Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 198
Saheeh International
But those who feared their Lord will have gardens beneath which rivers flow, abiding eternally therein, as accommodation from Allah . And that which is with Allah is best for the righteous.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৯৬-১৯৮ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতগুলোতে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বলা হলেও উম্মাতের সকলেই এতে শামিল।
“দেশে-বিদেশে তাদের (কাফিরদের) অবাধ বিচরণ।” বলতে ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য এক নগরী থেকে অন্য নগরীতে বা এক দেশ হতে অন্য দেশে যাতায়াত করা। এ বাণিজ্য সফর পার্থিব ভোগ্যসামাগ্রী এবং ব্যবসায় প্রসারতার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, এগুলো আসলে কিছু দিনের ক্ষণস্থায়ী লাভের সামগ্রী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: পরকালের তুলনায় দুনিয়া তেমন যেমন তোমাদের কারো আঙ্গুল সাগরে প্রবেশ করালে যতটুকু পরিমাণ পানি আঙ্গুলের মাথায় উঠে, সুতরাং সে কী নিয়ে আসল তা যেন লক্ষ করে। (তিরমিযী হা: ২৩২৩, ইবনু মাযাহ হা: ৪১০৮, সহীহ)
সুতরাং এ ব্যাপারে ঈমানদারদেরকে ধোঁকায় পতিত না হয়ে শেষ পরিণতির প্রতি লক্ষ রাখা উচিত। সে পরিণতি হল ঈমান থেকে বঞ্চিত হলে জাহান্নামের চিরস্থায়ী আযাব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(مَا يُجَادِلُ فِيْٓ اٰيٰتِ اللّٰهِ إِلَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِي الْبِلَادِ)
“শুধু কাফিররাই আল্লাহর নিদর্শন সম্বন্ধে ঝগড়া করে; সুতরাং শহরগুলোতে তাদের অবাধ বিচরণ যেন তোমাকে ধোঁকায় না ফেলে।” (সূরা মু’মিন ৪০:৪)
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:
(قُلْ إِنَّ الَّذِيْنَ يَفْتَرُوْنَ عَلَي اللّٰهِ الْكَذِبَ لَا يُفْلِحُوْنَ - مَتَاعٌ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ إِلَيْنَا مَرْجِعُهُمْ)
“বল: ‘যারা আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করে তারা সফলকাম হবে না।’ পৃথিবীতে তাদের জন্য আছে কিছু সুখ-সম্ভোগ; পরে আমারই নিকট তাদের প্রত্যাবর্তন।” (সূরা ইউনুস ১০:৬৯-৭০)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(نُمَتِّعُهُمْ قَلِيْلًا ثُمَّ نَضْطَرُّهُمْ إِلٰي عَذَابٍ غَلِيْظٍ)
“আমি অল্প সময়ের জন্য তাদেরকে সুখ-সম্ভোগ দেব, পুনরায় তাদেরকে বাধ্য করব কঠিন শাস্তি ভোগ করতে।” (সূরা লুকমান ৩১:২৪)
(الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ)
“যারা স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে” কাফিরদের বিপরীতে যদি মু’মিনরা প্রতিপালককে ভয় করে, পরহেযগারী এবং আল্লাহভীরু জীবন যাপন করে, তাঁর সমীপে উপস্থিত হবে- এ বিশ্বাস রাখে, যদিও দুনিয়াতে তাদের কাছে ধন-সম্পদের প্রাচুর্য এবং অঢেল রুযী ছিল না, তবুও তারা সমগ্র বিশ্বের স্রষ্টা এবং তার একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ তা‘আলার মেহমান হবেন এবং যেখানে এ সৎ লোকেরা যে প্রতিদান পাবেন, দুনিয়াতে কাফিররা ক্ষণস্থায়ীভাবে যা পেয়েছে, তাত্থেকে বহুগুণে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হবে।
‘لِّلْأَبْرَارِ’
বা পুণ্যবানদের জন্য আল্লাহ তা‘আলা নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِيْ نَعِيْمٍ)
“নিশ্চয়ই পুণ্যবানগণ নেয়ামতসমূহে অবস্থান করবে” (সূরা ইনফিতার ৮২:১৩)
অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّ الْأَبْرَارَ يَشْرَبُوْنَ مِنْ كَأْسٍ كَانَ مِزَاجُهَا كَافُوْرًا)
“নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা পান করবে এমন পানীয় যার মিশ্রণ হবে কাফূর (কর্পুর)” (সূরা দাহার ৭৬:৫)
অতএব আমাদের এ গুণে গুণান্বিত হয়ে পরকালীন সফলতা অর্জন করা একান্ত কর্তব্য।
যারা তাদের প্রতিপালককে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় ভয় করতঃ আদেশ পালন ও নিষেধ থেকে বিরত থাকবে তাদের জন্য মেহমানদারীস্বরূপ পরকালে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ বহমান থাকবে।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাফিররা যে সুখ ও সাচ্ছন্দে আছে তাতে মু’মিনদের ধোঁকায় পড়া উচিত নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের জন্য যা তৈরি করে রেখেছেন তা দুনিয়া ও তার মধ্যবর্তী যা কিছু আছে সে সব থেকে উত্তম।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings