Surah Ghafir Tafseer
Tafseer of Ghafir : 17
Saheeh International
This Day every soul will be recompensed for what it earned. No injustice today! Indeed, Allah is swift in account.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫-১৭ নম্বর আয়াতের তাফসীর :
অত্র আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলার মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনার পাশাপাশি ওয়াহী প্রেরণ করার উদ্দেশ্য আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছা তার প্রতি ওয়াহী করেন, উদ্দেশ্য হলো তাঁর সেই মনোনীত বান্দা এ ওয়াহী দ্বারা যেন জনসাধারণকে সতর্ক করতে পারে ঐ-দিন সম্পর্কে যে-দিন মানুষ কবর থেকে বেরিয়ে সবাই আল্লাহ তা‘আলার সম্মুখে দণ্ডায়মান হবে। আর সে-দিন কোন কিছুই আল্লাহ তা‘আলার নিকট গোপন থাকবে না। সকল কিছুই প্রকাশ হয়ে পড়বে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(يُنَزِّلُ الْمَلٰ۬ئِكَةَ بِالرُّوْحِ مِنْ أَمْرِه۪ عَلٰي مَنْ يَّشَا۬ءُ مِنْ عِبَادِه۪ٓ أَنْ أَنْذِرُوْآ أَنَّه۫ لَآ إِلٰهَ إِلَّآ أَنَا فَاتَّقُوْنِ)
“ তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা স্বীয় নির্দেশে ওয়াহীসহ ফেরেশতা প্রেরণ করেন এ বলে যে, তোমরা সতর্ক কর, নিশ্চয়ই আমি ব্যতীত কোন সত্যিকার মা‘বূদ নেই; সুতরাং আমাকেই ভয় কর।” (সূরা আন্ নাহ্ল ১৬ : ২)
আর সেদিন কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব সকল কিছু হবে আল্লাহ তা‘আলার জন্য। সেদিন আর কারো কোন ক্ষমতা চলবে না। যেমন হাদীসে বলা হয়েছে, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি। (কিয়ামতের দিবসে) আল্লাহ তা‘আলা জমিনকে কবজায়ত্ব করে নেবেন এবং আকাশকে ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেন, আমিই বাদশা, (আজ) দুনিয়ার বাদশারা কোথায়? (সহীহ বুখারী হা. ৪৮১২, সহীহ মুসলিম হা. ২৭৮৭)
আর সেদিন প্রত্যেককেই তার কৃত-কর্মের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে। কারো ওপর বিন্দু পরিমাণও জুলুম করা হবে না। যেমন হাদীসে বলা হয়েছে, আবূ যার (রাঃ) রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন : হে আমার বান্দারা! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের ওপর জুলুম হারাম করে নিয়েছি, (অর্থাৎ কারো প্রতি জুলুম করি না) এবং তোমাদের জন্যও তা হারাম করে দিয়েছি। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কারো ওপর জুলুম না করে। হে আমার বান্দারা! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের আমলগুলো লিপিবদ্ধ করে রাখছি। আমি এগুলোর পূর্ণ প্রতিফল দান করব। সুতরাং যে ব্যক্তি কল্যাণ পাবে সে যেন আল্লাহ তা‘আলার পূর্ণ প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি এটা ছাড়া অন্য কিছু পাবে সে যেন নিজেকেই ভর্ৎসনা করে। (সহীহ মুসলিম হা. ১৯৯৪) সুতরাং কারো প্রতি কোন জুলুম করা হবে না। সবাই তার কর্মের পূর্ণ প্রতিফল পাবে।
الرُّوْحَ দ্বারা আয়াতে “ওয়াহী” বুঝানো হয়েছে। (يَوْمَ التَّلَاقِ) এটি কিয়ামতের নামসমূহের মধ্য হতে একটি নাম।
আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয় :
১. ওয়াহী প্রেরণ করার উদ্দেশ্য হলো মানব জাতিকে সতর্ক করা।
২. কিয়ামতের দিন কর্তৃত্ব চলবে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার।
৩. কিয়ামতের মাঠে মানুষের সকল আমল আল্লাহ তা‘আলা প্রকাশ করে দেবেন।
৪. আল্লাহ তা‘আলা জালিম নন, তাই তিনি কারো প্রতি কোন প্রকার জুলুম করবেন না।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings