Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 19
Saheeh International
Indeed, the religion in the sight of Allah is Islam. And those who were given the Scripture did not differ except after knowledge had come to them - out of jealous animosity between themselves. And whoever disbelieves in the verses of Allah, then indeed, Allah is swift in [taking] account.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৮-২০ নং আয়াতের তাফসীর:
এ আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ তা‘আলা নিজেই নিজের এককত্বের সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা‘বূদ নেই। তিনিই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট। তিনি সাক্ষ্য দানকারীদের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ। অতঃপর তিনি নিজের সাক্ষ্যের সাথে ফেরেশতাদের সাক্ষ্যকে সম্পৃক্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لٰکِنِ اللہُ یَشْھَدُ بِمَآ اَنْزَلَ اِلَیْکَ اَنْزَلَھ۫ بِعِلْمِھ۪ﺆ وَالْمَلٰ۬ئِکَةُ یَشْھَدُوْنَﺚ وَکَفٰی بِاللہِ شَھِیْدًا)
“কিন্তু আল্লাহ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন এর মাধ্যমে সাক্ষ্য দেন। তিনি তা নিজ জ্ঞানে নাযিল করেছেন নিজ জ্ঞানে এবং ফেরেশতাগণও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা নিসা ৪:১৬৬)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের ব্যাপারে নিজের সাক্ষ্যের সাথে শুধু ফেরেশতাদের সাক্ষ্য সম্পৃক্ত করেননি; বরং আলিম সমাজকেও স্বীয় সাক্ষ্যের সাথে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাশীল করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আলিমরা নাবীদের ওয়ারিশ। আমি তাদেরকে টাকা-পয়সার ওয়ারিশ বানিয়ে যাননি। তাদেরকে কেবল ইলম বা জ্ঞানের ওয়ারিশ বানিয়েছি। (তিরমিযী হা: ২৬৮২ আবূ দাঊদ হা: ৩৬৪১, সহীহ)
অতএব এ আয়াত ও হাদীস প্রমাণ করে যে, সেসব আলিমই সম্মানিত ও মর্যাদাশীল যারা তাওহীদের সাক্ষ্যে দৃঢ় থাকেন। আর যাদের তাওহীদের বিষয়ে পদস্খলন ঘটেছে, শির্কে লিপ্ত হয়েছে আকীদাহ-বিশ্বাস অথবা ইবাদত-বন্দেগীতে, তারা যতই জ্ঞানের সাগর হোক না কেন, তারা কখনও সম্মানিত নয়, তারা লাঞ্চিত ধিকৃত।
আল্লাহ তা‘আলা তাঁর এককত্বের সাক্ষ্য দেয়ার পর দীন ইসলামের কথা বলছেন। দীন-ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন তিনি গ্রহণ করবেন না। জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকলে এ দীনকে গ্রহণ করে নিতে বাধ্য। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَنْ يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِيْنًا فَلَنْ يُّقْبَلَ مِنْهُ ج وَهُوَ فِي الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِيْنَ)
“আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন জীবন ব্যবস্থা তালাশ করবে তার কাছ থেকে কখনই তা কবূল করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলি-ইমরান ৩:৮৫)
সকল নাবী-রাসূল এ দীন নিয়ে দুনিয়ায় আগমন করেছেন। সর্বশেষ আগমন করেছেন আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তিনি এ দীন-ইসলাম সারা জাহানের জন্য প্রেরিত হয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ يٰٓأَيُّهَا النَّاسُ إِنِّيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ إِلَيْكُمْ جَمِيْعَا)
“বল ‘হে মানুষ সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৮)
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: সেই সত্ত্বার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ! এ উম্মাতের মধ্যে ইয়াহূদী হোক বা খ্রিস্টান হোক যারাই আমার নবুওয়াতের কথা শুনেছে আর আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি ঈমান না এনে মারা যাবে সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। (সহীহ মুসলিম হা: ১৩৪, ২৪০)
তারপর আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদের অবাধ্যতা ও হিংসার কথা বলেছেন, তাদের নিকট কিতাব ও রাসূলগণ আসার পরেও তারা মতভেদ করেছে একমাত্র তাদের হিংসার কারণে। তারা জানত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সত্য নাবী এবং তিনি যা নিয়ে এসেছেন তাও সত্য; কিন্তু তারা জেনেশুনে অহংকারবশতঃ সে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে। যারা সত্য গ্রহণে অহংকারী হয়ে থাকে তারা কোন দিন সঠিক পথ পায় না।
الأُمِّيِّيْنَ
‘নিরক্ষর’ বলতে আরবের মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আল্লাহ তা‘আলা বলছেন- এরপরেও যদি তারা বাদানুবাদ করে তা হলে বলে দাও, আমি ও আমার অনুসারীগণ আল্লাহ তা‘আলার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তাদেরকে আরো বলে দাও, তারা যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হবে। অন্যথায় তুমি দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর অনুসারীদের কাজ হল দাওয়াত প্রদান, মানা আর না মানার দায়িত্ব তাদের।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আহলে কিতাবগণ সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কোন কথা বললে তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে; অন্যথায় নয়।
২. আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ প্রমাণের জন্য তাঁর কথাই যথেষ্ট।
৩. যারা কুরআন ও সহীহ হাদীসের কোন বিধানকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে ত্যাগ করে তারা তা প্রত্যাখ্যানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
৪. ইসলাম ব্যতীত সকল দীন বাতিল।
৫. সত্যের পথে দাওয়াত দেয়া রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রত্যেক অনুসারীর ওপর আবশ্যক।
৬. হিংসা মানুষের সঠিক পথ গ্রহণে অন্যতম অন্তরায়।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings