3:16
ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ إِنَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغۡفِرۡ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ١٦
Saheeh International
Those who say, "Our Lord, indeed we have believed, so forgive us our sins and protect us from the punishment of the Fire,"
১৬-১৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা তাঁর সংযমী বান্দাদের গুণাবলী বর্ণনা করেছেন যে, তারা বলেঃ হে আমাদের প্রভু! আমরা আপনার উপর, আপনার কিতাবের উপর ও রাসূল (সঃ)-এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। সুতরাং এ ঈমানের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করতঃ আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে নিন। এ সংযমী লোকেরা আল্লাহ তা'আলার আনুগত্য স্বীকার করতঃ তাঁর সমস্ত আদেশ ও নিষেধ মেনে চলে এবং অবৈধ জিনিস হতে দূরে থাকে। তারা প্রতিটি কাজে-কর্মে ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেয়। তারা ঈমানের দাবীতেও সত্যবাদী।জীবনের উপর কঠিন ও কষ্টকর হলেও তারা সৎ কার্যাবলী সম্পাদন করে। তারা বিনয় ও নমতা প্রকাশকারী। তারা নিজেদের ধন-মাল আল্লাহর পথে তার নির্দেশ মত ব্যয় করে থাকে। তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে, মানুষকে অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখে এবং তাদের দুঃখে সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করে। তারা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদেরকে সাহায্য দানে পরিতুষ্ট করে এবং ভোর রাত্রে উঠে আল্লাহ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে। এর দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, এ সময় ক্ষমা প্রার্থনা করার গুরুত্ব অত্যধিক। এও বলা হয়েছে যে, হযরত ইয়াকূব (আঃ) তাঁর পুত্রদেরকে যে সময় বলেছিলেনঃ (আরবী) আল্লাহর পথে তাঁর অর্থাৎ ‘অতিসত্বরই আমি আমার প্রভুর নিকট তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবো।' (১২:৯৮) ওটার ভাবার্থ ঊষাকালই বটে। অর্থাৎ হযরত ইয়াকূব (আঃ) তাঁর সন্তানদেরকে বলেনঃ ‘প্রাতঃকালে তোমাদের জন্যে আমার প্রভুর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবো। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম প্রভৃতি হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক রাত্রে এক তৃতীয়াংশ রাত্র অবশিষ্ট থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেনঃ ‘কোন যাজ্ঞাকারী আছে কি যাকে আমি দান করবো? কোন প্রার্থনাকারী আছে কি যার প্রার্থনা আমি কবূল করবো? কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি যাকে আমি ক্ষমা করবো?হাফেজ আবুল হাসান দারেকুতনী (রঃ) এ বিষয়ের উপর একটি পৃথক পুস্তক রচনা করেছেন এবং উক্ত পুস্তকের মধ্যে এ হাদীসটির সমস্ত সনদ এবং ওর প্রত্যেকটি শব্দ এনেছেন। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের মধ্যে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) রাতের প্রথমভাগে, মধ্যভাগে এবং শেষভাগে বেতেরের নামায পড়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর বেতের পড়ার সর্বশেষ সময় ছিল ঊষার উদয় পর্যন্ত। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং স্বীয় গোলাম হযরত নাফে'কে জিজ্ঞেস করতেনঃ সকাল হয়েছে কি? যখন বলতো, 'হ্যা, হয়েছে, তখন তিনি সুবহে সাদিক হওয়া পর্যন্ত দু'আ ও ক্ষমা প্রার্থনায় লিপ্ত থাকতেন। হযরত হাতিব (রঃ) বলেনঃ ঊষার সময় আমি শুনতে পাই কে যেন মসজিদের কোন এক প্রান্তে বলছেঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যা নির্দেশ দিয়েছেন আমি তা পালন করেছি। এটা উষাকাল, আমাকে ক্ষমা করুন। আমি দেখি যে, তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেনঃ ‘আমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হতো যে, আমরা তাহাজ্জুদের নামায পড়লে যেন ঊষার শেষ সময়ে সত্তরবার আল্লাহ তা'আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।'
Arabic Font Size
30
Translation Font Size
17
Arabic Font Face
Help spread the knowledge of Islam
Your regular support helps us reach our religious brothers and sisters with the message of Islam. Join our mission and be part of the big change.
Support Us