Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 80
Saheeh International
Nor could he order you to take the angels and prophets as lords. Would he order you to disbelief after you had been Muslims?
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
৭৯-৮০ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা যাকে কিতাব ও জ্ঞান এবং নবুওয়াত প্রদান করেছেন তিনি মানব জাতিকে বলবেন, হে জনগণ! তোমরা আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদত কর এটা কোন দিন হতে পারে না এবং এটাও নির্দেশ দিতে পারে না- “তোমরা ফেরেশতা ও নাবীদেরকে রব বানিয়ে নাও।” মূলত এখানে খ্রিস্টানদের ব্যাপারে বলা হচ্ছে, কারণ তারা ঈসা (আঃ)-কে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামাতের দিন ঈসা (আঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “আর (স্মরণ কর) আল্লাহ যখন বলবেন: ‘হে মারইয়ামের ছেলে ঈসা! তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার জননীকে দুই মা‘বূদরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘তোমার প্রবিত্রতা বর্ণনা করছি! যা বলার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার পক্ষে শোভনীয় নয়। যদি আমি তা বলতাম তবে তুমি তো তা জানতে। আমার অন্তরের কথা তো তুমি অবগত আছ, কিন্তু তোমার অন্তরের কথা আমি অবগত নই; তুমি তো অদৃশ্য সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত।’ তুমি আমাকে যে আদেশ করেছ তা ব্যতীত তাদেরকে আমি কিছুই বলিনি, তা এইঃ ‘তোমরা আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত কর এবং যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম তাদের কার্যকলাপের সাক্ষী ছিলাম, কিন্তু যখন তুমি আমাকে তুলে নিলে তখন তুমিই তো ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক এবং তুমি সর্ববিষয়ে সাক্ষী।” (সূরা ময়িদাহ ৫:১১৬-১৭)
সুতরাং কোন নাবী বা নেককার ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত বাদ দিয়ে তার ইবাদত করার আহ্বান জানাতে পারে না। যদি কখনও এরূপ আহ্বান কেউ করে থাকে তাহলে সে কখনো মু’মিন থাকতে পারে না বরং সে হবে শয়তানের অনুসারী এবং প্রকাশ্য তাগুত।
رَبَّانِيِّيْنَ শব্দটি رباني এর বহুবচন, অর্থ হলো আল্লাহওয়ালা। রব্বানী বলা হয় এমন ব্যক্তিকে যিনি আল্লাহ তা‘আলার বেশি বেশি ইবাদত করেন এবং দীনের ব্যাপারে গভীর জ্ঞান রাখেন। অথবা সেই ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে দীনের পথে আহ্বান করেন, সমাজ সংস্কার করেন এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক নাবীকে প্রেরণ করেছেন কেবল এ নির্দেশ দিয়ে যে, তোমরা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। কোন নাবীই নিজের ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কোন নাবী বা রাসূল নিজের বা আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো ইবাদতের দিকে আহ্বান করেননি। বরং সকল নাবীদের দাওয়াতী মিশন ছিল একটাই: তাওহীদের প্রতি আহ্বান এবং তাগুত/শির্ক বর্জন।
২. আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে অন্যকে রব হিসাবে গ্রহণ করা প্রকাশ্য কুফরী।
৩. আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির পরিচয় জানলাম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings