Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 159
Saheeh International
So by mercy from Allah, [O Muhammad], you were lenient with them. And if you had been rude [in speech] and harsh in heart, they would have disbanded from about you. So pardon them and ask forgiveness for them and consult them in the matter. And when you have decided, then rely upon Allah . Indeed, Allah loves those who rely [upon Him].
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫৯-১৬৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে যেসব উত্তম চরিত্র দান করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল কোমল হৃদয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তুমি যদি কঠিন হৃদয়ের হতে তাহলে মানুষ তোমার ধারে-কাছে আসত না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَقَدْ جَا۬ءَكُمْ رَسُوْلٌ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيْزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيْصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِيْنَ رَؤُوْفٌ رَّحِيْمٌ)
“অবশ্যই তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের নিকট এক রাসূল এসেছে। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তার জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মু’মিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু।” (সূরা তাওবাহ ৯:১২৮)
অতএব সকল মানুষকে ন্যায়ের ক্ষেত্রে কোমল হৃদয়ের হওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা আল্লাহ তা‘আলার পথে আহ্বান করে তাদের জন্য এ গুণটি থাকা অপরিহার্য।
(فَإِذَا عَزَمْتَ فَتَوَكَّلْ عَلَي اللّٰهِ)
অর্থাৎ কোন কাজের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করার পর সে ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলার ওপর নির্ভরশীল হবে। কেননা কোন কাজ করবে বললেই করতে পারবে না যদি আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা না হয়। যে কোন কাজে আল্লাহ তা‘আলার ওপর তাওয়াক্কুল করা ঈমানদারদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
(وَشَاوِرْهُمْ فِي الْأَمْرِ)
এ আয়াতে পরামর্শ করার গুরুত্ব, উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, শাসকদের জন্য আবশ্যক হল তারা যেন এমন সব ব্যাপারে আলেমদের সাথে পরামর্শ করে, যে ব্যাপারে তাদের জ্ঞান নেই অথবা যে ব্যাপারে সমস্যায় পড়তে পারে।
ইমাম ইবনে আতিয়্যাহ (রহঃ) বলেন, এমন শাসকদের বরখাস্ত করার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই, যারা আলিম ও দীনদারদের সাথে কোন পরামর্শ করে না। আর এ পরামর্শ সেইসব বিষয়ের মধ্যে সীমিত থাকবে যেসব ব্যাপারে শরীয়ত নীরব। (ফাতহুল কাদীর, অত্র আয়াতের তাফসীর)
(وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَّغُلَّ)
শানে নুযূল:
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধে যেসব গনীমতের মাল পাওয়া গিয়েছিল তন্মধ্যে একটি লাল রঙের চাদর হারিয়ে যায়। তখন লোকেরা বলাবলি করতে লাগল: সম্ভবত এটা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই নিয়েছেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়। (আবূ দাঊদ হা: ৩৯৭১, তিরমিযী হা: ৩০০৯, সহীহ)
(يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ)
গনীমতের মাল চুরি করা কাবীরাহ গুনাহ। এ সম্পর্কে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। যে ব্যক্তি গনীমতের মাল চুরি করবে সে কিয়ামাতের দিন সে মাল নিয়ে উঠবে। (সহীহ বুখারী হা: ৩০৭৩, সহীহ মুসলিম হা: ১৮৩১)
(لَقَدْ مَنَّ اللّٰهُ عَلَي الْمُؤْمِنِيْنَ)
আল্লাহ তা‘আলা মানুষের মধ্য থেকে রাসূল প্রেরণ করেছেন, এটা মানব জাতির জন্য অনুগ্রহ; কেননা যদি রাসূল মানব জাতি থেকে না এসে অন্য জাতি থেকে আসতেন তা হলে মানুষের সমস্যা তারা বুঝতে পারত না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَآ أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِيْنَ إِلَّآ إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُوْنَ الطَّعَامَ وَيَمْشُوْنَ فِي الْأَسْوَاقِ)
“তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই তো আহার করত ও হাটে-বাজারে চলাফেরা করত।” (সূরা ফুরকান ২৫:২০)
সুতরাং আমাদের প্রতি আল্লাহ তা‘আলা যে অনুগ্রহ করেছেন তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তাঁর প্রেরিত রাসূলের অনুসরণ করা আবশ্যক।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা হারাম।
২. দাওয়াতী কাজে কোমলতা প্রদর্শন করা দাঈর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
৩. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মত মানুষ ও আদম সন্তান, নূরের তৈরী নন। পার্থক্য হল তাঁর কাছে ওয়াহী আসে, আর আমাদের কাছে ওয়াহী আসে না।
৪. কিতাব ও সুন্নাহর জ্ঞানের অনেক মর্যাদা রয়েছে।
৫. পরামর্শের মাধ্যমে কাজ করা ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings