Surah Fussilat Tafseer
Tafseer of Fussilat : 29
Saheeh International
And those who disbelieved will [then] say, "Our Lord, show us those who misled us of the jinn and men [so] we may put them under our feet that they will be among the lowest."
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
২৫-২৯ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাআলা বর্ণনা করছেন যে, তিনি মুশরিকদেরকে পথভ্রষ্ট করেছেন। এটা তাঁর ইচ্ছা এবং ক্ষমতা। তিনি তার সমুদয় কাজে নিপুণ। তাঁর প্রতিটি কাজ হিকমত ও নিপুণতা পূর্ণ। তিনি কতকগুলো দানব ও মানবকে মুশরিকদের সাথী করে দেন। তারা তাদের মন্দ আমলগুলোও তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে দেখায়। তারা দূর অতীতের দিক দিয়ে এবং ভবিষ্যৎ কালের দিক দিয়েও তাদের আমলগুলোকে ভাল মনে করে থাকে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণে বিমুখ হয় আমি তার জন্যে নিয়োজিত করি শয়তান, অতঃপর সেই হয় তার সহচর। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথ হতে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে পরিচালিত হচ্ছে।”(৪৩:৩৬-৩৭)।
তাদের উপর আল্লাহর শাস্তির কথা বাস্তব হয়েছে, যেমন তাদের পূর্ববর্তী দানব ও মানবদের উপর শাস্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল। তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এরাও তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এবং এরা সমান হয়ে গেছে।
কাফিররা পারস্পরিক পরামর্শক্রমে এই ঐকমত্যে পৌঁছেছিল যে, তারা আল্লাহর কালামকে মানবে না এবং এর হুকুমের আনুগত্য করবে না। বরং তারা একে অপরকে বলে দেয় যে, যখন কুরআন পাঠ করা হবে তখন যেন শোরগোল ও হৈ চৈ শুরু করে দেয়া হয়। যেমন হাততালি দেয়া, বাঁশী বাজানো এবং চিৎকার করা। কুরায়েশরা তাই করতো। তারা দোষারোপ করতো, অস্বীকার করতো, শত্রুতা করতো এবং এটাকে নিজেদের বিজয় লাভের কারণ মনে করতো। প্রত্যেক অজ্ঞ, মূর্খ কাফিরের এই একই অবস্থা যে, তার কুরআন শুনতে ভাল লাগে না। এজন্যেই এর বিপরীত করতে আল্লাহ তা'আলা মুমিনদের নির্দেশ দিয়ে বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা তা শুনো ও চুপ থাকো, যাতে তোমাদের উপর দয়া করা হয়।”(৭:২০৪)।
ঐ কাফিরদেরকে ধমকানো হচ্ছে যে, কুরআন কারীমের বিরোধিতা করার কারণে তাদেরকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে। আর অবশ্যই তারা তাদের দুষ্কর্মের শাস্তি আস্বাদন করবে। আল্লাহর এই শত্রুদের বিনিময় হলো জাহান্নামের আগুন। এর মধ্যেই রয়েছে তাদের জন্যে স্থায়ী আবাস, আল্লাহর নিদর্শনাবলী অস্বীকৃতির প্রতিফল স্বরূপ।
এর পরবর্তী আয়াতের ভাবার্থ হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এখানে ‘জ্বিন’ দ্বারা ইবলীস এবং ইনস’ (মানুষ) দ্বারা হযরত আদম (আঃ)-এর ঐ সন্তানকে বুঝানো হয়েছে যে তার ভাইকে হত্যা করেছিল।
অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, ইবলীস তো প্রত্যেক মুশরিককে ডাক দিবে, আর হযরত আদম (আঃ)-এর এই সন্তানটি প্রত্যেক কাবীরা গুনাহকারীকে ডাক দিবে। সুতরাং ইবলীস শিরক এবং সমস্ত পাপকার্যের দিকে মানুষকে আহ্বানকারী এবং প্রথম রাসূল হযরত আদম (আঃ)-এর যে ছেলেটি তার ভাইকে হত্যা করেছিল সেও এই কাজে শরীক রয়েছে। যেমন হাদীসে এসেছেঃ “ভূ-পৃষ্ঠে যত অন্যায় হত্যাকাণ্ড ঘটতে আছে এর প্রত্যেকটার পাপ হযরত আদম (আঃ)-এর এই প্রথম ছেলের উপরও চেপে থাকে। কেননা, সে-ই প্রথম হত্যাকাস্ত্রে সূচনাকারী।”
সুতরাং কিয়ামতের দিন কাফিররা তাদেরকে পথভ্রষ্টকারী দানব ও মানবদেরকে নিম্নস্তরের জাহান্নামের মধ্যে প্রবেশ করাতে চাইবে, যাতে তাদের শাস্তি কঠিন হয় এবং তারা অত্যন্ত লাঞ্ছিত হয়। মোটকথা, তাদের চেয়ে ওদের শাস্তি যেন বহুগুণে বেশী হয় এটাই তারা কামনা করবে। যেমন সূরায়ে আ'রাফে এ বর্ণনা গত হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন অনুসারীরা অনুসৃতদের দ্বিগুণ শাস্তির জন্যে আল্লাহ তা'আলার নিকট আবেদন করবে, তখন উত্তরে বলা হবেঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেকের জন্যেই দ্বিগুণ শাস্তি, কিন্তু তোমরা জান না।”(৭:৩৮) অর্থাৎ প্রত্যেককেই তার আমল অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা কুফরী করেছে ও আল্লাহর পথ হতে বিরত রেখেছে, তাদেরকে আমি তাদের বিপর্যয় সৃষ্টির কারণে শাস্তির উপর শাস্তি বৃদ্ধি করবো।” (১৬:৮৮)
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings