : ১৭১)
(أُولٰ۬ئِكَ يُنَادَوْنَ مِنْ مَّكَانٍۭ بَعِيْدٍ)
‘তারা এমন যে, যেন তাদেরকে আহ্বান করা হয় বহু দূর হতে’ এটা একটি প্রবাদ বা দৃষ্টান্ত। যে ব্যক্তি কথা বোঝে অনারবরা তাকে বলে
أنت تسمع من قريب
অর্থাৎ তুমি নিকটবর্তী স্থান থেকে শুনছ। আর যে কথা বোঝে না তাকে বলে
أنت تنادي من بعيد
অর্থাৎ তোমাকে দূর থেকে ডাকা হচ্ছে (কুরতুবী)। উদ্দেশ্য হল তারা যেহেতু কুরআনের নির্দেশাবলী শোনার ও বোঝার ইচ্ছা করে না তাই তাদের কান যেন বধির এবং চক্ষু অন্ধ।
তাদেরকে হিদায়াত করা এমন যেমন কাউকে অনেক দূর থেকে ডাক দেয়া, ফলে তার কানে আওয়াজ পৌঁছে না এবং সে সাড়া দিতে পারে না।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করার হিকমাত জানতে পারলাম।
২. কুরআন মু’মিনদের জন্য হিদায়াত দানকারী আর কাফিরদেরকে গোমরাহকারী।
৩. প্রত্যেক মানুষের ব্যাপারে পূর্ব থেকে সিদ্ধান্ত করে রাখা হয়েছে সে কোথায় কী করবে এবং কখন কিভাবে মৃত্যু বরণ করবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings