Surah Fussilat Tafseer
Tafseer of Fussilat : 33
Saheeh International
And who is better in speech than one who invites to Allah and does righteousness and says, "Indeed, I am of the Muslims."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৩৩-৩৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
(الْمُسْلِمِيْنَ...... وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ)
যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে মানুষকে আহ্বান করে ও সাথে সাথে নিজে সৎ আমল করে এবং বলে আমি আল্লাহ তা‘আলার বিধানের কাছে আত্মসমর্পণকারী, সে ব্যক্তির কথা পৃথিবীর বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ- এ কথাই এখানে প্রতীয়মান হয়েছে। ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন : এ আয়াতটি ঐ সকল ব্যক্তিদের জন্য যারা নিজেরা সৎ পথে চলে এবং অন্যদেরকে দাওয়াত প্রদান করে। এ দাওয়াতী কাজে মানুষকে দীন শিক্ষা দেয়া, ওয়াজ নসিহত করা, দীনের ওপর অটল থাকতে উৎসাহ প্রদান করা সব কিছুই শামিল (তাফসীর সাদী, অত্র আয়াতের তাফসীর)। এ আয়াতে মূলত এটাই সাব্যস্ত হয় যে, নিজে ভাল কাজ করতে হবে এবং সাথে সাথে মানুষকে ভাল কাজ করার জন্য, আল্লাহ তা‘আলার একত্বের দিকে তাঁর ইবাদত করার জন্য আহ্বান করতে হবে। শুধু নিজে করলেই চলবে না বরং সকলকে এ কাজের দিকে দা‘ওয়াত দিতে হবে। যেমনভাবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষকে ইসলাম ও দীনের পথে দা‘ওয়াত দিয়েছিলেন। সুতরাং যারা ভাল কাজ করে এবং অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে সে হলো সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট এবং সম্মানিত ব্যক্তি।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা ইসলামের দা‘ওয়াত দেয়ার পদ্ধতি এবং উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করছেন যে, যারা আল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বান করবে তারা যেন নম্র-ভদ্রভাবে এবং সুন্দরভাবে আল্লাহ তা‘আলার পথে আহ্বান করে। মন্দকে দূরীভূত করে ভাল দ্বারা। যা উৎকৃষ্ট তা দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করতে হবে। অর্থাৎ অন্যায়ের বদলা নিতে হবে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার দ্বারা, জুলুমের বদলা নিতে হবে ক্ষমা করে, ক্রোধের বদলা নিতে হবে ধৈর্য ধারণ করে।
আল্লাহ তা‘আলার বাণী : “মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তা দ্বারা; তারা যা বলে আমি সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানের প্ররোচনা হতে, আর ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে।’ (সূরা মু’মিনূন ২৩ : ৯৬-৯৮)
ফলে এতে করে উপকারিতা হলো : শত্র“ বন্ধুতে পরিণত হয়ে যাবে, তোমার থেকে দূরে দূরে থাকত এমন ব্যক্তি নিকটতম হয়ে যাবে। আর এ গুণটা অর্থাৎ মন্দকে ভাল দ্বারা পরিবর্তন করার অভ্যাস সকল মানুষের মধ্যে থাকে না, শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তিই এটা করতে সক্ষম যারা ধৈর্য ধারণ করতে পারে, রাগকে দমন করতে পারে এবং অপছন্দনীয় কথা-বার্তা সহ্য করতে পারে। এটা তাদের দ্বারাই সম্ভব, অন্য কারো পক্ষে এটা সম্ভব নয়।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন : যদি ভাল কাজ করতে গিয়ে শয়তান তোমাকে কুমন্ত্রণা দেয় তাহলে তুমি মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করো। কেননা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা এক আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারো নেই। এ সম্পর্কে সূরা আল আ‘রাফ-এর ২০০ নম্বর আয়াতেও আলোচনা করা হয়েছে।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় মানুষকে আহ্বান করার পদ্ধতি ও ফযীলত জানতে পারলাম।
২. সত্য দ্বারা বাতিলকে, ভাল দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করতে হবে।
৩. সত্য ও মিথ্যা কখনো সমান হতে পারে না।
৪. বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, বিচলিত হওয়া যাবে না।
৫. শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার নিকটই আশ্রয় চাইতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings