Surah Ghafir Tafseer
Tafseer of Ghafir : 65
Saheeh International
He is the Ever-Living; there is no deity except Him, so call upon Him, [being] sincere to Him in religion. [All] praise is [due] to Allah, Lord of the worlds.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৬০-৬৫ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। পূর্বোক্ত আয়াতে যেহেতু মহান আল্লাহ কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা আলোচনা করেছেন, তাই এখন এ আয়াতে এমন পথের দিশা দেয়া হচ্ছে যা অবলম্বন করলে মানুষ পরকালের সৌভাগ্য লাভ করতে পারবে। বেশির ভাগ তাফসীরবিদগণ আয়াতে দু‘আর অর্থ করেছেন ইবাদত। অর্থাৎ কেবল এক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করো। যেমন হাদীসেও দু‘আকে একটি ইবাদত বলা হয়েছে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন :
الدعاء هوالعبادة
দু‘আ, সেটি হলো ইবাদত। (মুসনাদ আহমাদ ৪/২৭১, মিশকাত হা. ২২৩০)
এ ছাড়াও পরে উল্লিখিত
(يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ)
থেকে পরিস্কার হয়ে যায় যে, এর অর্থ ইবাদত। কেউ কেউ বলেন, দু‘আ বলতে দু‘আ করাই বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মঙ্গল অর্জন ও অমঙ্গল দূরীভূত করার জন্য আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করা। তবে প্রথম অর্থটাই অধিক সঠিক ।
( اَللّٰهُ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ.... مُبْصِرًا)
এ সম্পর্কে সূরা ফুরক্বান-এর ৪৭ নম্বর আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।
( اَللّٰهُ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ.....)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ক্ষমতা এবং তিনি বান্দার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন : তিনি পৃথিবীকে করেছেন মানবজাতির জন্য বসবাস উপযোগী। যেখানে মানুষ বসবাস, চলাফেরা, কাজকর্ম এবং জীবন-যাপন করছে। পরিশেষে মৃত্যুবরণ করে কিয়ামত পর্যন্ত এরই মধ্যে সমাধিস্থ থাকবে। আর এ জমিনের ওপর তিনি আকাশকে করেছেন ছাদস্বরূপ। এবং তিনি তাদের সৃষ্টিকার্য সম্পন্ন করার পর তাদেরকে জীবিকা হিসেবে দিয়েছেন এমন সব খাদ্য যা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ وَالَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ لا- الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْأَرْضَ فِرَاشًا وَّالسَّمَا۬ءَ بِنَا۬ءً ص وَّأَنْزَلَ مِنَ السَّمَا۬ٓءِ مَآءً فَأَخْرَجَ بِه۪ مِنَ الثَّمَرَاتِ رِزْقًا لَّكُمْ ج فَلَا تَجْعَلُوْا لِلّٰهِ أَنْدَادًا وَّأَنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
“হে মানবমণ্ডলী! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন যেন তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী হও। যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বিছানা ও আকাশকে ছাদস্বরূপ করেছেন এবং যিনি আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা তোমাদের জন্য জীবিকাস্বরূপ ফল উৎপাদন করেন, অতএব তোমরা জেনে শুনে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক কর না।” (সূরা বাকারাহ্ ২ : ২১-২২)
এবং তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সর্বোত্তম আকৃতিতে। জমিনে যত প্রকার সৃষ্টিজীব রয়েছে তার মধ্যে মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অবয়ব দান করেছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِيْ۬ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ)
“আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে”। (সূরা আত্ তীন ৯৫ : ৪)
এগুলো এটা প্রমাণ করে যে, স্রষ্টা হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই উপাস্য, অন্য কেউ নয়।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকলে তিনি বান্দার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন- এ কথা জানা গেল।
২. আল্লাহ তা‘আলার কতিপয় নেয়ামতের কথা জানতে পারলাম।
৩. একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতে হবে, তার প্রশংসা করতে হবে এবং তাঁর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings