Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 84
Saheeh International
Say, "We have believed in Allah and in what was revealed to us and what was revealed to Abraham, Ishmael, Isaac, Jacob, and the Descendants, and in what was given to Moses and Jesus and to the prophets from their Lord. We make no distinction between any of them, and we are Muslims [submitting] to Him."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৮৪-৮৫ নং আয়াতের তাফসীর:
৮১ নং আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ তা‘আলা সকল নাবীর নিকট থেকে এ মর্মে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তাদের কাছে যখনই কোন নাবী আগমন করবে তারা তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সহযোগিতা করবে। অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে স্বীকৃতি নিচ্ছেন যে, বল, আমি আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমার প্রতি ও পূর্ববর্তী সকল নাবীর প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনলাম এবং এ ঈমানে কোন পার্থক্য করিনি। অতএব সকল নাবী ও তাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের ওপর কোনরূপ পার্থক্য ছাড়াই ঈমান আনতে হবে।
যে দীনসহ নাবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন, সে দীন ব্যতীত অন্য কোন দীন অন্বেষণকারীদেরকে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যারা আছে সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে তথা আত্মসমর্পণ করেছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَنْ فِي السَّمٰوٰتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَّكَرْهًا وَّظِلٰلُهُمْ بِالْغُدُوِّ وَالْاٰصَالِ)
“আল্লাহর প্রতি সিজ্দাবনত হয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় এবং তাদের ছায়াগুলোও সকাল ও সন্ধ্যায় (মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন)।” (সূরা রা‘দ ১৩:১৫) অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلِلّٰهِ يَسْجُدُ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مِنْ دَا۬بَّةٍ وَّالْمَلٰ۬ئِكَةُ وَهُمْ لَا يَسْتَكْبِرُوْنَ)
“আল্লাহকেই সিজদাহ করে যত জীবজন্তু আছে আকাশমণ্ডলীতে এবং পৃথিবীতে, অনুরূপ ফেরেশতাগণও, তারা অহংকার করে না।” (সূরা নাহল ১৬:৪৯)
সুতরাং তোমরা মানব জাতি কেন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে না? বরং তোমাদের সকলের উচিত সবকিছুর মত আমার কাছে আত্মসমর্পণ করা।
الْأَسْبٰطِ শব্দের ভাবার্থ হচ্ছে বানী ইসরাঈলের বারটি গোত্র যারা ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ছিল। এরা ছিল ইয়া‘কূব (আঃ)-এর বারোটি পুত্রের সন্তান।
উল্লেখ্য যে, আয়াতে ইসমাঈল (আঃ)-এর পরে ইসহাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসহাক (আঃ) ইসমাঈল (আঃ) থেকে বয়সে ছোট, সূরা সফফাতে বর্ণিত কুরবানীর ঘটনা ইসমাঈল (আঃ)-এর সাথে জড়িত, ইসহাকের সাথে নয়।
দীন ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম মেনে চললে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা গৃহীত হবে না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কিয়ামতের দিন আমলনামা আগমন করবে। সালাত এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমি সালাত। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল জিনিস। সাদাকা এসে বলবে, হে প্রভু আমি সাদাকা। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর সিয়াম এসে বলবে: হে প্রভু! আমি সিয়াম। আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। এভাবে সব আমল আসবে। প্রত্যেকের ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, তুমি ভাল। তারপর ইসলাম আসবে এবং বলবে, হে প্রভু তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। তখন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন: তুমি ভাল। আজ তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই পুরস্কৃত করব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَمَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْھُﺆ وَھُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে তার কিছুই কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫) (মুসনাদ আহমাদ হা: ৮৭২৭, সহীহ)
সুতরাং প্রতিটি ব্যক্তি ধর্ম হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মেনে চলার সাথে সাথে অন্যান্য সকল ধর্ম অস্বীকার করতে হবে, তাহলেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে একজন প্রকৃত আত্মসমর্পণকারী হওয়া সম্ভব এবং এতেই ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি নিহিত।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ইসলাম ছাড়া সকল ধর্ম ও মতবাদ আল্লাহ তা‘আলার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
২. আকাশ-জমিন ও তার মাঝে যা কিছু আছে সব আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণকারী।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings