Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 200
Saheeh International
O you who have believed, persevere and endure and remain stationed and fear Allah that you may be successful.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৯৯-২০০ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতে আহলে কিতাবের সেই দলের কথা বলা হচ্ছে, যে দল আল্লাহ তা‘আলার প্রতি তাদের কাছে আগত রাসূল ও রিসালাতের প্রতি এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রিসালাতের ওপর ঈমান এনে ধন্য হয়েছে। তাদের ঈমান এবং ঈমানী গুণাবলীর কথা উল্লেখ করে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এমন সব আহলে কিতাব থেকে পৃথক করে দিলেন, যাদের কাজই ছিল ইসলাম, পয়গাম্বর এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা, আল্লাহ তা‘আলার আয়াতের পরিবর্তন ও তার অপব্যাখ্যা করা এবং দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদ লাভের জন্য দীনকে পরিবর্তন ও প্রকৃত জ্ঞানকে গোপন করা।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَيْسُوْا سَوَا۬ءً ط مِنْ أَهْلِ الْكِتٰبِ أُمَّةٌ قَا۬ئِمَةٌ يَّتْلُوْنَ اٰيٰتِ اللّٰهِ اٰنَا۬ءَ اللَّيْلِ وَهُمْ يَسْجُدُوْنَ)
“তারা সবাই সমান নয়। আহলে কিতাবের মধ্যে একটি দল রয়েছেন দীনের ওপর অটল। তারা রাতের বেলা আল্লাহর আয়াত তেলাওয়াত করে এবং সিজদা করে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:১১৩)
ইমাম ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন: এ আয়াতে আহলে কিতাবের যে সকল মু’মিনদের কথা উল্লিখিত হয়েছে ইয়াহূদীদের মধ্য থেকে তাদের সংখ্যা দশ জনও হবে না, তবে খ্রিস্টানদের মধ্যে বহু সংখ্যক লোক ইসলাম গ্রহণ করে সত্য দীনের অনুসারী হয়েছে। (ইবনু কাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
আব্বাদ বিন মানসূর বলেন: এ আয়াত সম্পর্কে হাসান বাসরী (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেন: তারা হল আহলে কিতাব যারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পূর্বে ছিল। তারা ইসলাম গ্রহণ করে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করছে। তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা দ্বিগুণ প্রতিদান দেবেন।
যে সকল আহলে কিতাবগণ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তাদের অনেক ফযীলত সহীহ হাদীসে প্রমাণিত আছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তিন শ্রেণির মানুষকে দ্বিগুণ প্রতিদান দেয়া হবে। তার মধ্যে একশ্রেণি হল যে সকল আহলে কিতাবগণ তাদের নাবীর ওপর ঈমান এনেছে অতঃপর আমার প্রতি ঈমান এনেছে। (সহীহ বুখারী হা: ৯৭)
اصْبِرُوْا ধৈর্যধারণ করা, অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আদেশ বাস্তবায়নে এবং তাদের নিষেধ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করা।
صَابِرُوْا “ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর” যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে শত্র“র মোকাবেলায় অনড় থাকা। এটা হল ধৈর্যের কঠিনতম অবস্থা। এ জন্যই এটাকে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
رَابِطُوْا যুদ্ধের ময়দানে অথবা প্রতিপক্ষের সামনে সংঘবদ্ধভাবে সব সময় সতর্ক ও জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকা। এটাও উচ্চ সাহসিকতা ও বড় উদ্দীপনার কাজ। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলার পথে একদিন প্রতিরক্ষার কাজে নিযুক্ত থাকা দুনিয়া ও তাতে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম। (সহীহ বুখারী হা: ২৮৯২)
এ ছাড়াও হাদীসে কষ্টের সময়ে সুন্দরভাবে ওযু করা, মাসজিদের দিকে বেশি বেশি পদক্ষেপ ফেলা এবং এক সালাতের পর অপর সালাতের জন্য অপেক্ষা করাকেও রিবাত (জিহাদে প্রতিরক্ষার কাজের ন্যায়) বলা হয়েছে। (সহীহ মুসলিম হা: ২৫১)
আল্লামা জাযায়েরী (রহঃ) বলেন: সৈন্যদলের সাথে সর্বদা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকা যাতে শত্র“বাহিনী কোনক্রমেই মুসলিম দেশে প্রবেশ করতে না পারে। (আইসারুত তাফাসীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
সুতরাং আহলে কিতাবের সবাই সমান নয়, কেউ কেউ তাদের কাছে আগত কিতাবের প্রতি ও রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে এবং শেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতিও ঈমান এনেছে। তাদের জন্য সুসংবাদ।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবের মধ্যে যারা তাদের নাবী ও শেষ নাবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ঈমান এনেছে তাদের মর্যাদা জানতে পারলাম।
২. ধৈর্য ধারণ ও আল্লাহ তা‘আলার রাস্তায় পাহারা দেয়া ফযীলতের কাজ।
৩. মু’মিনরা সর্বদা শত্র“দের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings