Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 90
Saheeh International
Indeed, those who reject the message after their belief and then increase in disbelief - never will their [claimed] repentance be accepted, and they are the ones astray.
Ibn Kathir Full
Tafseer 'Ibn Kathir Full' (BN)
৯০-৯১ নং আয়াতের তাফসীর:
বিশ্বাস স্থাপনের পর অবিশ্বাসকারী এবং ঐ অবিশ্বাসের অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ কারীদেরকে এখানে আল্লাহ তা'আলা ভয় প্রদর্শন করেছেন। বলা হচ্ছে যে, মৃত্যুর সময় তাদের তাওবা গৃহীত হবে না। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাপ কার্যে লিপ্ত ব্যক্তি মৃত্যু দেখে তাওবা করলে তা আল্লাহর নিকট গৃহীত হয় না।' (৪:১৮) এখানেও ঐ কথাই বলা হয়েছে যে, তাদের তাওবা কখনই গৃহীত হবে না এবং এরাই তারা যারা সুপথ হতে ভ্রষ্ট হয়ে ভ্রান্তপথে চালিত হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ কতক লোক মুসলমান হয়ে ধর্মত্যাগী হয়ে যায়। অতঃপর আবার ইসলাম গ্রহণ করে এবং পুনরায় ধর্মত্যাগী হয়ে পড়ে। তারপর তারা স্বীয় গোত্রের নিকট লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করে যে, এখন তাদের তাওবা গৃহীত হবে কি-না? তাদের গোত্রের লোক তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করে। ফলে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়।' (মুসনাদ-ই-বাযযার) এর ইসনাদ খুবই উত্তম।
এরপর বলা হচ্ছেঃ কুফরের উপর মৃত্যুবরণ কারীদের তাওবা কখনও গৃহীত হবে না, যদিও তারা পৃথিবী পরিমাণ সোনা আল্লাহর পথে খরচ করে।' নবী (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়, আবদুল্লাহ ইবনে জাদআন একজন বড় অতিথি সেবক ও গোলাম আযাদকারী লোক ছিল। তার এ পুণ্য কোন কাজে আসবে কি? রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ না, কেননা সে সারা জীবনে একবারও (আরবী) অর্থাৎ হে আমার প্রভু! কিয়ামতের দিন আমাকে ক্ষমা করুন বলেনি। তার দান যেমন গৃহীত হবে না তেমনই তার বিনিময়ও গ্রহণ করা হবে। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ না তাদের বিনিময় গৃহীত হবে, না সুপারিশ কোন উপকার দেবে। (২:১২৩) আরেক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ ‘সেইদিন না। থাকবে ক্রয়-বিক্রয় না থাকবে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা।' অন্য স্থানে ইরশাদ হচ্ছেঃ ‘পৃথিবী পরিমাণ জিনিস যদি কাফিরদের নিকট থাকে এবং আরও এ পরিমাণ জিনিস হয়, অতঃপর সে ঐ সমস্তই কিয়ামতের শাস্তির বিনিময়ে মুক্তিপণরূপে প্রদান করে তবুও তা গ্রহণ করা হবে না, তাকে সেই কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিভোগ করতে হবে। ঐ বিষয়ই এখানেও বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ কেউ (আরবী) শব্দের (আরবী)-টিকে অতিরিক্ত বলেছেন। কিন্তু (আরবী) টিকে সংযোগের (আরবী) স্বীকার করতঃ আমরা যে তাফসীর করেছি ঐ তাফসীর করা খুব উত্তম। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, কাফিরদেরকে আল্লাহ তাআলার শাস্তি হতে কোন জিনিসই রক্ষা করতে পারবে না। যদিও সে অত্যন্ত সৎ ও খুবই দানশীল হয়। যদিও সে পৃথিবী পরিমাণ সোনা আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেয়, কিংবা পাহাড়, পর্বত, মাটি, বালু, মরুভূমি, শক্তভূমি এবং সিক্ত মাটি পরিমাণ সোনা শাস্তির বিনিময়ে খরচ করে দেয় তবুও তা তার কোন উপকারে আসবে না।
‘মুসনাদ-ই-আহমাদে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘জাহান্নামবাসীকে কিয়ামতের দিন বলা হবে-পৃথিবীতে যত কিছু রয়েছে সবই যদি তোমার হয়ে যায় তবে কি তুমি এ দিনের ভীষণ শাস্তির বিনিময়ে ঐ সমস্তই মুক্তিপণ স্বরূপ দিয়ে দেবে?' সে বলবে- হ্যা। তখন আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ ‘আমি তোমার নিকট এর তুলনায় অনেক কম চেয়েছিলাম। যখন তুমি তোমার পিতা আদম (আঃ)-এর পৃষ্ঠে ছিলে তখন আমি তোমার নিকট অঙ্গীকার নিয়েছিলাম। তুমি আমার সাথে কাউকেও অংশীদার করবে না। কিন্তু তুমি শিবুক ছাড়া থাকতে পারনি।' এ হাদীসটি সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যেও অন্য সনদে রয়েছে। মুসনাদ-ই-আহমাদের অন্য একটি হাদীসে রয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘এক জান্নাতবাসীকে আনা হবে এবং তাকে আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ বল, তুমি কিরূপ জায়গা পেয়েছো।' সে উত্তরে বলবেঃ হে আল্লাহ! আমি খুব উত্তম জায়গা পেয়েছি। আল্লাহ তাআলা তখন বলবেনঃ “আচ্ছা, আরও চাইতে হলে চাও এবং মনের কিছু আকাঙ্খা থাকলে তা প্রকাশ কর।' সে বলবে, হে আমার প্রভু! আমার শুধুমাত্র বাসনা এটাই এবং এ একটি মাত্রই যা যে, আমাকে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হোক। আমি আপনার পথে জিহাদ করে পুনরায় হীদ হব, আবার জীবিত হবে এবং পুনরায় শহীদ হবো। দশবার যেন এরকমই হয়। কেননা, শাহাদাতের প্রকৃষ্টতা এবং শহীদের পদ-মর্যাদা সে স্বচক্ষে অবলোকন করেছে। অনুরূপভাবে একজন জাহান্নামবাসীকে আহ্বান করা হবে এবং আল্লাহ তা'আলা বলবেনঃ “হে আদম সন্তান! তুমি তোমার স্থান কিরূপ পেয়েছো?' সে বলবেঃ “হে আল্লাহ! খুবই জঘন্য স্থান। আল্লাহ তা'আলা তখন বলবেনঃ পৃথিবী পরিমাণ সোনা দিয়ে এ শাস্তি হতে মুক্তি পাওয়া তুমি পছন্দ কর কি?' সে বলবেঃ হে প্রভু! হ্যা'। সেই সময় মহান প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলবেনঃ ‘তুমি মিথ্যাবাদী। আমি তো তোমার নিকট এর চেয়ে বহু কম ও অত্যন্ত সহজ জিনিস চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি ওটাও করনি।' অতএব, তাকে জাহান্নামে পাঠিয় দেয়া হবে। তাই, এখানে আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ ‘তাদের জন্যে বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে এবং এমন কোন জিনিস নেই যা তাদেরকে এ শাস্তি হতে রক্ষা করতে পারে বা তাদেরকে কোন প্রকারে সাহায্য করতে পারে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings