Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 186
Saheeh International
You will surely be tested in your possessions and in yourselves. And you will surely hear from those who were given the Scripture before you and from those who associate others with Allah much abuse. But if you are patient and fear Allah - indeed, that is of the matters [worthy] of determination.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৮৫-১৮৬ নং আয়াতের তাফসীর:
زُحْزِحَ যাকে নাজাত দেয়া হল।
আল্লাহ তা‘আলা সারা জাহানের মাখলুকাতকে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, প্রত্যেক আত্মা মৃত্যু বরণ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ)
‘ভূপৃষ্টে যা কিছু আছে সমস্তই ধ্বংসশীল।’ (সূরা আর রহমান ৫৫:২৬)
“তোমাদেরকে পূর্ণ প্রতিদান দেয়া হবে” মু’মিনদের প্রতিদান হলো জান্নাত আর কাফিরদের প্রতিদান হলো জাহান্নাম। নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: যে ব্যক্তিকে আনন্দ দেয় যে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে সে যেন সাক্ষ্য দেয়- আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর (বান্দা ও) রাসূল। আর সে যা নিজের জন্য পছন্দ করে তা অপরের জন্যও পছন্দ করবে। (তিরমিযী হা: ৩২৯২, সহীহ)
আয়াতে কয়েকটি বিষয় বর্ণিত হয়েছে:
১. মৃত্যু এমন ধ্র“ব সত্য বিষয় যে, তা থেকে নিস্কৃতির কোন উপায় নেই।
২. দুনিয়াতে ভালমন্দ যে যাই করুক না কেন, তাকে তার পরিপূর্ণ প্রতিদান পরকালে প্রদান করা হবে।
৩. প্রকৃত সফলতা সেই অর্জন করতে পেরেছে যে দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়ে স্বীয় প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। যার ফলস্বরূপ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়েছে।
৪. পার্থিব জীবন হল ধোঁকার জীবন। এ ধোঁকা থেকে যে নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে পারবে, সেই হবে সবচেয়ে ভাগ্যবান।
অতএব যখন মৃত্যুবরণ করতেই হবে, সকল কর্মের হিসাব দিতেই হবে তখন আমাদের পরকালের নাজাতের যথাযথ পাথেয় অর্জন করা উচিত।
তারপর আল্লাহ তা‘আলা হুশিয়ার করে দিয়েছেন যে, মু’মিনদের জানে ও মালে পরীক্ষা করবেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَلَنَبْلُوَنَّکُمْ بِشَیْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوْعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْاَمْوَالِ وَالْاَنْفُسِ وَالثَّمَرٰتِﺚ وَبَشِّرِ الصّٰبِرِیْنَ)
“এবং নিশ্চয়ই আমি পরীক্ষা করব তোমাদেরকে ভয়, ক্ষুধা, ধন, প্রাণ ও শস্যের ঘাটতি কোন একটি দ্বারা। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ প্রদান কর।” (সূরা বাকারাহ ২:১৫৫)
(وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِيْنَ أُوْتُوا الْكِتٰبَ....)
আহলে কিতাব তথা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানগণ বিভিন্নভাবে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবাদেরকে নিন্দা ও গালিগালাজ করত। মুশরিকরাও এরূপ জঘন্য কাজে লিপ্ত ছিল। তাছাড়া নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় আগমন করলেন মুনাফিকরা বিশেষত তাদের সর্দার আবদুল্লাহ বিন উবাই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যাপারে তাচ্ছিল্য প্রদর্শন করে বেড়াত।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মদীনায় আগমনের পূর্বে মদীনাবাসী তাদের সর্দার ইবনু উবাই এর মাথায় সর্দারীর মুকুট পরানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে নিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আগমনের কারণে তার এ স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। এতে সে চরমভাবে আঘাত পায়। তাই প্রতিশোধ গ্রহণের নিমিত্তে এ লোকটি সুযোগ পেলে তা হাত-ছাড়া করত না। এরূপ পরিস্থিতিতে মুসলিমদেরকে ক্ষমা ও ধৈর্য এবং আল্লাহভীরুতার পথ অবলম্বন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৬৬)
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. দুনিয়ার জীবন প্রতিদানের জীবন নয় বরং আমলের জীবন।
২. প্রকৃত সফলতার পরিচয় জানতে পারলাম।
৩. পরীক্ষায় নিপতিত হলে ধৈর্য ধারণ করা মু’মিনের বৈশিষ্ট্য।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings