Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 155
Saheeh International
Indeed, those of you who turned back on the day the two armies met, it was Satan who caused them to slip because of some [blame] they had earned. But Allah has already forgiven them. Indeed, Allah is Forgiving and Forbearing.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১৫৪-১৫৫ নং আয়াতের তাফসীর:
অত্র আয়াতসমূহে আল্লাহ তা‘আলা উহুদের ময়দানে মুসলিম মুজাহিদদের ওপর যে অনুগ্রহ করেছিলেন তার দৃশ্যপট তুলে ধরেছেন।
মুসলিম মুজাহিদদের চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির পর আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর তন্দ্রাভাব সৃষ্টি করে দিলেন। এ তন্দ্রা ছিল আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রশান্তি এবং সাহায্য। আবূ তালহা (রাঃ) বলেন, আমিও তাদের মধ্যে একজন যাদের ওপর উহুদের দিন তন্দ্রা ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি আমার তরবারী কয়েকবার আমার হাত থেকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। আর আমি তা ধরে রেখেছিলাম। (সহীহ বুখারী হা: ৪০৬৮)
(وَطَا۬ئِفَةٌ أخري)
‘অন্য আরেকটি দল’, এর দ্বারা মুনাফিকদেরকে বুঝানো হয়েছে। প্রকাশ থাকে যে, কঠিন পরিস্থিতিতে তারা কেবল নিজেদের প্রাণ নিয়েই চিন্তিত ছিল।
(ظَنَّ الْجَاهِلِيَّةِ)
জাহিলী ধারণা, যেমন তারা ধারণা করত যে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ব্যাপারটাই সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দীনের প্রতি আহ্বান করেন, তার ভবিষ্যৎ আশঙ্কাজনক। তিনি তো আল্লাহ তা‘আলার সহযোগিতা থেকেই বঞ্চিত ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে।
জুবাইর (রাঃ) বলেন, যখন আমাদের কঠিন ভয় ছিল তখনও আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের ওপর তন্দ্রা দিলেন। এ তন্দ্রার ফলে আমাদের প্রত্যেকেরই চিবুকগুলো বক্ষের সাথে লেগে যায়।
জুবাইর (রাঃ) বলেন, আমি সে অবস্থায় মুত‘আব বিন কুশাইবের নিম্নের উক্তি শুনতে পাই, যদি আমার সামান্য কিছু অধিকার থাকত তবে এখানে নিহত হতাম না। তখন এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন:
(لَوْ كَانَ لَنَا مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ مَّا قُتِلْنَا هٰهُنَا)
আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলে দিলেন: বলে দাও! যদি তোমরা বাড়িতে অবস্থান কর আর যদি তোমাদের ভাগ্যে মৃত্যু অবধারিত থাকে তাহলে সেখানেই মৃত্যু পৌঁছবে।
(إِنَّ الَّذِيْنَ تَوَلَّوْا مِنْكُمْ يَوْمَ الْتَقَي الْجَمْعٰنِ)
“নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে যারা দুদলের সম্মুখীন হবার দিন পশ্চাদবর্তিত হয়েছিল” দুদলের সম্মুখীন হবার দিন বলতে বদরের দিনকে বুঝানো হয়েছে।
উসমান বিন মাওহাব (রহঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন: হাজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে একজন ব্যক্তি বাইতুল্লাহয় এসে সেখানে একদল লোককে উপবিষ্ট অবস্থায় দেখে জিজ্ঞাসা করলেন: এ উপবিষ্ট লোকগুলো কারা? তারা বললেন: এরা হচ্ছেন কুরাইশ গোত্রের লোক। লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলেন: এ বৃদ্ধ লোকটি কে? তারা বললেন: ইনি হচ্ছেন ইবনু উমার (রাঃ)। তখন লোকটি তাঁর কাছে গিয়ে বললেন; আমি আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করব, আপনি আমাকে বলে দেবেন কি? এরপর লোকটি বললেন: আমি আপনাকে এ ঘরের রবের কসম দিয়ে বলছি উহুদের দিন উসমান বিন আফফান (রাঃ) পালিয়েছিলেন- এ কথা আপনি কি জানেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। লোকটি বললেন: তিনি বদরে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি- এ কথাও জানেন? তিনি বললেন হ্যাঁ। লোকটি বললেন: তিনি বাইআতে রিদওয়ানে অনুপস্থিত ছিলেন- এ কথা আপনি জানেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন: লোকটি তখন আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করল। তখন ইবনু উমার (রাঃ) বললেন: এসো, এখন আমি তোমাকে সব ব্যাপার জানিয়ে দিই এবং তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর বলে দিই। ১. উহুদের দিন তাঁর পালানো সম্বন্ধে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ২. বদরের দিন অনুপস্থিতির কারণ হলো তাঁর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কন্যা অসুস্থ ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেছিলেন: যারা বদরের যুদ্ধে উপস্থিত হয়েছে তাদের মত একজনের প্রতিদান ও গনীমত তুমিও পাবে। ৩. বাইয়াতে রিদওয়ানে অনুপস্থিতির কারণ হলো রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উসমানকে মক্কাবাসীর কাছে প্রেরণ করেছিলেন, যদি মক্কাবাসীর সাথে উসমানের চেয়ে কারো বেশি সম্পর্ক থাকত তাহলে তাকেই পাঠাতেন। বাইয়াতে রিদওয়ান হয়েছিলো উসমান (রাঃ) যাওয়ার পর। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডান হাত বাম হাতের ওপর রেখে বললেন: এটা উসমানের হাত। ইবনু উমার (রাঃ) বললেন: এখন তুমি যেতে পার। (সহীহ বুখারী হা: ৪৬৬০)
সুতরাং বদরের যুদ্ধে পলায়নকারীদের মধ্যে উসমান (রাঃ) ছিলেন না।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে শত্র“দের ওপর সর্বদা বিজয় দান করেন।
২. আল্লাহ তা‘আলা তার শত্র“দের অপমানিত করেন পরাজয়ের মাধ্যমে।
৩. তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস রাখা আবশ্যক।
৪. আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি কাজ হিকমাতপূর্ণ।
৫. উসমান (রাঃ) এর ব্যাপারে কারো কোন খারাপ ধারণা রাখার সুযোগ নেই।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings