Surah Ghafir Tafseer
Tafseer of Ghafir : 5
Saheeh International
The people of Noah denied before them and the [disbelieving] factions after them, and every nation intended [a plot] for their messenger to seize him, and they disputed by [using] falsehood to [attempt to] invalidate thereby the truth. So I seized them, and how [terrible] was My penalty.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৪-৬ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
আলোচ্য আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের একটি মন্দ অভ্যাসের বর্ণনা দিয়ে মুসলিমদেরকে সতর্ক করে বলছেন : আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শনাবলী প্রতিহত ও বাতিল করার জন্য একমাত্র কাফিররাই বিতর্ক করে থাকে। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَيُجَادِلُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوْا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوْآ اٰيٰتِيْ وَمَآ أُنْذِرُوْا هُزُوًا)
কিন্তু কাফিররা মিথ্যা অবলম্বণে বিতণ্ডা করে সেটা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেবার জন্য আর তারা আমার নিদর্শনাবলী ও যার দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে সে সমস্তকে তারা বিদ্রূপের বিষয়রূপে গ্রহণ করে থাকে। (সূরা কাহফ ১৮ : ৫৬)।
এসব অসৎ কাজ করার উদ্দেশ্য হল তারা শয়তানের অনুসারী এবং তারা এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান রাখে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
(وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُّجَادِلُ فِي اللّٰهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَّيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَّرِيْدٍ لا- كُتِبَ عَلَيْهِ أَنَّه۫ مَنْ تَوَلَّاهُ فَأَنَّه۫ يُضِلُّه۫ وَيَهْدِيْهِ إِلٰي عَذَابِ السَّعِيْرِ)
“মানুষের মধ্যে কতক অজ্ঞতাবশত আল্লাহ সম্বন্ধে বিতণ্ডা করে এবং অনুসরণ করে প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তানের, তার সম্বন্ধে এ নিয়ম করে দেয়া হয়েছে যে, যে কেউ তার সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাকে পথভ্রষ্ট করবে এবং তাকে পরিচালিত করবে প্রজ্জ্বলিত অগ্নির শাস্তির দিকে।” (সূরা আল হাজ্জ ২২ : ৩-৪)
(فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ)
‘সুতরাং শহরগুলিতে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে’ কুরাইশরা শীতকালে ইয়ামান এবং গ্রীষ্মকালে সিরিয়ায় বাণিজ্যিক সফরে যেত। বায়তুল্লাহর সেবক হওয়ার সুবাদে সমগ্র আরবে তাদের সম্মান ও সুখ্যাতি ছিল। ফলে তারা নিরাপদে তাদের ঐশ্বর্য ও রাজনৈতিক প্রতিপত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিরোধিতা সত্ত্বেও তাদের এ সুখ্যাতি ও প্রভাব কায়েম থাকা তাদের জন্য গর্ব ও অহংকারের বিষয় ছিল। তারা বলত আমরা আল্লাহ তা‘আলার কাছে অপরাধী হলে এসব নেয়ামত ও ধনৈশ্বর্য ছিনিয়ে নেয়া হত। এ পরিস্থিতির কারণে কিছু সংখ্যক মুসলিমদের মাঝেও সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাই আলোচ্য আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষ উদ্দেশ্যে তাদেরকে সাময়িক অবকাশ দিয়ে রেখেছেন। এতে ধোঁকায় পড়া যাবে না। বস্তুত তাদের সকল প্রভাব ও রাজনৈতিক কাঠামো বদর যুদ্ধের সূচনা থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এ সম্পর্কে আল্লাহ অন্যত্র বলেন :
(لَا یَغُرَّنَّکَ تَقَلُّبُ الَّذِیْنَ کَفَرُوْا فِی الْبِلَادِﰓمَتَاعٌ قَلِیْلٌﺤ ثُمَّ مَاْوٰٿھُمْ جَھَنَّمُﺚ وَبِئْسَ الْمِھَادُ)
“শহরসমূহে কাফিরদের স্বাচ্ছন্দ্য চাল-চলন যেন তোমাকে প্রতারিত না করে। এসব মাত্র কয়েকদিনের সম্ভোগ; অতঃপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম এবং তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান!” (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৯৬-১৯৭)
এরপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নাবীকে সান্ত্বনা প্রদান করছেন যে, হে নাবী! লোকেরা যে তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এ কারণে তুমি দুঃখিত ও চিন্তিত হয়ো না। এদের কাজই হলো সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা। এরা শুধু তোমাকে নয়, বরং তোমার পূর্ববর্তী সকল নাবী-রাসূলকেই মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। ফলে তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। অনুরূপ এরাও ধ্বংস হবে এবং এরাই হলো জাহান্নামের অধিবাসী। এদের বিরুদ্ধে তোমার রবের বিধান এমনই যে, এদের ওপর জাহান্নামের শাস্তি অবধারিত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাদের এমন আচরণ বর্জন করা উচিত যা ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. অমুসলিম ব্যতীত কেউই আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে না।
২. শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আখিরাত হারানো থেকে সাবধান থাকতে হবে।
৩. যারা সত্যকে অস্বীকার করবে তাদের জন্যই জাহান্নাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings