Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 122
Saheeh International
When two parties among you were about to lose courage, but Allah was their ally; and upon Allah the believers should rely.
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১২১-১২৩ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদেরকে কাফির-মুশরিক ও মুনাফিকদের সাথে বন্ধুত্ব করা থেকে সতর্ক করার পর সংবাদ দিচ্ছেন যে, তোমরা যদি ধৈর্য ধারণ কর এবং আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করে চলো তা হলে তাদের চক্রান্ত তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তারা সংখ্যায় ও অস্ত্র-সস্ত্রে যত বেশিই হোক না কেন। যেমন বদর যুদ্ধে তোমাদের সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও তোমরা জয়ী হলে; পক্ষান্তরে যদি ধৈর্য ধারণ না কর এবং আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় না কর তা হলে শত্র“রা তোমাদের ওপর জয় লাভ করবে।
শানে নুযূল:
সাহাবী জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বানী সালামাহ ও বানী হারেসাহ সম্পর্কে
(إِذْ هَمَّتْ طَّا۬ئِفَتٰنِ مِنْكُمْ)
আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (সহীহ বুখারী হা: ৪৫৫৮, সহীহ মুসলিম হা: ২৫০৫) এ দু’গোত্র উহুদের দিন মুসলিম বাহিনীর দু’পার্শ্বে ছিল। أَنْ تَفْشَلَا সাহস হারিয়ে ফেলা। বলা হয়: তারা হিনমন্যতায় যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত ছিল, আবার বলা হয়: তাদের অন্তরে একটা খটকা বেঁধেছিল, আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তা জানিয়ে দিলেন। ফলে তাদের কোন সমস্যা রইল না।
তারপর তারা নিজেরাই একে অপরকে তিরস্কার করছিল যে, আমরা কী করছিলাম! অতঃপর নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে তারা জিহাদে বের হয়। (তাফসীর কুরতুবী ৩/১৪২)
অধিকাংশ মুফাসসিরদের মত অনুযায়ী এটা উহুদের যুদ্ধের ঘটনা যা ৬ই শাওয়াল ৩য় হিজরীতে সংঘটিত হয়েছিল।
উহুদ যুদ্ধের সার-সংক্ষেপ: বদর যুদ্ধে কাফিররা লাঞ্ছিতভাবে পরাজিত হয়। তাদের ৭০ জন বন্দী ও ৭০ জন নিহত হয়। এটা ছিল তাদের জন্য অপমানজনক। তাই তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অতীব শক্তিশালী এক প্রতিশোধমূলক যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় এবং এতে মহিলারাও শরীক হয়। তাদের তিন হাজার স্বসস্ত্র শত্র“ বাহিনী উহুদ ময়দানে অবস্থান করছে জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদের সাথে পরামর্শ করলেন, কেউ বলল, মদীনার ভিতর থেকেই যুদ্ধ করব, কেউ বলল, মদীনার বাইরে যাব। বিশেষ করে যারা বদর যুদ্ধে যেতে পারেনি তারা বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করল।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ১০০০ সাহাবী নিয়ে যুদ্ধের জন্য বের হলেন। কিন্তু পথিমধ্যে আবদুল্লাহ বিন উবাই তার ৩০০ জন সঙ্গী নিয়ে ফিরে আসল। বাকি সাহাবীদের সাথে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধ করেন। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেন: যখন তুমি মু’মিনদের নিয়ে সাচ্ছন্দে যুদ্ধের জন্য বের হয়েছিলে তখনও দু’দল মু’মিন সাহস হারিয়ে ফেলছিল কিন্তু আমি তাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব নিয়েছি বলে তারা পিছপা হয়নি, তাই তোমরা আমার ওপর ভরসা রাখবে।
(وَّأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ)
তোমরা হীনমন্য ছিলে এবং যুদ্ধ সামগ্রীও ছিল অল্প। মুসলিমরা ছিল মাত্র ৩১৩ জন আর কাফিররা ছিল ১০০০ জন। এর দ্বারা বদর যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। যখন মুসিলমদের অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। এমতাবস্থায় আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে সাহায্য করেছিলেন।
সুতরাং মু’মিনদের একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসাই করা উচিত। সংখ্যা কম হোক আর বেশি হোক আল্লাহ তা‘আলার ওপর ভরসা করে সামনে আগালে আল্লাহ তা‘আলা নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. ধৈর্য ও তাক্বওয়ার ফযীলত অবগত হলাম।
২. মু’মিন বান্দাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
৩. সংখ্যা বেশি হলে জয়ী হওয়া যাবে, বিষয়টি এমন নয়; বরং তাক্বওয়া, ধৈর্য ও ঈমান থাকলে স্বল্প সংখ্যাই বিজয়ের জন্য যথেষ্ট।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings