Surah Al Imran Tafseer
Tafseer of Ali 'Imran : 119
Saheeh International
Here you are loving them but they are not loving you, while you believe in the Scripture - all of it. And when they meet you, they say, "We believe." But when they are alone, they bite their fingertips at you in rage. Say, "Die in your rage. Indeed, Allah is Knowing of that within the breasts."
Tafsir Fathul Mazid
Tafseer 'Tafsir Fathul Mazid' (BN)
১১৮-১২০ নং আয়াতের তাফসীর:
মু’মিনগণ কেবল মু’মিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, অন্য কাউকে না। এ সম্পর্কে সূরা বাকারাতে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আল্লাহ তা‘আলা আরো কঠোরভাবে ধমক দিয়ে কাফির-মুশরিকসহ অন্যান্যদেরকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। যদিও আয়াতে মুনাফিকদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, তবে মুনাফিকসহ সকল কাফির এতে শামিল; কারণ তারা তোমাদের ভাল চায় না, সুযোগ পেলেই তোমাদের ক্ষতি করবে। মুখে বাহ্যিকভাবে খুব সুসম্পর্কের কথা বলবে, এমনকি অনেক কিছু আদান-প্রদান করবে। মাঝে মাঝে বিদ্বেষমূলক কথা বের হয়ে যাবে। কিন্তু অন্তরে যে বিদ্বেষ গোপন করে আছে তা আরো ভয়ংকর। আমরা মুসলিমরা তাদের প্রতি ভালবাসা দেখালে কি হবে, তারা মূলত আমাদের ভালবাসে না, তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষণিকের সম্পর্ক রাখে; কিন্তু সুযোগ পেলেই তাদের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়ে যাবে। সুতরাং তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার কোন সুযোগ নেই। যদি মুসলিমরা তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে কখনো পূর্ণ ঈমানের ওপর টিকে থাকতে পারবে না এবং দুনিয়াতে তাদের ওপর বিজয়ী হতে পারবে না। আরবিতে একটি প্রবাদ রয়েছে যার অর্থ হলো: কোন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না; বরং ব্যক্তির বন্ধু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর। কারণ ব্যক্তি তার বন্ধুর অনুসরণ করে চলে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: একজন ব্যক্তি তার বন্ধুর ধর্ম অনুরসণ করে থাকে। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকে যেন লক্ষ রাখে সে কাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করছে। (সিলসিলা সহীহাহ হা: ৯২৭)
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন নাবী প্রেরণ ও খলীফা নির্ধারণ করেননি যার জন্য দু’জন অন্তরঙ্গ বন্ধু দেননি। একজন বন্ধু তাকে ভাল কাজের পরামর্শ দেয় ও ভাল কাজে উৎসাহ দেয় অপর জন খারাপ কাজের পরামর্শ দেয় ও খারাপ কাজের ইন্ধন যোগায়। আল্লাহ তা‘আলা যাকে রক্ষা করেন সেই কেবল রক্ষা পায়। (সহীহ বুখারী হা: ৬৬১১, ৭১৯৬)
সুতরাং রাষ্ট্র প্রধানদেরও লক্ষ রাখা দরকার কাদের সাথে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক করছেন।
بِطَانَةً এমন অন্তরঙ্গ বন্ধু যার নিকট গোপন তথ্য বলা হয়।
لَا يَأْلُوْنَكُمْ
তোমাদের ক্ষতি করতে ত্র“টি করে না।
خَبَالًا যা তোমাদের দীন ও দুনিয়া উভয়ের জন্য অনিষ্টকর।
تُحِبُّوْنَهُمْ তোমরা মুনাফিকদের বাহ্যিক সালাত এবং ঈমানের ধোঁকায় তাদের বন্ধু বানিয়ে নাও। জেনে রেখ! তারা তোমাদেরকে ভালবাসে না।
এরপর আল্লাহ তা‘আলা কাফির-মুনাফিকদের অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্র“তা পোষণ করার কথা তুলে ধরছেন। যদি মুসলিমদের কোন বিজয়, গনীমত ও সাহায্য আসে তা হলে তারা ব্যথিত হয়। পক্ষান্তরে মুসমিদের পরাজয় হলে অথবা জানমালের কোন ক্ষতি হলে তারা খুব খুশি হয়। তাই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কাফির-মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক রাখাই আমাদের অধঃপতনের অন্যতম কারণ।
আয়াত থেকে শিক্ষণীয় বিষয়:
১. কাফির-মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব হারাম। তবে কোন ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে অন্তরে ঘৃণা রেখে বাহ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা যেতে পারে।
২. কাফিরদের প্রতি মুসলিমরা সহানুভূতি দেখালেও তারা মূলত মুসলিমদেরকে ভালবাসে না।
৩. মুসলিমদের প্রতি কাফির-মুশরিক ও মুনাফিকদের হিংসার দাবানল সর্বদা জ্বলতে থাকে।
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Be our beacon of hope! Your regular support fuels our mission to share Quranic wisdom. Donate monthly; be the change we need!
Are You Sure you want to Delete Pin
“” ?
Add to Collection
Bookmark
Pins
Social Share
Share With Social Media
Or Copy Link
Audio Settings