Surah Fussilat Tafseer
Tafseer of Fussilat : 44
Saheeh International
And if We had made it a non-Arabic Qur'an, they would have said, "Why are its verses not explained in detail [in our language]? Is it a foreign [recitation] and an Arab [messenger]?" Say, "It is, for those who believe, a guidance and cure." And those who do not believe - in their ears is deafness, and it is upon them blindness. Those are being called from a distant place.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৪৪-৪৫ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা'আলা কুরআন কারীমের বাকপটুত্ব, শব্দালংকার এবং এর শাব্দিক ও মৌলিক উপকারের বর্ণনা দেয়ার পর এর উপর যারা ঈমান আনেনি তাদের ঔদ্ধত্য ও হঠকারিতার বর্ণনা দিচ্ছেন। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যদি আমি এটা কোন আজমীর উপর অবতীর্ণ করতাম, অতঃপর সে তাদের কাছে এটা পাঠ করতো, তবে এর উপর তারা ঈমান আনতো না।” (২৬:১৯৮-১৯৯) ভাবার্থ এই যে, অমান্যকারীদের টালবাহানার কোন শেষ নেই। তাদের না আছে এতে শান্তি এবং না আছে ওতে শান্তি। তাই এখানে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমি যদি আজমী ভাষায় কুরআন অবতীর্ণ করতাম তবে তারা অবশ্যই বলতোঃ “এর আয়াতগুলো বিশদভাবে বিবৃত হয়নি কেন? কি আশ্চর্য যে, এর ভাষা আজমী, অথচ রাসূল আরবীয়।” আবার যদি আরবী ভাষায় এবং কিছু অন্য ভাষায় হতো তবুও এই প্রতিবাদই করতো যে, এর কারণ কি?”
হযরত হাসান বসরী (রঃ)-এর কিরআতে (আরবী) রয়েছে। হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়াবও (রঃ) এ ভাবার্থই বর্ণনা করেছেন। এর দ্বারা তাদের ঔদ্ধত্য ও হঠকারিতা জানা যাচ্ছে।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ মুমিনদের জন্যে এই কুরআন পথ-নির্দেশ ও ব্যাধির প্রতিকার। অর্থাৎ এটা তাদের অন্তরের ব্যাধি দূরকারী। এর মাধ্যমে তাদের সমস্ত সন্দেহ দূর হয়ে যায়। পক্ষান্তরে যারা অবিশ্বাসী তাদের অন্তরে বধিরতা রয়েছে। কুরআন হবে এদের জন্যে অন্ধত্ব। এরা এমন যে, যেন এদেরকে আহ্বান করা হয় বহু দূর হতে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি অবতীর্ণ করেছি কুরআন, যা মুমিনদের জন্যে আরোগ্য ও রহমত, কিন্তু এটা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।”(১৭-৮২) তাদের দৃষ্টান্ত এমনই যে, যেন তাদেরকে আহ্বান করা হচ্ছে বহুদূর হতে। তাদের কানে যেন কুরআনের শব্দ পৌঁছেই না। সে সঠিকভাবে কুরআনের অর্থ অনুধাবনই করতে পারে না। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “কাফিরদের উপমা ঐ ব্যক্তির মত যে ডাক দেয়, কিন্তু শব্দ এবং ডাক ছাড়া কিছুই তার কানে পৌছে না, সে বধির, মূক এবং অন্ধ, সুতরাং সে বুঝে ।”(২:১৭১)
যহাক (রঃ) এই ভাবার্থ বর্ণনা করেছেন যে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে তাদের ঘৃণ্য নাম দ্বারা ডাক দেয়া হবে।
সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, একদা হযরত উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) একজন মুসলমানের পার্শ্বে বসেছিলেন। হঠাৎ সে লাব্বায়েক বলে ডাক দিলো। তখন হযরত উমার (রাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “তুমি কি কাউকেও দেখেছো, না কেউ তোমাকে ডাকছে?” লোকটি উত্তরে বললোঃ “হ্যা, সমুদ্রের ঐ প্রান্ত হতে কে একজন ডাকছে।” তখন হযরত উমার (রাঃ) (আরবী)-এই বাক্যটি পাঠ করলেন।
এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি তো মূসা (আঃ)-কে কিতাব দিয়েছিলাম, অতঃপর এতে মতভেদ ঘটেছিল। অর্থাৎ তাকেও অবিশ্বাস করা হয়েছিল এবং কষ্ট দেয়া হয়েছিল। সুতরাং সে যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল, তদ্রুপ তোমাকেও ধৈর্যধারণ করতে হবে। তোমার প্রতিপালক পূর্ব হতেই এটার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন যে, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত এদের উপর হতে শাস্তি সরিয়ে রাখবেন। এ জন্যেই তিনি এদেরকে অবকাশ দিচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত হয়ে না থাকলে এদের মীমাংসা হয়েই যেতো। অর্থাৎ এখনই এদের উপর শাস্তি আপতিত হতো। এরা অবশ্যই এর সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রয়েছে। অর্থাৎ এরা যে অবিশ্বাস করছে এটা কোন বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয়, বরং এরা বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে পড়ে রয়েছে। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings